ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পেত্রাস স্টিফেনাস ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ভেরিনিগিং, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৩ অক্টোবর ১৯৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফ্যানি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৬) | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ মার্চ ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৩) | ৭ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫–১৯৯৮ | নর্দার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
পেত্রাস স্টিফেনাস ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স (ইংরেজি: Fanie de Villiers; জন্ম: ১৩ অক্টোবর, ১৯৬৪) ট্রান্সভাল প্রদেশের ভেরিনিগিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভাল ও প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ে সবিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ‘ফ্যানি’ ডাকনামে পরিচিত ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]হাইডেলবার্গ ভকস্কুলে ভর্তি হন ও ১৯৮২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। বিদ্যালয়ে অবস্থানকালে দক্ষিণ আফ্রিকান বিদ্যালয়ের পক্ষে বর্শা নিক্ষেপকারী হিসেবে অংশ নেন। জনপ্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে ডি ভিলিয়ার্স তার আফ্রিকানভাষী সমর্থকদের কাছে ‘ভিনিজ ফ্যানি’ (ফাস্ট ফ্যাট) ডাকনামে পরিচিত ছিলেন।[১]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নর্দার্ন ট্রান্সভাল বি দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্সের। উভয় ইনিংসেই তিনি বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। তন্মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৩৩ পেয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৯০ সালে ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৮ টেস্ট ও ৮৩টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ২৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া গমনের উদ্দেশ্যে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মেলবোর্নে প্রথম টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু সিডনিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের মাধ্যমে নিজেকে টেস্ট পর্যায়ের উপযুক্ততা তুলে ধরতে সচেষ্ট হন তিনি। মাত্র ১১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হওয়া অস্ট্রেলিয়া দলকে বিপত্তি ঘটান। ঐ ইনিংসে তিনি ৬/৪৩ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে গ্লেন ম্যাকগ্রা’র চূড়ান্ত উইকেটটি ফিরতি ক্যাচ ছিল। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল নাটকীয়ভাবে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। খেলায় ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স ১০/১২৩ পেয়েছিলেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক টনি গ্রেগের অভিমত, চূড়ান্ত ইনিংস শুরুর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সম্ভাবনা ছিল মাত্র ১০০-১। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স মন্তব্য করেন যে, আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে আমরা কখনো খেলায় হাল ছাড়ি না।
অ্যাডিলেডের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে তেমন সুবিধে করতে না পারলেও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ১৯৮ মিনিট ক্রিজে অবস্থান করে মূল্যবান ৩০ রান করেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঐ টেস্টে দলটি পরাজয়বরণ করেছিল। এ সফরেই দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে রিমোট কন্ট্রোলচালিত গাড়ীতে করে ব্যাটসম্যানদের জন্য পানীয় সরবরাহ করেন।
ইংল্যান্ড গমন
[সম্পাদনা]১৯৯৪ সালে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের ফাস্ট বোলার ডেভন ম্যালকমের বিপক্ষে বাউন্সার ছুড়লে হেলমেটে লেগে মাঠে পড়ে যান। ভারসাম্য রক্ষার পর মাটিতে দাঁড়িয়ে কাছাকাছি থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, তোমাদেরকে এক হাত দেখে নেব! দ্বিতীয় ইনিংসে ডেভন ম্যালকম ৯/৫৭ পেয়েছিলেন। ঐ সময়ে তার এ বোলিং পরিসংখ্যানটি টেস্টের ইতিহাসে ষষ্ঠ সেরা ছিল ও ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয় পায়।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বাক্ষর রাখেন ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স। সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট নিয়ে গঠিত সিরিজে ১৭.৪৭ গড়ে ৩৬ উইকেট দখল করেন। জোহেন্সবার্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে অর্ধ-শতকের পাশাপাশি খেলায় দশ উইকেট পেয়েছিলেন। অপরাজিত ৬৬ রান সংগ্রহের পর ৬/৮১ ও ৪/২৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফলশ্রুতিতে ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন তিনি। এরপূর্বে ১৯৮৯ সালেও একই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
অবসর
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে নর্থওয়েস্টের সান সিটিতে অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বধিরদের দাতব্য সংস্থায় আর্থিক তহবিল গঠনে জড়িত হয়ে পড়েন। তার এক ভাই ও স্বীয় কন্যা বধিরগ্রস্ত। কেপটাউন থেকে প্রিটোরিয়া পর্যন্ত সাইকেল চালনা করে ৮০০০০০ র্যান্ড ও সেঞ্চুরিয়নে টেস্ট চলাকালীন ফ্লাডলাইটের শীর্ষে বসে ১৮৯০০০ র্যান্ড সংগ্রহ করেন।
২০০৩ সালে ট্রেভর চেস্টারফিল্ড ডি ভিলিয়ার্সের আত্মজীবনীমূলকগ্রন্থ ‘ফ্যানিডিভিলিয়ার্স: পোর্ট্রেট অব এ টেস্ট বোলার’ প্রকাশ করেন।
বলে ক্ষত বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০১৭-১৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৩য় টেস্ট চলাকালীন ৪র্থ দিনের সকালের অধিবেশনে অস্ট্রেলীয় দলের বলে ক্ষত সৃষ্টি করে রিভার্স সুইং করার ঘটনা চিহ্নিত করেন।.[২][৩] অন্যতম ধারাভাষ্যকার হিসেবে ক্যামেরা অপারেটরদেরকে প্রতারণার অনৈতিক বিষয়টি তুলে ধরতে পরামর্শ দেন।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ sahoboss (২০১১-০২-১৭)। "Petrus (Fanie) Stephanus De Villiers"। South African History Online। ২০১১-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৯।
- ↑ "HOW FORMER SOUTH AFRICA CAPTAIN HELPED SNARE THE CHEATING AUSTRALIANS"। Mail Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Ex-South Africa captain reveals he helped snare cheating Australians"। Mail Online। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Cherny, Daniel (২০১৮-০৩-২৬)। "Broadcaster claims he tipped off cameramen"। The Sydney Morning Herald (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "How broadcaster exposed cheating scandal" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Fanie de Villiers, the man who tipped off TV crew about ball tampering - Times of India ►"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- স্পিকারপার্টনারশীপ.কমে ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স
- ১৯৬৪-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- কেন্টের ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার
- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট কোচ
- নর্দার্নসের ক্রিকেটার
- প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- হিউগনট বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান