বিষয়বস্তুতে চলুন

ফরিদপুর স্টেডিয়াম বধ্যভূমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরিদপুর স্টেডিয়াম বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভ
অবস্থানফরিদপুর
স্থানাঙ্ক২৩°৩৬′১৫″ উত্তর ৮৯°৫০′৩৯″ পূর্ব / ২৩.৬০৪১৭৩° উত্তর ৮৯.৮৪৪০৬৭° পূর্ব / 23.604173; 89.844067
সনাক্তকরণ১৯৯১; ৩৪ বছর আগে (1991)
নির্মিত২০১৮; ৭ বছর আগে (2018)

ফরিদপুর স্টেডিয়াম বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভ ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। ১৯৯১ সালে বধ্যভূমি হিসেবে সনাক্তকরণের পর ২০১৮ সালে বর্তমান স্মৃতিস্তমটি নির্মাণ করা হয়[][]

অবস্থান

[সম্পাদনা]

বধ্যভূমিটি ফরিদপুর পৌরসভার দক্ষিণ কালীবাড়ি এলাকায় শেখ জামাল স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বধ্যভূমির উত্তর দিকে ফরিদপুর জজ কোর্ট অবস্থিত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ফরিদপুর স্টেডিয়ামে (বর্তমানে শেখ জামাল স্টেডিয়াম) তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। পাকিস্তানি সেনারা এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিকামী তরুণদের ধরে এনে বন্দি করে হত্যা করত। হত্যা করে স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের পুকুর পাড়ে মৃত ব্যক্তিকে মাটি চাপা দেওয়া হতো। ঠিক কতজনকে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয় তা জানা যায়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের কয়েকদিন পর ওই বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়।[]

১৯৯১ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি নূর মোহাম্মদ বাবুল গণকবরের জায়গাটি চিহ্নিত করে ছোট আকারের একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছিলেন।[]

২০১৮ সালে এখানে বর্তমান স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।[] স্মৃতিস্তম্ভটি প্রায় ৭ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভের পাশে একটি লেক ও দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. আবু সাঈদ (২০১৯-১২-২৯)। "১৯৭১ সালে ফরিদপুর ও নরসিংদীতে ভয়াবহ গণহত্যা"প্রথম আলো। ২০২৪-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩১ 
  2. সুজিত কুমার দাস (২০২২-০৭-০৪)। "১৯৭১: বধ্যভূমি ফরিদপুর স্টেডিয়াম"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩১ 
  3. "ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি" (পিডিএফ)বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০২৪-১১-০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩১