ফৌজদারী অপরাধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফৌজদারী অপরাধ বলতে সেসব অপরাধ বোঝায় যেগুলো দেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইন অনুযায়ী বিচারযোগ্য এবং শাস্তিযোগ্য। এই অপরাধের বিচার হয় ফৌজদারী আদালতে।

অপরাধের আমলযোগ্যতা[সম্পাদনা]

যে অপরাধ সমুহ সংগঠিত হলে পরে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে, ১৫৪ ধারায় এজহার রুজুর মাধ্যমে মামলা করতে পারে, ১৫৬ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত পরিচালনা করতে পারে সেই সকল অপরাধ সমুহকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে। ফৌজদারি কার্যবিধির ২য় তফসিলের ৩য় কলামে আমলযোগ্য অপরাধের তালিকা প্রদত্ত হয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধকে সাধারণত জামিনঅযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জামিনযোগ্য অপরাধ[সম্পাদনা]

ফৌজধারী কার্যবিধি 4(খ)ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধের বা "Bailable Offence" কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ‘জামিনযোগ্য অপরাধ’ হচ্ছে সে সকল অপরাধ যা ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে জামিনযোগ্য বলে দেখানো হয়েছে, অথবা যা বর্তমানে বলবৎ কোন আইন দ্বারা জামিন যোগ্য করা হয়েছে।

ফৌজদারী কার্যবিধি[সম্পাদনা]

ফৌজদারী কার্যবিধির উদ্দেশ্য হল মৌলিক আইনকে বলবৎ করার প্রক্রিয়া নির্ধারন। ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ভারতীয় দণ্ড বিধির কাঠামোতে তৈরী ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য দন্ডবিধির আওতায় পড়ে এমন অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান ও বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে করা হবে তা নির্দিষ্ট করে এই কার্যবিধি[১]

বিচারিক এখতিয়ার[সম্পাদনা]

ফৌজদারী আদালত দ্রষ্টব্য।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Criminal Procedure In India"। Academike। 12 Jan, 2015। সংগ্রহের তারিখ 24.01.17  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)