পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া কামিল মাদরাসা
পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া কামিল মাদরাসার মূল ভবনের সম্মুখভাগ | |
প্রাক্তন নামসমূহ | পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা |
|---|---|
| নীতিবাক্য | জ্ঞানের জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও |
| ধরন | ফাজিল পর্যায়ের আলিয়া মাদ্রাসা |
| স্থাপিত | ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া দরবার শরীফ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় |
| ইআইআইএন | 103359 |
| অধ্যক্ষ | মোঃ নাছির আহাম্মদ |
| অবস্থান | |
| শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ |
| ওয়েবসাইট | 103359 |
![]() | |
![]() | |
পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া কামিল মাদরাসা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নভূক্ত পুরকুইল গ্রামে অবস্থিত একটি এমপিও-ভূক্ত আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] পূর্বে এটি পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া সিনিয়র মাদরাসা হিসবে পরিচিত ছিল।[৩] এর ইআইআইএন (EIIN) নম্বর ১০৩৩৫৯। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ইবতেদায়ি (প্রাথমিক) থেকে শুরু করে দাখিল (মাধ্যমিক), আলিম (উচ্চমাধ্যমিক), ফাযিল (ডিগ্রি সমমান) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যায় পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারিতে গ্রামে ইসলামি শিক্ষা প্রচারের লক্ষ্যে পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর হাফেজ হাবিবুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে দাখিল কার্যক্রম শুরু করার প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয় এবং ১৯৭৯ সালে এর সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫] ১৯৮০ সালে দাখিল শাখা এমপিও-ভূক্ত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটিতে আলিম চালু করার অনুমতি দেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আসে ২০০২ সালে।[৫] আলিম স্তর এমপিও-ভূক্ত হয় ২০০৪ সালে। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটিকে ফাজিল স্তর চালু করার অনুমতি ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫] পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে ফাজিল শ্রেণিকার্যক্রম চলমান আছে। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৫ মার্চে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় মাদরাসাটিতে কামিল পর্যায়ে হাদিস বিভাগ পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি প্রদান করে।[৬]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]মাদ্রাসাটি পুরকুইল দরবারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। দরবার এলাকার ভিতরে দক্ষিণ দিকে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস অবস্থত। ক্যাম্পাসের উত্তর প্রান্তের একটি লম্বালম্বি দ্বি-তল ভবনে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভবনের সামনে একটি মাঠ হয়েছে। মাঠের উল্টো দিকে রয়েছে ৩০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রাবাস।[৫] এখানে কেবল ছাত্রদেরই আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠের পশ্চিমদিকে রয়েছে মসজিদ। মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের ভিতরেই একটি হিফজ মাদ্রাসা ও সংযুক্ত এতিমখানা রয়েছে। মাদ্রাসার মূল ভবনের পূর্বদিকে লম্বালম্বি ভাবে আরও একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "অফিস আদেশ - মাদ্রাসা অধিভূক্তি" (পিডিএফ)। ঢাকা: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ২৮ অক্টোবর ২০২১। ২৫ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "List of Madrasha" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (banbeis.portal.gov.bd)। ৩ নভেম্বর ২০২২।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া আলিম মাদ্রাসা"। brahmanbaria.gov.bd। বাংলাদেশ সরকার (জাতীয় তথ্য বাতায়ন)। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "অধিভুক্তি – চট্টগ্রাম"। iau.edu.bd। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২।
- 1 2 3 4 "ব্যানবেইস বার্ষিক শিক্ষা জরিপ-২০২২"। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (banbeis.portal.gov.bd)। ১৯ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "অফিস আদেশ - মাদরাসা পরিদর্শন দপ্তর" (পিডিএফ)। ঢাকা: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২৫।

