প্লিমথ, ম্যাসাচুসেটস

স্থানাঙ্ক: ৪১°৫৭′৩০″ উত্তর ৭০°৪০′০৪″ পশ্চিম / ৪১.৯৫৮৩৩° উত্তর ৭০.৬৬৭৭৮° পশ্চিম / 41.95833; -70.66778
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Plymouth
Town
Court Street, Plymouth Center, 2009
Court Street, Plymouth Center, 2009
Plymouth পতাকা
পতাকা
Plymouth অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
ডাকনাম: America's Hometown
Location in Plymouth County in Massachusetts
Location in Plymouth County in Massachusetts
Plymouth মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এ অবস্থিত
Plymouth
Plymouth
Location within the United States
স্থানাঙ্ক: ৪১°৫৭′৩০″ উত্তর ৭০°৪০′০৪″ পশ্চিম / ৪১.৯৫৮৩৩° উত্তর ৭০.৬৬৭৭৮° পশ্চিম / 41.95833; -70.66778
Country United States
State Massachusetts
CountyPlymouth
RegionNew England
Settled1620
Incorporated1620[১]
নামকরণের কারণPlymouth, England
সরকার[২]
 • ধরনRepresentative town meeting
 • Town ManagerMelissa Arrighi
 • Chairman of the Board of SelectmenKenneth A. Tavares
আয়তন
 • মোট৩৪৭.০ বর্গকিমি (১৩৪.০ বর্গমাইল)
 • স্থলভাগ২৪৯.৮ বর্গকিমি (৯৬.৫ বর্গমাইল)
 • জলভাগ৯৭.২ বর্গকিমি (৩৭.৫ বর্গমাইল)
উচ্চতা[৩]৫৭ মিটার (১৮৭ ফুট)
জনসংখ্যা (2010)[৪]
 • মোট৫৮,২৭১
 • জনঘনত্ব২৩৪.৯/বর্গকিমি (৬০৮.১/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলEastern (ইউটিসি-5)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)Eastern (ইউটিসি-4)
ZIP Codes02345
02360
02361
02362
02381
এলাকা কোড508 / 774
FIPS code25-54310
GNIS feature ID0618349
ওয়েবসাইটwww.plymouth-ma.gov

প্লিমথ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। আমেরিকান ইতিহাস, লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে প্লিমথের ভূমিকা অপরিসীম। তাই একে বলা হয় "আমেরিকার জন্মশহর।" মে ফ্লাওয়ার জাহাজে করে আগত অভিবাসীরা ১৬২০ সালে নিউ ইংল্যান্ড উপনিবেশের অংশ হিসেবে প্লিমথ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ম্যাসাচুসেটসের সবচেয়ে পুরনো শহর, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি প্লিমথ। [৫] প্লিমথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম থ্যাংকসগিভিং বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এটি ১৬২০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্লিমথ উপনিবেশের রাজধানী ছিল। ১৬৯১ সালে প্লিমথ উপনিবেশ ম্যাসাচুসেটসের সাথে একীভূত হলে প্লিমথ রাজধানীর মর্যাদা হারায়। মে ফ্লাওয়ার জাহাজটি ইংল্যান্ডের প্লিমথ শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। এ থেকেই শহরটির নাম হয় প্লিমথ।

প্লিমথ বস্টন শহরের ৪০ মাইল দক্ষিণে সাউথ শোর এলাকায় অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দড়ি তৈরি, মাছ ধরা ও জাহাজশিল্পের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল প্লিমথ। প্লিমথ কর্ডেজ কোম্পানি বিশ্বের বৃহত্তম দড়ি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ছিল। প্লিমথ বন্দর আজও সক্রিয় রয়েছে ; কিন্তু বর্তমানে পর্যটন প্লিমথের আয়ের প্রধান উৎস। এখানে একটি বিমানবন্দর রয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম জাদুঘর পিলগ্রিম হল জাদুঘর প্লিমথে অবস্থিত। [৬] এটি আয়তনে ম্যাসাচুসেটসের সর্ববৃহৎ শহর। ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্লিমথের জনসংখ্যা ছিল ৫৮,২৭১। প্লিমথ ও ব্রকটন যৌথভাবে প্লিমথ কাউন্টির সদর দপ্তর। [৭]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগে প্লিমথ শহর একটি গ্রাম ছিল। এর নাম ছিল পাতুকসেট ও এতে ওয়ামপানোয়াগ জাতির মানুষ বসবাস করত। ১৬০৫ সালে স্যামুয়েল ডি চ্যাপলেইন প্লিমথ বন্দরে আগমন করেন এবং এর নাম দেন "সেন্ট লুইস বন্দর।" ক্যাপ্টেন জন স্মিথ ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্লিমথের কড বে উপকূলের অনেক জায়গা আবিষ্কার করেন। ধারণা করা হয়, তিনিই প্লিমথ ও এর আশপাশের এলাকার এর নাম দিয়েছিলেন "নিউ প্লিমথ।"[৮]

১৬১৪ ও ১৬১৭ সালে এখানে ভয়াবহ প্লেগ দেখা দেয়, যার ফলে ওয়ামপানোয়াগ জাতির ৯০-৯৫% মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

১৬২০ সালের ডিসেম্বরে সংস্কারপন্থী খ্রিস্টানরা প্লিমথ শহর প্রতিষ্ঠা করেন। তারা মনে করতেন, চার্চ অব ইংল্যান্ড প্রোটেস্টান্টদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মে ফ্লাওয়ার জাহাজে করে তাঁরা আমেরিকায় আগমন করেন। ইতিহাসে তারা "পিলগ্রিম" বা তীর্থযাত্রী নামে পরিচিত। উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড "পিলগ্রিম" শব্দটির প্রবর্তন করেছিলেন। [৯]

১৬২০ সালের ১১ নভেম্বর ম্যাসাচুসেটসের প্রোভিন্সটাউন বন্দরে মে ফ্লাওয়ার জাহাজ আগমন করে। তারা তৎকালীন ভার্জিনিয়া উপনিবেশের ম্যানহাটন বন্দরে জাহাজ থামাতে চাইলেও জাহাজটি কড উপকূল থেকে বেশি দূরে যেতে ব্যর্থ হয়।

২১ ডিসেম্বর জাহাজযাত্রীরা আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজ থেকে অবতরণ করেন। কিংবদন্তি অনুযায়ী তারা সর্বপ্রথম প্লিমমথ রকে পা রাখেন, যদিও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

প্লিমথের বাসিন্দারা তীব্র শীত ও খাদ্যাভাবে প্রচুর কষ্ট পান। তারা অল্প ভুট্টা ও শিম খেয়ে কোনোভাবে দিনাতিপাত করেন। আদিবাসী আমেরিকান সামোসেট ও তিসকোয়ান্টাম তীর্থযাত্রীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। তিসকোয়ান্টামকে ১৬১৪ সালে এক ইংরেজ দাসব্যবসায়ী ধরে স্পেনের মালাগায় বিক্রি করে দেন। ১৬১৯ সালে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। তিনি তীর্থযাত্রীদের মাছ ধরা, জাহাজনির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন। ওয়ামপানোয়াগ আদিবাসীদের গোত্রপ্রধান মাসোইট তিসকোয়ান্টামকে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন।

১৬২১ সালে মাসোইট তীর্থযাত্রীদের সাথে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। ঐ বছর প্রচুর শস্য উৎপাদিত হওয়ায় তীর্থযাত্রীরা সামোসেট, তিসকোয়ান্তাম, মাসোইট ও ওয়ামপানোয়াগ গোত্রের আদিবাসী আমেরিকানদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে উৎসব আয়োজন করেন। এটি আমেরিকার প্রথম "থ্যাংকসগিভিং"বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনুষ্ঠান। ১৯৪১ সাল থেকে এটি সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। [১০]

স্বাধীনতাযুদ্ধ[সম্পাদনা]

আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধে কর্নেল থিওফিলাস কটন প্লিমথ কাউন্টির সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। কংকর্ড ও লেক্সিংটনে যুদ্ধের খবর প্লিমথে ছড়িয়ে পড়লে কটন মার্সফিল্ড শহরের দিকে অগ্রসর হন। তারপর তিনি ব্রিটিশ সেনাদের বস্টন পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।[১১]

আধুনিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্লিমথ ও বস্টনের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। জমির কম দাম, নিম্ন করহার ও বস্টনের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে বসবাসের জন্য এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৭০-১৯৯০ পর্যন্ত বিশ বছর প্লিমথের জনসংখ্যা ১৪৫% বৃদ্ধি পায়। [১২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

প্লিমথের আয়তন ৩৪৭ বর্গকিলোমিটার। এর ২৫০ বর্গকিলোমিটার স্থল ও ৯৭ বর্গকিলোমিটার জল।

প্লিমথের উল্লেখযোগ্য এলাকা হলো প্লিমথ সেন্টার, নর্থ, ওয়েস্ট অ্যান্ড সাউথ প্লিমথ, ম্যানোমেট, সেডারভিল ও সাকুইস নেক।

প্লিমথের আটলান্টিক উপকূলীয় এলাকা সমতল ;অপরদিকে এর পশ্চিমভাগ অত্যন্ত উঁচু ও জঙ্গলাকীর্ণ। এর দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় মাইলস স্ট্যান্ডিশ বন অবস্থিত।

প্লিমথের নয়টি সৈকতের মধ্যে প্লিমথ সৈকত আয়তনে সর্ববৃহৎ। ক্লার্কস দ্বীপ প্লিমথের একমাত্র দ্বীপ।

জনমিতি[সম্পাদনা]

প্লিমথের জনসংখ্যা ৫৬,৪৬৮। এখানে ১৪,৭৪২টি পরিবার বসবাস করে। এটি জনসংখ্যায় ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ২১তম বৃহত্তম শহর। প্লিমথের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২০৭ জন।[১৩]প্লিমথের বাসিন্দাদের মধ্যে ৯৩.৮% শ্বেতাঙ্গ, ২% কৃষ্ণাঙ্গ, ০.৩% আদিবাসী আমেরিকান ও ০.৯% এশীয়। এদের ১.৮% হিস্পানিক অথবা লাতিনো। [১৪]

প্লিমথের পরিবারগুলোর গড় আয় ৬৩,২৬৬ মার্কিন ডলার। পুরুষদের গড় আয় ৪৪,৯৮৩ ডলার ও নারীদের গড় আয় ৩১,৫৬৫ ডলার। ৫.৪% বাসিন্দা ও ৪.৪% পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এদের মধ্যে ৭.১% এর বয়স ১৮ বছরের নিচে ও ৬.৯% এর বয়স ৬৫ বছরের উপরে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Town and City Information"। Plymouth County Development Council। ২০০৮-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৬ 
  2. "Town Departments: Town Manager's Office"। Town of Plymouth। ২০০৭-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-৩০ 
  3. "Town of Plymouth"Geographic Names Information System. U.S. Geological Survey। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-৩১ 
  4. "Town of Plymouth Population Projections" (PDF)। Town of Plymouth। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-০৪ 
  5. https://web.archive.org/web/20070928180631/http://www.glo-con.com/article/article_no/3022/
  6. https://www.nytimes.com/2000/09/03/realestate/where-the-pilgrims-lived-megaprojects-now-loom.html
  7. http://www.naco.org/Counties/Pages/FindACounty.aspx
  8. http://etext.virginia.edu/users/deetz/Plymouth/Maysource.html
  9. https://web.archive.org/web/20080116043600/http://pilgrims.net/plymouth/history/
  10. http://wilstar.com/holidays/thankstr.htm
  11. https://historicaldigression.com/2011/01/10/the-almost-battle-of-marshfield/
  12. http://www.usgennet.org/usa/ma/county/plymouth/towns/plymouth.htm
  13. https://archive.today/20200212055711/http://factfinder.census.gov/faces/tableservices/jsf/pages/productview.xhtml?pid=DEC_10_DP_DPDP1
  14. https://archive.today/20200212055711/http://factfinder.census.gov/faces/tableservices/jsf/pages/productview.xhtml?pid=DEC_10_DP_DPDP1