ফ্রাঙ্ক স্মেইলস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রাঙ্ক স্মেইলস
১৯৩৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ফ্রাঙ্ক স্মেইলস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটমাস ফ্রান্সিস স্মেইলস
জন্ম(১৯১০-০৩-২৭)২৭ মার্চ ১৯১০
রিপলি, উত্তর ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১ ডিসেম্বর ১৯৭০(1970-12-01) (বয়স ৬০)
হ্যারোগেট, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩১৩)
২২ জুন ১৯৪৬ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৬৯
রানের সংখ্যা ২৫ ৫,৮৯২
ব্যাটিং গড় ২৫.০০ ১৯.২৫
১০০/৫০ –/– ৩/২৪
সর্বোচ্চ রান ২৫ ১১৭
বল করেছে ১২০ ৪১,০০৮
উইকেট ৮২২
বোলিং গড় ২০.৬৬ ২০.৮১
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪১
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৪৪ ১০/৪৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ১৫৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ অক্টোবর ২০২০

টমাস ফ্রান্সিস স্মেইলস (ইংরেজি: Frank Smailes; জন্ম: ২৭ মার্চ, ১৯১০ - মৃত্যু: ১ ডিসেম্বর, ১৯৭০) উত্তর ইয়র্কশায়ারের রিপলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ফ্রাঙ্ক স্মেইলস

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

উত্তর ইয়র্কশায়ারের রিপলি এলাকায় টমাস ফ্রান্সিস স্মেইলসের জন্ম। ১৯৩২ সালে ইয়র্কশায়ারের মাঠকর্মী হিসেবে যোগ দেন। তবে, জর্জ ম্যাকাউলিকে বাদ দেয়ার পূর্ব-পর্যন্ত তাকে প্রথম একাদশে নিয়মিতভাবে খেলানো হয়নি। ৪ মে, ১৯৩২ তারিখে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার।[২] তিনি এ সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহারে সচেষ্ট হন। প্রায় ২১ গড়ে ১০৫ উইকেট লাভ করেন। চমৎকার গ্রীষ্মে এ ধরনের বোলিং গড় বেশ ভালোমানের হলেও ইয়র্কশায়ারীয় ক্রিকেটার হিসেবে বোলিংয়ে নিখুঁত ভাব বজায় না থাকাটা বেশ বেমানান ছিল। এরপর থেকে তিনি অন্য বোলারদের সফলতায় আড়ালে থেকে যান। কেন্টের বিপক্ষে ৬/৫৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।

পরের বছর বিল বোস ও হেডলি ভেরিটি প্রাধান্য বিস্তার করলে স্মেইলস কম সুযোগ পান। তাসত্ত্বেও বলে তার নিখুঁতভাব বেশ উত্তরণ ঘটে। সাসেক্সের বিপক্ষে শেষ খেলায় প্রথমবারের মতো দশ উইকেট পান। তবে, অল্পের জন্যে শত উইকেট লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। ১৯৩৪ সাল শেষে স্মেইলসকে কাউন্টি ক্যাপ প্রদান করা হয়।[২] তাসত্ত্বেও ১৯৩৬ সালে প্রথমবারের মতো তিনি মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে অল-রাউন্ড ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। তিন ছক্কা সহযোগে ৭৭ রানের ইনিংসসহ ৬২ রান খরচায় দশ উইকেট পান। সমারসেটের বিপক্ষে ভেরিটি’র সাথে নবম উইকেট জুটিতে ১৬৭ রান সংগ্রহ করেন। কাউন্টি খেলাগুলোয় অন্যতম সেরা ঘটনা ছিল এটি। স্কারবোরার নর্থ মেরিন রোড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মিডলসেক্সের বিপক্ষে খেলায় ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে ৭/৭২ লাভ করেন। পাশাপাশি অফ-স্পিন বোলিংয়ের উত্তরণ ঘটাতে সচেষ্ট হন তিনি। নর্থকে নমনীয় উইকেটে ধারাবাহিকভাবে সহায়তার হাত প্রশস্ত করে নিজের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। এ ধরনের বোলিংয়ের ফলে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৯/৪১, নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ৬/৫৭ ও লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫/৩৯ পান।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩২ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ফ্রাঙ্ক স্মেইলসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পেশাদারী পর্যায়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে একনিষ্ঠভাবে খেলে গেছেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং ও বামহাতি বিনোদনধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনে সচেষ্ট ছিলেন। বেশ কয়েকবছর দূর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে খেলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ইয়র্কশায়ারের সাতবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে ২০.৭২ গড়ে ৮০২ উইকেট এবং ১৯.১৯ গড়ে ৫,৬৮৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। চার মৌসুমে শত উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৮ সালে ডাবল লাভ করেন। ঐ গ্রীষ্মে তিনটি শতরানের ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, শেফিল্ডে সারের বিপক্ষে ১১৬ রান তুলেন।

১৯৩৭ সালের অর্ধেক সময় বিল বোসের অনুপস্থিতির সুযোগে অন্য যে-কোন সময়ের তুলনায় অধিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে, ১৯৩৬ সালের ন্যায় বল হাতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। সর্বদাই স্থিরচিত্তে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে মৌসুমের শুরুতে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। পরবর্তীকালে স্মেইলস এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে, এ শতরানের ইনিংসটি তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা দিন ছিল।[২]

স্বর্ণালী সময়[সম্পাদনা]

১৯৩৮ সালে শেফিল্ডের তিনি তার স্মরণীয় কার্যকারিতা প্রকাশে সচেষ্ট হন। বোস, ভেরিটি ও এলিস রবিনসনের চেয়ে বোলিং গড়ে বেশ পিছিয়ে থাকেন। ১৩৭ রান খরচায় দশ উইকেট পেলেও বৃষ্টিতে তার এ সাফল্য ম্লান হয়ে যায়। ১৯১২ সালের পর সফররত অস্ট্রেলীয় একাদশের পরাজয়ের কবলে পড়েছিল।

ব্রামল লেনে এ. বি. সেলার্স অস্ট্রেলীয়দেরকে বৃষ্টিবিঘ্নিত টার্ফ পিচে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে স্মেইলস ২৯ ওভারে ৬/৯২ পান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও ৪/৪৫ লাভ করেন। তবে, বৃষ্টির কারণে ডি. জি. ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলীয় দলের বিপক্ষে সম্ভাব্য জয় থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। ফলে, ইংল্যান্ড দলে তার অবস্থান ত্রয়োদশ হলেও তৃতীয় টেস্টে মূল একাদশে রাখা হয়। ১৯৩৮ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে তাকে রাখা হয়। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে খেলাটি কোন বল মাঠে গড়ানো বাদেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।[১]

১৯৩৯ সালে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে শেফিল্ডে প্রথম ইনিংসে ৪/১১ লাভের পর ১০/৪৭ লাভ করে বিস্ময়কর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। এরপর, ব্যাট হাতে নিয়ে ২০ রান তুলেন। খেলায় তিনি ৫৮ রান খরচায় ১৪ উইকেটের সন্ধান পান। তবে, বড় ধরনের আঘাতের কারণে মৌসুমের অর্ধেক সময় কোন ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে পারেননি। দশ উইকেট লাভের মাধ্যমে কেবলমাত্র তৃতীয় ইয়র্কশায়ারীয় ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে তালিকায় যুক্ত করেন। তার পূর্বে অলঞ্জো ড্রেক একবার ও হেডলি ভেরিটি দুইবার পেয়েছিলেন।[২] ঐ গ্রীষ্মের পূর্বে হালে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে সেরা সফলতা পান। ৬/৩৫ পান তিনি। তন্মধ্যে, সবগুলোই ৩৭ বলে ১৭ রান খরচায় পেয়েছিলেন। এরপর, ৮/৬৮ পান। ১৯৩৬ সালে হেডিংলিতে সাতজন ওরচেস্টারশায়ারের ব্যাটসম্যানকে ২৪ রানের বিনিময়ে বিদেয় করেন। সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে ৪/২৬ ও ৬/৩৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

যুদ্ধের শুরুতে ১২৪তম ব্যাটারি লাইট অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট রয়্যাল আর্টিলেরিতে ভারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মেজর হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালের মধ্যে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান এবং উত্তর আফ্রিকায় রোমেলের আফ্রিকা কোরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। পরবর্তীতে সিসিল ও ইতালি অভিযানে যুক্ত হন। এখানে অবস্থানকালেই নিজ বন্ধু হেডলি ভেরিটি’র মৃত্যুসংবাদ শুনেন। তিনি কাসার্তায় ভেরিটি’র সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। আরেক ইয়র্কশায়ারীয় কাউন্টি ক্রিকেটার ফিল কিংয়ের সাথে ভেরিটি’র সমাধিস্থলের সাধারণ ক্রস স্থাপন করেন। এ পর্যায়ে তার শিরার স্ফীততা ও প্রতিদিনই পায়ে ব্যান্ডেজ লাগানো সাংঘর্ষিক হয়ে দাড়ায়।[২]

যুদ্ধ শেষে তিনি আর মাত্র ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। টেস্টের যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নেয়ার পর ১৯৪৬ সালে লর্ডসে সফররত ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফ্রাঙ্ক স্মেইলস। ২২ জুন, ১৯৪৬ তারিখে লর্ডসে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৪৪ লাভ করেন। এরপর, আর তাকে দলে রাখা হয়নি। তাসত্ত্বেও, ইয়র্কশায়ারের চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন।

যুদ্ধ পরবর্তী প্রথম কয়েকবছর নিয়মিত অধিনায়ক নরম্যান ইয়ার্ডলি’র অনুপস্থিতিতে দলকে মাঝে-মধ্যে নেতৃত্ব দিলেও তাকে বাদ দেয়া হয়। ১৯৪৮ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। £৫,১০৪ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে পানশালা পরিচালনা করেন। এরপর, আরও তিন মৌসুম ওয়ালসল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে তিন মৌসুম খেলেন।[২]

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

বলে নিখুঁতভাব বজায় রাখাসহ নিয়ন্ত্রণের কারণে বেশ কয়েকবার সুন্দর বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতে পেরেছিলেন। হার্বার্ট সাটক্লিফ, লেন হাটন, বিল বোস, হেডলি ভেরিটি কিংবা মরিস লেল্যান্ডের ন্যায় খেলোয়াড়দের কখনো সমতুল্য ছিলেন না। তবে, তিনি তার বৈচিত্র্যময়ীতার কারণে ইয়র্কশায়ার দলে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে পরিগণিত হন।

বিল বোসের সাথে নতুন বল নিয়ে সুইং করতেন কিংবা বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন।[২] এছাড়াও, বিপজ্জ্বনক বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৩৮ সালে সহস্রাধিক রান করেন। গ্ল্যামারগন ও সারে দলের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রতিযোগিতাধর্মী ক্রিকেট খেলা স্থগিত হলে অনেকের সাথে তিনিও তার স্বর্ণালী সময়কে হারান।[১]

দীর্ঘদিন ও ব্যথাদায়ক অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগেন। অতঃপর, ১ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে ৬০ বছর বয়সে ইয়র্কশায়ারের হ্যারোগেট হাসপাতালে ফ্রাঙ্ক স্মেইলসের দেহাবসান ঘটে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 148আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Warner, David; Howe, Martin (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 69–75। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]