প্রবেশদ্বার:বলিউড/নির্বাচিত অভিনেত্রী/৮

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদ্যা বালান

বিদ্যা বালান (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৭৮) একজন ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় জীবনে তিনি এ যাবৎ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়। তরুণ বয়সেই চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটে এবং ১৯৯৫ সালে হাম পাঁচ হিন্দি সিটকমের মাধ্যমে প্রথম অভিনয়ে আসেন। তিনি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করার পূর্বে ভিন্ন-ভিন্ন পেশায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার পর ২০০৩ সালে তিনি ভাল থেকো স্বাধীন বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র পরিণীতা'য় ললিতা চরিত্রে অভিনয় ছিল তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং পরবর্তী বছর ২০০৬ সালে রম্য-নাট্যধর্মী লাগে রাহো মুন্না ভাই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে। এই সাফল্যের পর তিনি প্রণয়ধর্মী রম্য হেই বেবি (২০০৭) ও কিসমত কানেকশন (২০০৮) চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যার ফলে তিনি নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেন। ২০০৯ সালে বিদ্যার কর্মজীবনের সর্বাধিক সাফল্যের সূচনা ঘটে পা নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর ২০১০ সালের ব্ল্যাক কমেডি ইশ্‌কিয়া, ২০১১ সালের অর্ধ-জীবনীমূলক থ্রিলার নো ওয়ান কিলড জেসিকা, জীবনীমূলক চলচ্চিত্র দ্য ডার্টি পিকচার এবং ২০১২ সালের থ্রিলারধর্মী কাহানী চলচ্চিত্রে তিনি সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। এ সকল চরিত্রসমূহ তাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের নেতৃত্বস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে পরিণত করে। পরে তিনি কাহানির অনুবর্তী পর্ব কাহানি ২: দুর্গা রানী সিং ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও বিদ্যার অভিনয় প্রশংসিত হয়। ২০১৭ সালে তিনি রেডিও জকি চরিত্রে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনকারী রম্য-নাট্য তুমহারি সুলু চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। বিদ্যা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মানবহিতৈষী কার্যকলাপে জড়িত রয়েছেন এবং নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক হিসেবে অবদান রেখেছেন। প্রাথমিকভাবে তার ভারী শরীর এবং প্রশ্নসাপেক্ষ পোশাক নির্বাচনের কারণে তাকে বিভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি ২০১২ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে তিনি ভারতীয় কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হন।