প্রসিত বিকাশ খীসা
প্রসিত বিকাশ খীসা | |
---|---|
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৯৯৮ | |
নির্বাচনী এলাকা | পার্বত্য চট্টগ্রাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খাগড়াছড়ি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
যে জন্য পরিচিত |
|
সামরিক পরিষেবা | |
যুদ্ধ | পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত |
প্রসিত বিকাশ খীসা হলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন নেতা। তিনি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে এর সভাপতি৷ কথিত আছে, তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে বলেন যে, এই চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।[১][২][৩]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]খীসার অধীনে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। কিন্তু এই অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান। ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ ভেঙে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আরেকটি দল গঠিত হয়।[৪][৫]
সাম্প্রতিককালে খীসার অধীনে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে প্রাণঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক উপত্যকায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ইউপিডিএফের দুইজন সদস্য নিহত হন। ইউপিডিএফ এই হামলার জন্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে।[৬]
২০২২ সালের জুন মাসে খীসা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য নতুন করে শান্তি চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর এমদাদুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মেজর এমদাদুল এর পূর্বে ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "প্রসিত বিকাশ খীসা সম্পর্কে তথ্য"। হিল নিউজ বিডি। ৮ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "প্রসিত বিকাশ খীসা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "CHT Peace Accord: Emergence of new armed group poses huge challenge"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "Three UPDF members killed in Rangamati"। বাংলা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ রাজু, ফজলুর রহমান (৬ মে ২০১৮)। "What is happening in the CHT?"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Two UPDF members killed in Rangamati tourist hotspot Sajek"। বিডিনিউজ২৪.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "Bangladesh: CHT And Violent Factionalism – Analysis"। ইউরেশিয়া রিভিউ (ইংরেজি ভাষায়)।