বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রাগপুর স্থল বন্দর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রাগপুর স্থলবন্দর কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রস্তাবিত স্থলবন্দর[][] এটি কুষ্টিয়া জেলার প্রথম এবং একমাত্রস্থলবন্দর[][]

প্রাগপুর স্থলবন্দর
মানচিত্র
অবস্থান
দেশ বাংলাদেশ
অবস্থানপ্রাগপুর, দৌলতপুর উপজেলা, কুষ্টিয়া
স্থানাঙ্ক২৪°০০′১২″ উত্তর ৮৮°৪৫′৪৯″ পূর্ব / ২৪.০০৩২২৮২° উত্তর ৮৮.৭৬৩৬২০৭° পূর্ব / 24.0032282; 88.7636207
বিস্তারিত
পোতাশ্রয়ের ধরনসরকারি স্থলবন্দর
বন্দর স্থাপনের জন্য ঘোষণা২০১১; ১৪ বছর আগে (2011)

অবস্থান

[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে প্রাগপুর সীমান্ত এলাকা। প্রাগপুরের ভারতীয় সীমান্ত অংশের নাম শিকারপুর, যা পশ্চিমবঙ্গের কাসিমপুর থানার অন্তর্ভুক্ত। প্রাগপুর এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার। আর প্রাগপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার।[] প্রাগপুর পয়েন্ট দিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে কলকাতার মোট দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার।[]

প্রাগপুর থেকে লালন শাহ সেতু হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক এন৭০৪-এর দুরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ওপারে পশ্চিমবঙ্গের শিকারপুরে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০১১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাজাহান খান কুষ্টিয়া জেলায় সফরে এসে প্রাগপুর সীমান্তে প্রাগপুর স্থলবন্দর স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরপর প্রাগপুর সীমান্তে সরেজমিনে স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।[] কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১১ সালে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ত্রি-মোহিনীতে একটি দিক নির্দেশনামূলক বোর্ড স্থাপন করেন।[] বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে প্রাগপুর স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেয়।[]

২০২৩ সালের ১৮ই মে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার প্রাগপুর স্থলবন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।[]

গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

প্রাগপুর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।[] ২০১২ সালে ০৬টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়, এর মধ্যে প্রাগপুর স্থলবন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।[]

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্যদের বক্তব্য-

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  2. 1 2 3 4 এস এম আব্বাস, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট (২১ আগস্ট ২০১২)। "স্থাপিত হতে যাচ্ছে আরো ০৬টি স্থলবন্দর"বাংলা নিউজ ২৪। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  3. 1 2 3 4 কুষ্টিয়া (১৯ জুলাই ২০২৩)। "এক যুগ ধরেই শুধু তৎপরতা, বাস্তবায়নে নেই অগ্রগতি"জাগো নিউজ ২৪। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  4. কুষ্টিয়া, প্রতিনিধি (১৫ নভেম্বর ২০২২)। "পুরোদমে চলছে ১২ স্থলবন্দর, ঢেলে সাজানো হচ্ছে আরও ১২টি"জাগো নিউজ ২৪। ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  5. 1 2 3 4 কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (২৭ আগস্ট ২০১৬)। "প্রাগপুরে ৫ বছরেও শুরু হয়নি স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ"বাংলা ট্রিবিউন। ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  6. দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), প্রতিনিধি (১৯ মে ২০২৩)। "দৌলতপুরে প্রস্তাবিত স্থলবন্দরের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার"মানবজমিন। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৪