বিষয়বস্তুতে চলুন

পূর্ববঙ্গ আইনসভা নির্বাচন, ১৯৫৪

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পূর্ববঙ্গ আইনসভা নির্বাচন, ১৯৫৪

← ১৯৪৬ ১৯৫৪ ১৯৭০ →

পূর্ববঙ্গ আইনসভার মোট ৩০৯টি আসনে
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৫৬টি আসন
  প্রথম দল দ্বিতীয় দল
 
নেতা/নেত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক
দল যুক্তফ্রন্ট তফসিলি জাতি ফেডারেশন
আসন লাভ ২২৩ ২৭

  তৃতীয় দল চতুর্থ দল
 
নেতা/নেত্রী নুরুল আমিন
দল জাতীয় কংগ্রেস মুসলিম লীগ
নেতা হয়েছেন ১৯৫১
আসন লাভ ২৪

নির্বাচনের পূর্বে পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

গভর্নরের শাসন
মুসলিম লীগ

পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

আবুল কাশেম ফজলুল হক
যুক্তফ্রন্ট

পূর্ববঙ্গ আইনসভা নির্বাচন ১৯৫৪ বা পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচন ১৯৫৪, পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী দল দুটি ছিল মুসলিম লীগযুক্তফ্রন্ট।যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা আর মুসলিম লীগের প্রতীক ছিল হারিকেন। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দলপাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। তাই এ নির্বাচনকে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনও বলা হয়ে থাকে। সাথে আরো ছিল মৌওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম পার্টি[] যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রাদেশিক সরকারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও গভর্নরের শাসন চালু করে।[]

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত পূর্ববঙ্গ মন্ত্রিসভা

নির্বাচনের ফলাফল

[সম্পাদনা]

১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের (সর্বমোট আসন ছিল ৩০৯ টি) মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২১৫ টি (পরে স্বতন্ত্র থেকে ৮ জন যোগ দিলে আসন সংখ্যা হয় ২২৩ টি) । তন্মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪৩ টি, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি ৪৬ টি, নেজামী ইসলাম পার্টি ২১ টি, যুবলীগ ১৫ টি, গণতন্ত্রী দল ১৩ টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪ টি ও পরে যোগ দেওয়া স্বতন্ত্র ৮ টি।[][] । এছাড়াও অন্যান্য দলের মধ্যে খেলাফতে রব্বানী পেয়েছিল ১ ও স্বতন্ত্র থেকে ৩ টি। স্বতন্ত্র আসন সহ আওয়ামী লীগের মোট আসন হয় ১৪৩টি এবং কেএসপির মোট আসন হয় ৪৮টি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে এ নির্বাচনে পরাভূত হয় ; তারা কেবল ৯টি আসন লাভ করতে সমর্থ হয, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ১ জন মুসলিম লীগে যোগ দিলে তাদের সর্বমোট আসনসংখ্যা দাড়ায় ১০। এছাড়াও খিলাফতে রব্বানী ১ টি ও অন্য ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসন লাভ করেন।

এ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭২টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এগুলোর মধ্যে শিডিউল্ড কাস্ট ফাউন্ডেশন ২৭টি, কংগ্রেস লাভ করেছিল ২৪টি আসন, যুক্তফ্রন্ট ১৩, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি, বৌদ্ধ ২, খ্রিস্টান ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন।

১৯৫৪ সালের পূর্ব পাকিস্তান পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের আসন প্রাপ্তির ছক
সর্বমোট আসন মুসলিম আসন যুক্তফ্রন্টের প্রাপ্তি
যুক্তফ্রন্ট স্বতন্ত্র সমর্থন মোট
৩০৯ ২৩৭ ২১৫ ২২৩

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://www.azadiserver.com/annan_details.php?cont_id=58[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. http://bangla.irib.ir/index.php?option=com_content&task=view&id=10067&Itemid=79/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. অসমাপ্ত আত্মজীবনী (২০১২)। শেখ মুজিবুর রহমান। ৬১ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। পৃষ্ঠা ২৯১। আইএসবিএন 9789845061957 
  4. পলিটিক্যাল এলিটস ইন বাংলাদেশ (১৯৮৬)। রঙ্গলাল সেন। ঢাকা: ইউপিএল। পৃষ্ঠা ১২৩–১২৫। 

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস- সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী ও অন্যান্য