প্রজ্ঞালোক মহাস্থবির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রজ্ঞালোক মহাস্থবির
জন্ম
ধর্মরাজ বড়ুয়া

১৮৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বৈদ্যপাড়া গ্রাম
পেশাপালি ভাষার একজন পণ্ডিত, লেখক ও বক্তা এবং বৌদ্ধধর্মের প্রচারক, শিক্ষাবিদ ও লেখক
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মহাভাগ্গ (১৯৩৭) সহ ত্রিশেরও বেশি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন

প্রজ্ঞালোক মহাস্থবির (১৮৭৯-১৯৭১) পালি ভাষার একজন পণ্ডিত, লেখক ও বক্তা এবং বৌদ্ধধর্মের প্রচারক, শিক্ষাবিদ ও লেখক ছিলেন।[১][২]

জীবন[সম্পাদনা]

১৮৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বৈদ্যপাড়া গ্রামে ধর্মরাজ বড়ুয়া হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি আচার্য পুন্নাচর মহাস্থবিরের সংস্পর্শে এসেছিলেন ২১ বছর বয়সে। তিনি আচার্যের কাছ থেকে শ্রামণ্য ও উপসম্পদা শাক্যমুনি বিহারে প্রাপ্ত হন এবং ১৯০৯ সালে তিনি নাইখায়িনে ধর্ম এবং বিনয় পড়াশোনা করেন।[১] বাংলায় ফিরে তিনি বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য তাঁর তরুণ ভিক্ষু ছাত্র বন্ধুদের সাথে জিনশাসন সমাগম নামে একটি সমিতি গঠন করেন।[১]

আক্যাবে, তিনি বাঙালি বৌদ্ধদের সমর্থন নিয়ে বঙ্গীয় বৌদ্ধ সমিতি এবং একটি বিহার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ধর্মদূত বিহারের অধ্যক্ষ হন। ১৯২৮ সালে, প্রজ্ঞালোক ও সুধাংশু বিমল বড়ুয়া এবং বহু বাঙালি বংশোদ্ভূত বৌদ্ধদের নিয়ে রেঙ্গুনে বৌদ্ধ মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে ধ্বংস হওয়া প্রেসটি বাংলা ভাষায় ত্রিপিটক গবেষণার সূচনা করেছিল এবং ১৯৩০ সালে সংঘশক্তি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছিল। প্রেসটি ধ্বংস হয়ে গেলে, প্রজ্ঞালোক পায়ে হেঁটে উত্তর বার্মা এবং আসাম হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।[১] ১৯৩৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রজ্ঞালোকের জন্মবার্ষিকীতে বার্মার প্রবীণতম ভিক্ষুমন্ডলী এক মহাসংঘদানের আয়োজন করে তাঁকে ‘বুদ্ধ শাসন বীর্যস্তম্ভ শাসন ধ্বজ’ উপাধি প্রদান করেন।[২] তিনি ১৯৭১ সালের ১২ মেতে চট্টগ্রামে মারা যান।[১]

কাজ[সম্পাদনা]

তিনি ত্রিপিটক প্রকাশনা তহবিল, চট্টগ্রামে প্রকাশিত বিনয়পিটকের অনুবাদ মহাভাগ্গ (১৯৩৭) সহ ত্রিশেরও বেশি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। সীতাকুণ্ডে থাকাকালীন তিনি ভিক্ষু পতিমোক্ষের রচনাগুলি ভাষ্যসহ অনুবাদ করেছিলেন এবং পাঠ্যপুস্তক পালি পাঠম শিক্ষা এবং ভিক্ষু কর্তব্য ও গৃহী কর্তব্য লিখেছিলেন। তিনি মিলিন্দপ্রশ্ন (২ খণ্ড), থেরগাথা, লোকনীতি, তেলকটাহ গাথা, পালি ত্রিপিটক (পত্রিকা), প্রবাস সুহূদ, গৃহীনীতি, নামরূপ, বুদ্ধের যোগনীতি, বিদর্শন ভাবনা, আর্যসত্য, ধম্মপদ, সুত্ত বিভঙ্গ এবং বুদ্ধের ধর্ম পরিচয় অনুবাদ, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ভিক্ষু সুনীথানন্দ (২০১২)। "মহাস্থবির, প্রজ্ঞালোক"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. সুকোমল বড়ুয়া (২০১২)। "পালি"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]