বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ
Enhydrina schistosa
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: অ্যানিম্যালিয়া
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: রেপ্টিলিয়া
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Hydrophiidae
গণ: Enhydrina
প্রজাতি: E. schistosa
দ্বিপদী নাম
Enhydrina schistosa
(Daudin, 1803)

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ বা হুগলী পটী[১] বা বড়শিনাক দজ্যা সাপ[২] (বৈজ্ঞানিক নাম: Enhydrina schistosa) হচ্ছে হাইড্রফিডি পরিবারভুক্ত এক প্রকার তীব্র বিষধর সাপ সামুদ্রিক সাপ। সাপের কামড়ে আক্রান্তদের ভেতরে ৫০ শতাংশের বেশি সামুদ্রিক সাপের কারণে এবং অধিকাংশই এই প্রজাতির কারণে ঘটে থাকে।[৩]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপের দেহ তামাটে ধূসর রঙের এবং নীলাভ ধূসর বা কালচে ব্যান্ড থাকে। এদের দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৪০ সেমি এবং লেজের দৈর্ঘ্য ১১০ সেমি।[১]

স্বভাব[সম্পাদনা]

বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ উন্মুক্ত জলাশয়ের অগভীর পানিতে, উপকূলীয় উপহ্রদ, প্যারাবন, মোহনায় এবং নদীর মুখে পাওয়া যায়।[১]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপকে বাংলাদেশের বিলুপ্ত সাপ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ প্রজাতির সাপ পৃথিবীতে ব্যাপক বিস্তৃত। এরা পারস্য উপসাগর, মাদাগাস্কার, বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশে পাওয়া যায়।[১]

অবস্থা[সম্পাদনা]

আইইউসিএন এটিকে বাংলাদেশে এবং বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচনা করে।[১] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৭৬-১৭৭।
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৬
  3. Valenta 2010, পৃ. 153

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]