বনিতা জগদেও বোরাদে
বনিতা জগদেও বোরাদে | |
|---|---|
.jpg) ২০২২ সালে বনিতা জগদেও বোরাদে | |
| জন্ম | ২৫ মে ১৯৭৫ |
| পরিচিতির কারণ | সাপ উদ্ধার |
| পুরস্কার | নারী শক্তি পুরস্কার (২০২০) |
বনিতা জগদেও বোরাদে (জন্ম: ২৫শে মে ১৯৭৫) একজন ভারতীয় সংরক্ষণবাদী। তিনি সোয়ের বনচারী মাল্টিপারপাস ফাউণ্ডেশন -এর প্রতিষ্ঠাতা, এই সংস্থা বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় কাজ করে। তিনি সাপ উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ এবং "ভারতের প্রথম নারী সাপ বন্ধু" হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। বনিতা তাঁর সংরক্ষণ প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকারের কাছ থেকে নারী শক্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]বনিতা জগদেও বোরাদে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালের ২৫শে মে।[১] তিনি তাঁর স্বামীর সাথে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বুলধানায় থাকেন।[২][৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]বনিতা একটি খামারে বড় হয়েছিলেন, সেখানে তিনি এমন বন্ধুদের সাথে থাকতেন যাঁরা স্থানীয় পরিবেশের প্রতি তাঁর সঙ্গে সমান আগ্রহ পোষণ করতেন। তিনি বন্যপ্রাণীর সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে শিখেছিলেন।[৪] তিনি বারো বছর বয়স থেকেই বিষাক্ত সাপ ধরতে শুরু করেন, কিন্তু কখনও সাপের কামড় খাননি।[৩] তিনি সোয়ের বনচারী মাল্টিপারপাস ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি একটি পরিবেশগত সংস্থা যা দূষণ রোধ এবং বন্যপ্রাণী রক্ষার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।[৫] ৫০,০০০ এরও বেশি সাপ উদ্ধার ক'রে,[২] বনিতা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছেন।[৪] তিনি সাপের প্রতি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল, তবে মৌমাছি নিয়েও তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে।[৪]
বনিতা অন্যদের সাপের কামড়ের চিকিৎসা শিখিয়েছেন,[২] এবং সাপ সম্পর্কে বাস্তবসম্মত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ওফিডিওফোবিয়া (সাপের ভয়) কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছেন: ভারতে মাত্র দশ শতাংশ সাপ বিষাক্ত, এবং প্রতিটি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিষ প্রতিষেধক ওষুধ পাওয়া যায়।[৪]
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]ইণ্ডিয়া পোস্ট বনিতার কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।[৬] ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, ২০২০ সালের নারী শক্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন।[৫][৭] স্থানীয়ভাবে "সাপ নারী" নামে পরিচিত, বোরাদে "ভারতের প্রথম নারী সাপ বন্ধু" হিসেবে স্বীকৃত।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Pandey, Bhavna (৮ মার্চ ২০২২)। "राष्ट्रपति ने सांप को रेसक्यू करने वाली देश की पहली महिला बचावकर्ता वनिता जगदेव को दिया नारी शक्ति सम्मान"। Oneindia (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ ক খ গ "3 Maharashtra women honoured with Nari Shakti Puraskar including 'First woman snake-rescuer of India'"। Free Press Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০২২। ১০ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ "वश में किए 51 हजार नाग... ये हैं 'नाग मोहिनी'"। News18 हिंदी (হিন্দি ভাষায়)। ১৪ অক্টোবর ২০১৭। ১০ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ "Nari Shakti Puraskars honour Nari Shakti's triumph over social, economic and physical challenges"। Press Information Bureau। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ "Leaders cut across political lines to hail Indian women achievers"। Orissa Post। ৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Snake rescuer, organic farmer, entrepreneur - 29 women conferred Nari Shakti award"। The New Indian Express। ৮ মার্চ ২০২২। ৮ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Kainthola, Deepanshu (৮ মার্চ ২০২২)। "President Presents Nari Shakti Puraskar for the Years 2020, 2021"। Tatsat Chronicle। ৯ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ Deshpande, Chaitanya (৯ মার্চ ২০২২)। "'Saanpwali bai' from Buldhana gets prestigious 'Nari Shakti' award"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২২।