ফাদার চার্লস যোসেফ ইয়াং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফাদার চার্লস জে. ইয়াং (Fr. Charles J. Young)। তার জন্ম ৩ মে ১৯০৪ সালে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রচেস্টারে। বাবা ডানিয়েল ইয়াং এবং মা মেরী জেনিংস। তিন ভাইবোনের মধ্যে ফাদার ইয়াং দ্বিতীয়। তিনি স্কুল জীবনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। ১৯২৩ সালে ফাদার চার্লস নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তিনি সেখানকার মাইনর সেমিনারীতে থাকতেন। এরপরই তিনি নভিসিয়েটে যোগ দেন। ২ জুলাই, ১৯২৫ সালে তিনি পবিত্র ক্রুশ সম্প্রদায় থেকে প্রথম ব্রত গ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাটিনে বিএ পাস করেন। একই বছর ফাদার ইয়াং ওয়াশিংটনের ফরেন সেমিনারীতে যোগ দেন।[১] [২] [৩] [৪]

[৫]

তিনি ২৪ জুন, ১৯৩৩ সালে তাঁর সহপাঠীদের সাথে হলি ক্রস সম্প্রদায়ের যাজক পদ লাভ করেন। একই বছর তিনি ঢাকায় আসেন। ফাদার ইয়াং ১৯৫৩ সালে কানাডায় যান এবং ১৯৫৪ সালে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বয়স্ক এবং ক্রেডিট ইউনিয়ন শিক্ষার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন।

১৯৫৫ সালের ৩ জুলাই তিনি ৫০ জন সদস্য নিয়ে লক্ষ্মীবাজারে মাত্র ২৫ টাকা মূলধন নিয়ে একটি ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠন করেন। যা বর্তমানে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) নাম নিয়ে সদর্পে খ্রিষ্টান সমাজে উন্নয়নের মডেল হিসেবে এগিয়ে চলছে।

১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখ ঢাকার প্রেস ক্লাবের সামনে একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি পড়ে যান এবং মাথায় বড় ধরনের আঘাত পান। তখনই তিনি জ্ঞান হারান। এরপর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত ১১.০৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৬ নভেম্বর ফাদার ইয়াংকে তেজগাঁও গির্জায় সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়।

বিশেষ অবদান[সম্পাদনা]

তিনি বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের রূপকার। তার প্রতিষ্ঠিত ঢাকা ক্রেডিটের পথ ধরে বর্তমানে দেশ কয়েক হাজার সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি প্রথম খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সমবায়ের ধারণা নিয়ে কাজ করেন এবং তার শেখানো পথে হেঁটে আজ অনেক মানুষ সামাজে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]