পূর্ব তিমুর–মালয়েশিয়া সম্পর্ক
মালয়েশিয়া |
পূর্ব তিমুর |
|---|---|
পূর্ব তিমুর-মালয়েশিয়া সম্পর্ক অথবা তিমুর লেস্তে-মালয়েশিয়া সম্পর্ক, পূর্ব তিমুর এবং মালয়েশিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে মালয়েশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] অপরদিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পূর্ব তিমুরের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২]
পূর্ব তিমুর এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক এই সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, আসিয়ানে পূর্ব তিমুরের সদস্যপদ লাভের বিষয়টিতে মালয়েশিয়া সমর্থন প্রদান করছে। এর পাশাপাশি মালয়েশিয়া পূর্ব তিমুরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকেও সমর্থন করে এবং সে লক্ষ্যে দেশটিকে সাহায্যও করছে।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৯৯ সাল থেকে, মালয়েশিয়া জাতিসংঘের বেশ কিছু শান্তিরক্ষা মিশন এর অধীনে পূর্ব তিমুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২০০৬ পূর্ব তিমুর সংকট চলাকালীন সময় অপারেশন অ্যাসটুট উল্লেখযোগ্য।[৩]
এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে মালয়েশিয়া, পূর্ব তিমুরের মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছে। বর্তমানে, পূর্ব তিমুর কর্তৃপক্ষ।[৪][৫][৬]
বর্তমানে, পূর্ব তিমুর পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানে যোগ দিতে আগ্রহী। এজন্যে দেশটি আসিয়ানের নিকট আবেদনও পেশ করেছে। আসিয়ানের সদস্য হওয়ার জন্য পূর্ব তিমুরের এই আগ্রহকে মালয়েশিয়া সমর্থন জানায় এবং আসিয়ানে পেশ করা পূর্ব তিমুরের আবেদনে মালয়েশিয়া সমর্থন প্রদান করেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা]
পূর্ব তিমুর এবং মালয়েশিয়া দুই দেশই বর্তমানে সমন্বয়ের ক্ষেত্র বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পে সমন্বয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে বর্তমানে পূর্ব তিমুরে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন চিহ্ন পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁ, ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় , অবকাঠামো খাতের পণ্য সরবরাহ এবং যানবাহনের অব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সরবরাহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।[৭][৮]
২০০৮ সালে, মালয়েশিয়া এবং পূর্ব তিমুরের মধ্যে উন্নয়ন সমন্বয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সমন্বয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকে মালয়েশিয়ার পক্ষে মালয়েশিয়া সাবাহ বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়, অপরদিকে পূর্ব তিমুরের পক্ষে দেশটির পূর্ব তিমুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়। এর পরবর্তী দিনেই এই দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।[৯][১০]
২০১২ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) মার্কিন ডলার। যা পরবর্তীতে ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২১.২ মিলিয়ন (২.১২ কোটি) মার্কিন ডলার।
পূর্ব তিমুর সরকার তেল এবং গ্যাস খাতে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী। এ ব্যাপারে দেশটির সরকার নিজেদের এ আগ্রহের কথা জানিয়ে মালয়েশিয়ার সরকারকে প্রস্তাবও দিয়েছে।[১১][১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Official Website of Embassy of Malaysia, Dili"। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Embassy of Timor-Leste Kuala Lumpur - Malaysia"। পূর্ব তিমুর সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- 1 2 "STATEMENT BY H.E. AMBASSADOR HUSSEIN HANIFF, PERMANENT REPRESENTATIVE OF MALAYSIA TO THE UNITED NATIONS AT THE SECURITY COUNCIL DEBATE ON THE SITUATION IN TIMOR-LESTE, NEW YORK, 22 FEBRUARY 2012" (পিডিএফ)। জাতিসংঘ। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Timor Leste hopes to be associated with M'sian Parliamentary Friend"। বার্নামা, দ্যা সান ডেইলি। ২ অক্টোবর ২০১৩। ২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Timor Leste wants to emulate Malaysia's development plans"। বার্নামা, দ্যা বোর্নিও পোস্ট। ২ অক্টোবর ২০১৩। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ আদিব পোভেরা এবং কোই কি লি (১ এপ্রিল ২০১৪)। "'Malaysia an excellent example for Timor-Leste'"। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Malaysian FM: Malaysia, Timor-Leste must expand scope of cooperation"। জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি। ২৪ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Timor Leste's diplomat with a difference"। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ জুহরিন আজম আহমাদ (১ এপ্রিল ২০১৪)। "Najib: Country inviting new bids for oil and gas exploration and development"। দ্যা স্টার। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ বালকিস লিম (৩১ মার্চ ২০১৪)। "iHEAL signs MoU to provide better healthcare in Timor Leste"। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ কোই কি লি (৩১ মার্চ ২০১৪)। "PM: Malaysia-Timor Leste to boost bilateral trade"। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Timor-Leste Keen On Tie-Ups With Malaysia's 0&g Industry Players"। বার্নামা। ১ এপ্রিল ২০১৪। ১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৪।