বিষয়বস্তুতে চলুন

পেরিন জামসেদজি মিস্ত্রি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেরিন জামসেদজি মিস্ত্রি
জন্ম১৯১৩
মৃত্যু১৯৮৯ (বয়স ৭৫–৭৬)
শিক্ষাক্রয়ডন হাই স্কুল, স্যার জামসেৎজি জিজিবয় স্কুল অফ আর্ট
পেশাস্থপতি

পেরিন জামশেদজি মিস্ত্রি (১৯১৩ – ১৯৮৯) ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা, যিনি স্থপতি হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।

প্রাথমিক জীবন এবং পরিবার

[সম্পাদনা]

পেরিন জামশেদজি মিস্ত্রি প্রকৌশলী এবং মাস্টার নির্মাতাদের একটি বিখ্যাত পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা মূলত নভসারির বাসিন্দা। তাঁর বাবা, বিশিষ্ট নগর স্থপতি এবং প্রকৌশলী, জামশেদজি পেস্টনজি মিস্ত্রি, স্থাপত্য সংস্থা মিস্ত্রি ও ভেদওয়ার (পরবর্তীতে ডিচবার্ন, মিস্ত্রি ও ভেদওয়ার) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা মেরিন লাইনসে আর্ট ডেকো মেট্রো সিনেমা, ফোর্টে এইচএসবিসি ব্যাংক ভবন, কোলাবা এবং কাফ প্যারেড সমুদ্র প্রাচীর, কাফে প্যারেডে তারাপোরেওয়ালা প্রাসাদ এবং মুম্বাই বিমানবন্দরের প্রথম রানওয়ে নির্মাণ করেছিল। পেরিন মিস্ত্রির ছোট ভাই, স্থপতি মিনোচার 'মিনু' মিস্ত্রি, ভারতীয় শিল্প ও স্থাপত্য প্রকাশনা, মার্গ-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন।

বোম্বেতে গুজরাটি ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর, তিনি পাঁচগনির মিস কিমিনস হাই স্কুলের আবাসিক হন। ১০ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ক্রয়ডন হাই স্কুল থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন শেষ করেন।[] বোম্বে ফিরে এসে তিনি স্যার জামশেদজি জিজিবয় (জেজে) স্কুল অফ আর্টে ভর্তি হন এবং ১৯৩৬ সালে স্থাপত্যে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। ১৯৩৭ সালে, তিনি তাঁর বাবার সংস্থা মেসার্স মিস্ত্রি এবং ভেদোয়ার-এ যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে অংশীদার হিসেবে তিনি এখানে কাজ করে গেছেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

পেরিনের প্রথম প্রধান কাজ ছিল, কারমাইকেল রোডে স্যার বেহরামজি করঞ্জিয়ার আকাশচুম্বী, আর্ট ডেকো বাংলো নির্মাণ। তাঁর অন্যান্য কয়েকটি কাজের মধ্যে ছিল সরকারি, আবাসিক এবং শিল্প ভবন নির্মাণ, তালিকায় ছিল বোরিভালির খাতাউ মিল এবং কাম্বালা পাহাড়ের সেন্ট স্টিফেনস চার্চ। জেজে-তে, একটি বিতর্কের সময় মনে করা হয় পেরিন যুক্তি দিয়েছিলেন যে, "যদি পুরুষদের গৃহস্থালির কাজ করতে বাধ্য করা হত, তাহলে তারা বুঝতে পারত যে কার্নিশ, খোদাই করা অলঙ্কার এবং অন্যান্য ধুলোর ফাঁদ এড়ানো কতটা অগ্রগতি।" ১৯৩৬ সালে, যখন পেরিন স্থাপত্যে সরকারি ডিপ্লোমা অর্জনের খবর প্রকাশ করেন, তখন তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে একটি বেনামী চিঠিতে ২৩ বছর বয়সী এই তরুণীর প্রশংসা করে লেখা হয় যে, তিনি সেইসব মহিলাদের সুবিধার জন্য ঘর থেকে "বাইরে" বেরিয়ে এসেছেন যাদের জীবন ঘরেই "কেটে" যায়। "আমি নিশ্চিত, আমি যে ভবনে থাকি তার স্থপতি যে ভুল করেছেন, একজন মহিলা স্থপতি সেই ভুল করবেন না, (এই বাড়ির স্থপতি ভেবেছেন যে) পরিবারগুলি সন্তান ধারণ বন্ধ করে দিয়েছে," গৃহিণীটি আরও যোগ করেছেন যে "প্রথম শ্রেণীর পাড়ায়" অবস্থিত তাঁর "ব্যয়বহুল" বাড়িতে তাঁর বাচ্চাদের পোশাক শুকোনোর জন্য "ক্ষুদ্রতম বারান্দা" পর্যন্ত ছিল না। কারমাইকেল রোডে পেরিনের প্রথম বাংলো, যেখানে চওড়া এবং লম্বা বারান্দা ছিল, নামহীন মাকে অবশ্যই খুশি করেছে।[]

পেরিনের আগ্রহের মধ্যে ছিল পিয়ানো বাজানো থেকে শুরু করে হকি খেলা, বাগান করা এবং বোম্বের হাফকাইন ইনস্টিটিউটে সাপ নিয়ে পড়াশোনা করা। তিনি ব্যবসায়ী আর্দেশির ভিওয়াণ্ডিওয়ালাকে বিয়ে করেন এবং বান্দ্রার পালি হিলে চলে আসেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "India's first woman architect – a tribute to Perin J. Mistri"Art Deco Mumbai। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৯, ২০২২ 
  2. "Perin Mistri"Women in Architecture। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৯, ২০২২ 
  3. Ram, Sharmila Ganesan। "How this woman architect made a room for herself in Mumbai"Times of India। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৯, ২০২২