পিটার ওয়েব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পিটার ওয়েব
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপিটার নীল ওয়েব
জন্ম (1957-07-13) ১৩ জুলাই ১৯৫৭ (বয়স ৬৬)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কএমআর প্রিঙ্গল (কাকাতো ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৫)
৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৩)
৯ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭৫ ৪২
রানের সংখ্যা ১১ ৩৮ ৩,৬৭১ ৮৪৬
ব্যাটিং গড় ৩.৬৬ ৯.৫০ ৩৩.০৭ ২১.১৫
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৫/২৩ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ১০* ১৩৬ ৮৪
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - - ৪৪.২৫ -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - - ২/৩৪ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৩/- ৫৩/২ ১০/১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ অক্টোবর ২০২০

পিটার নীল ওয়েব (ইংরেজি: Peter Webb; জন্ম: ১৪ জুলাই, ১৯৫৭) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পিটার ওয়েব। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ব্যাটিং করতেন।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

ব্রাইটন ও হোভ সিসি, ইল্যান্ড ক্রিকেট ক্লাব, ডালউইচ ক্রিকেট ক্লাব ও স্টাফোর্ড ক্রিকেট ক্লাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, স্টাফোর্ডশায়ার মাইনর কাউন্ট দলের পক্ষে একবার খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ইল্যান্ড ও স্টাফোর্ড ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। ১৯৭৯ সালে ইল্যান্ড ক্রিকেটে ক্লাবের স্কাইজ কাপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।

অকল্যান্ড ক্রিকেট সোসাইটির সহায়তায় অনেক ইয়ং অকল্যান্ড ক্রিকেটার্সদের অন্যতম হিসেবে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ লাভ করেন ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করেন। এর কিছুকাল পরই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিল লর্ডস ক্রিকেট স্কলারশিপ চালু করে। মার্টিন ক্রো এর প্রথম বৃত্তিপ্রাপক ছিলেন। ইংরেজ মহিলা ক্রিকেটার জেনেট ব্রিটিনের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সারের চেসিংটনে তার পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।

তরুণ অবস্থায় অকল্যান্ডভিত্তিক টি আতাতু ক্রিকেট ক্লাবে খেলতে শুরু করেন। চতুর্থ স্তরের দলের সদস্যরূপে ১৪ বছর বয়সী পিটার ওয়েব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে তার প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। এরপর, সাবার্বস ক্রিকেট ক্লাব ও ফাইনালি কর্নওয়াল ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। প্রত্যেক ক্লাবেই শুধুমাত্র মাঠেই অবদান রাখেননি তিনি। বরঞ্চ, প্রশিক্ষণসহ মার্ক গ্রেটব্যাচঅ্যাডাম প্যারোরে’র ন্যায় খেলোয়াড়দের পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত পিটার ওয়েব প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে অকল্যান্ড প্রাইমারি স্কুলসের পক্ষে খেলেন। নর্থ আইল্যান্ড প্রাইমারি স্কুলস দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৬ বছর বয়সে ব্রাবিন শীল্ড ক্রিকেট, ১৭ বছর বয়সে রথম্যানস অনূর্ধ্ব-২৩ ও ১৮ বছর বয়সে অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেন। অকল্যান্ডের পক্ষে ঐ স্তরের সকল দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। শেল সিরিজ চ্যাম্পিয়নশীপের একদিনের প্রতিযোগিতায় অকল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড ব্রাবিন ও রথম্যানস দল, ইয়ং নিউজিল্যান্ড ও পূর্ণাঙ্গ নিউজিল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ পান। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

রস মর্গ্যানের পরিবর্তে অকল্যান্ড দলে প্রথম খেলার সুযোগ পান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন ও পরবর্তীতে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। পাশাপাশি একদিনের ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অকল্যান্ডের পক্ষে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হন। শুরুরদিকের বছরগুলোয় তিনি ও জন রিড গ্রাহাম ভিভিয়ানমার্ক বার্জেসের কাছে থেকে উপকৃত হয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর চ্যাম্পিয়নশীপে দুইবার ও ওয়ান ডে শেল সিরিজে দুইবার শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তন্মধ্যে, ওয়ান ডে শেল সিরিজএ একবার অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮৬ সালে স্পোর্টস টার্ফ মেইটেনেন্সের বৃত্তি নিয়ে উইল্টশায়ারের মার্লবোরা কলেজে ভর্তি হন। একই বছর পিটার ম্যানসফিল্ড এনডিটি (ইউকে)’র তত্ত্বাবধানে গ্রাউন্ডসম্যান এনটিসি এন্ড এনপিসি (ইউকে) ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। ওয়েব প্রথম বিদেশী প্রার্থী হিসেবে উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও পাঁচটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার ওয়েব। সবগুলো টেস্টই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সারেভিত্তিক রিডিং ব্লু কোট স্কুল ও রিডস স্কুলের প্রধান মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে উভয় প্রতিষ্ঠানেই ক্রিকেট খেলায় প্রশিক্ষণ দিতেন। নিউজিল্যান্ডে ইডেন পার্ক অকল্যান্ডে মাঠকর্মী দলের সদস্যরূপে কাজ করেন। পরবর্তীতে, অকল্যান্ডের মেলভিল পার্কের প্রধান মাঠকর্মকর্তা হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Peter Webb"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-০৭ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]