পিঙ্কি প্রামাণিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পিঙ্কি প্রামাণিক
পদক রেকর্ড
মহিলাদের অ্যাথলেটিক্স
 ভারত -এর প্রতিনিধিত্বকারী
এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০০৪ তেহরান ৪০০ মি
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০০৪ তেহরান ৮০০ মি
কমনওয়েলথ গেমস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৬ মেলবোর্ন ৪ × ৪০০ মি রিলে
এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ দোহা ৪ × ৪০০ মিটার রিলে
এশিয়ান ইনডোর গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৫ পাটায়া ৪ × ৪০০ মি রিলে
দক্ষিণ এশীয় গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ কলম্বো ৪০০ মি
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ কলম্বো ৮০০ মি
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ কলম্বো ৪ × ৪০০ মি রিলে

পিঙ্কি প্রামাণিক (জন্ম ১০ই এপ্রিল ১৯৮৬ পুরুলিয়ায়) হলেন একজন ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট যিনি ৪০০ মিটার এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে বিশেষজ্ঞ। জাতীয় ৪×৪০০ মিটার রিলে দলের সাথে পিঙ্কির বেশ কিছু সফলতা এসেছিল, এর মধ্যে আছে ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য, ২০০৬ এশিয়ান গেমসে সোনা এবং ২০০৫ এশিয়ান ইনডোর গেমসে সোনা। তিনি ২০০৬ দক্ষিণ এশীয় গেমসে তিনটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন, ৪০০ মিটার ও ৮০০ মিটার একক দৌড় ইভেন্টে এবং সেইসাথে দলগতভাবে রিলেতে।

তাঁর প্রথম সাফল্য ছিল এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জয়, সেইসময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। তাঁকে আইএএএফ বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি অল-ইন্ডিয়া ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনবার জিতেছেন। পরপর আঘাত লাগা এবং একটি গাড়ি দুর্ঘটনার ফলে তিনি ২০০৭ সালের পরে খুব কমই প্রতিযোগিতা করেছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পিঙ্কি ২০০২ সালে চারটি জুনিয়র রাজ্য রেকর্ড স্থাপন করে জুনিয়র স্তরেই তাঁর আবির্ভাব চিহ্নিত করেছিলেন।[১] তিনি অ্যাথলেটিক্সে ২০০৩ বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর বিশ্ব অভিষেক করেছিলেন যেখানে তিনি ৮০০ মিটার দৌড়ের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন।[২] এর পরেই তিনি অল-ইন্ডিয়া ওপেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার দৌড়ে জিতেছিলেন।[৩] তিনি ন্যাশনাল জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিটিংয়ে ৫৪.৯২ সময় করে ৪০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়েন, যদিও তিনি ১৯৮৬ না ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিনা তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি চলমান প্রতিযোগিতাকে ক্লেদাক্ত করে তুলেছিল।[৪]

আন্তর্জাতিক পদক[সম্পাদনা]

তিনি পরের বছর সিনিয়র লেভেলে উঠেছিলেন এবং ২০০৪ এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার ও ৮০০ মিটার দৌড়ে দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।[২] ২০০৪ সালের শেষের দিকে, একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল, একদল যুবক তাঁর অজান্তে একটি বন্দুক তাঁর কাছে লুকিয়ে রেখে পুলিশ ডাকে এবং তাঁর খেলোয়াড় জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে যুবকরা তাঁকে হয়রানি করেছিল এবং তাঁর ব্যাগে ইচ্ছে করে বন্দুক রেখে দিয়েছিল; এরপর তাঁর প্রতি কোনো অভিযোগ না দিয়েই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার চাপ থেকে সেরে উঠতে প্রতিযোগিতা থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।[৫]

২০০৫ এশিয়ান ইনডোর গেমসে আইলিন সামান্থা, শান্তি সৌন্দরাজন, এবং মনদীপ কৌরের সাথে ৪×৪০০ মিটার রিলে দলের অংশ হিসাবে তিনি স্বর্ণ জিতেছিলেন। তিনি অল-ইন্ডিয়া ওপেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফিরে আসেন এবং ৪০০ মিটার ও ৮০০ মিটার দৌড়ে নিয়ে আসেন স্বর্ণপদক।[৩] ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমস বিশ্ব সিনিয়র স্তরে তাঁর প্রথম উপস্থিতিতে তিনি ভাল প্রদর্শন করেছিলেন এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে ব্যক্তিগত সেরা ২:০৩.৮৩ সময় করে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন।[৬] এরপর ৪×৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে রাজবিন্দর কৌর, চিত্রা সোমেন এবং মনজিত কৌরের সাথে ভারতের হয়ে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৭]

সেই বছরের মে মাসে বেঙ্গালুরুর এশিয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্স প্রতিযোগিতায় তিনি ৮০০ মিটার দৌড়ে জিতেছিলেন এবং ৪০০ মিটার দৌড়ে ব্যক্তিগত সেরা ৫২.৪৬ সেকেন্ড সময় করে জিতেছিলেন।[৮] কয়েক মাস পরে ২০০৬ সাউথ এশিয়ান গেমসে তিনি নিজেকে এই অঞ্চলের অন্যতম সেরা দৌড়বিদ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন: তিনি ৪০০ ও ৮০০ মিটার দৌড়ে একক ভাবে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং রিলে দলকে নেতৃত্বে দিয়ে তৃতীয় স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[৯][১০] তবে, তিনি হতাশ হয়েছিলেন যে তিনি নিজের সময়ের উন্নতি করতে পারেননি এবং বলেছিলেন যে তিনি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়াবিদদের কাছ থেকে আরও বেশি প্রতিযোগিতা আশা করেছিলেন।[৫]

তিনি ২০০৬ আইএএএফ বিশ্বকাপে নিজের মহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে এশিয়ার হয়ে সপ্তম স্থানে শেষ করেন। তিনি সেই বছরের শেষের দিকে তাঁর প্রথম এশিয়ান গেমসে অংশ নেন, ৪০০ মিটার এবং রিলে দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ব্যক্তিগত ফাইনালে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু জাপানের আসামি তান্নোর চেয়ে এক সেকেন্ডের দুই শততম ভাগ বেশি সময়ে শেষ করে পদক থেকে বঞ্চিত হন। রিলেতে সাফল্য এসেছিল: সাথী গীতা, চিত্রা সোমন এবং মনজিৎ কৌরের সাথে তাঁকে নিয়ে দৌড়ে, গেমসের ভারতীয় মহিলা দল অ্যাথলেটিক্সের একমাত্র সোনা জিতেছিল।[১১]

আঘাত[সম্পাদনা]

পায়ের একটি গুরুতর আঘাতের কারণে পিঙ্কি ২০০৭ মরশুমের অনেকটাই খেলতে পারেন নি। তিনি আগস্টের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন এবং আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় নামা শুরু করেছিলেন। কলকাতায় ১০০ মিটার দৌড়ে ১১.০৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য তিনি ২০০৮ ভারতীয় আন্তঃ-রাষ্ট্রীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের দিকে লক্ষ্য রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আবার আঘাত পেয়েছিলেন এবং হ্যামস্ট্রিং সমস্যার কারণে চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে পারেন নি।[১২]

২০১০ সালের প্রথম দিকে পিঙ্কি একটি স্থানীয় প্রতিযোগিতা, পুরুলিয়া অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন করেন। বাড়ি ফেরার পথে, তাঁর গাড়ি অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়, যার ফলে তিনি মুখ ও হাঁটুতে গভীরভাবে আঘাত পান। যদিও তাঁর অবস্থা সংকটজনক ছিল না, কিন্তু তিনি পিঠের ব্যথায় ভুগেছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।[১৩]

ডোপিং[সম্পাদনা]

২০১২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে, পিঙ্কি বলেছিলেন যে তাঁর প্রশিক্ষকদের তাঁর কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য তাঁকে নিয়মিত টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন দিতে হয়েছে।[১৪]

যৌন বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১২ সালে পিঙ্কির মহিলা বন্ধুর দ্বারা একটি ধর্ষণের অভিযোগের ফলে তাঁর লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক ব্যক্তিগত পরীক্ষায় তাঁকে পুরুষ বলে দাবি করা হয়েছিল। পিঙ্কি এই ফলাফলের সাথে একমত হননি, তাই বিচারের অংশ হিসাবে পুলিশ সরকারী নেতৃত্বে একটি পৃথক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।[১৫][১৬] এসএসকেএম সরকারি হাসপাতালের ফলাফল অনিশ্চিত ছিল।[১৭] এরপর আদালত ক্রোমোজোম প্যাটার্ন পরীক্ষার নির্দেশ দেন।[১৮] ২০১২ সালের নভেম্বরে, আরও মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে পিঙ্কি একজন "পুরুষ সিউডো-হার্মাফ্রোডাইট" (ক্রোমোজোমাল এবং অণ্ডকোষ টিস্যুর সাথে মিল, কিন্তু বহিরাগত যৌনাঙ্গের সাথে মিল নেই)।[১৯] তবে মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল যে তিনি পেনিট্রেটিভ সেক্স করতে অক্ষম।[২০]

ধর্ষণ এবং লিঙ্গ প্রতিনিধিত্বের অভিযোগের জবাবে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "যে মেয়েটি এই অভিযোগগুলি নিয়েছিল সে আমার সঙ্গী ছিল না। সে তার প্রেমিকা এবং তার পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকত। সে আমার নগ্ন ছবি তুলেছিল এবং সেগুলি প্রকাশ করার হুমকি দিচ্ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছিল। কিন্তু পুরুষ হওয়ার অভিযোগে তাকে ধর্ষণ করা আমাকে হতবাক করেছে। আমি পুরুষ নই। আমি সব সময়ই নারী। আমাকে এখন বেশি পুরুষের মতো মনে হয় কারণ, আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমার প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, আমি অন্যান্য মহিলা অংশগ্রহণকারীদের মতো নিয়মিত টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন নিতাম। আমাকে বলা হয়েছিল যে এইগুলি নেওয়া দরকার এবং আমি কখনই প্রশ্ন করিনি যে এগুলো বৈধ কি না। আমি জেতার দিকে মনোনিবেশ করেছি এবং আমার প্রশিক্ষকেরা আমাকে যা করতে বলেছিলেন তা করেছি, তাঁরা জানতেন আমার জন্য কি সঠিক। কিন্তু তার পরে, আমার কণ্ঠস্বর আরও মোটা হয়ে যায় এবং আমার শরীরের লোম আরও বেড়ে যায়।"[১৪] তিনি আরও বলেছিলেন যে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল এবং জেলে পুরুষদের সেলে রাখা হয়েছিল। তাঁর মতে, তিনি কোনো পরীক্ষায় সম্মতি দেননি, এবং পরীক্ষার জন্য তাঁকে মাদকাসক্ত করায় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।[১৪]

দাবি করা হয়েছিল যে, ক্ষমতার দালাল এবং বাংলার অন্যতম বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ ও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদারের স্বামী অবতার সিং, জমি সংক্রান্ত চলমান বিরোধের কারণে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টার পেছনে ছিলেন। জ্যোতির্ময়ীকে ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশীয় এবং এশিয়ান গেমসে অসাধারণ প্রদর্শনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়েছিল।[২১]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে[সম্পাদনা]

পিঙ্কি - এক সত্যকথা (পিঙ্কি - একটি সত্যকথা) হল ২০১৪ সালের একটি ভারতীয় মারাঠি -ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র। এটি পিঙ্কির জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মান করেছিলেন সুধীন ঠাকুর, শিরোনাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সারা শ্রাবণ। এই ছবির মধ্য দিয়ে খেলাধুলায় লিঙ্গ পরীক্ষার নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছিল।[২২][২৩]

২০২১ সালে লিঙ্গ পরীক্ষার বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি ভারতীয় স্পোর্টস ড্রামা ফিল্ম, রশ্মি রকেট, তৈরি হয়েছিল, যেটি পিঙ্কি এবং দ্যুতি চাঁদ সহ বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদের সহ্য করা কঠোর পরীক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।[২৪]

ব্যক্তিগত সেরা[সম্পাদনা]

ঘটনা সময় ( মি : সে ) ভেন্যু তারিখ
৪০০ মি ৫২.৪৬ ব্যাঙ্গালোর, ভারত ২২শে মে ২০০৬
৮০০ মি ২:০২.৪৯ চেন্নাই, ভারত ৫ই নভেম্বর ২০০৬
৪০০ মি (অন্দর) ৫৩.৮৯ পাটায়া, থাইল্যান্ড ১৩ই নভেম্বর ২০০৫
৮০০ মি (অন্দর) ২:১৫.০৬ তেহরান, ইরান ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০০৪
  • সমস্ত তথ্য আইএএএফ প্রোফাইল থেকে নেওয়া।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pistol pops out of shooting-star athlete's kit. The Telegraph India (2004-11-23). Retrieved on 2010-03-05.
  2. Paramanik, Pink Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৭-২৬ তারিখে. IAAF. Retrieved on 2010-03-05.
  3. All-India Open National Championships. GBR Athletics. Retrieved on 2010-03-05.
  4. Pinki Pramanik's efforts to the fore. The Hindu (2003-12-22). Retrieved on 2010-03-05.
  5. From police custody to podium, Pinki primed for higher glory[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]. One India (2006-08-28). Retrieved on 2010-03-05.
  6. 2006 Melbourne Women's 800m Semifinal 2 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-১০-২৮ তারিখে. 2006 Commonwealth Games. Retrieved on 2010-03-05.
  7. Melbourne 2006 Women's 4x400m Relay Final ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৬-১০-১০ তারিখে. 2006 Commonwealth Games. Retrieved on 2010-03-05.
  8. Asian Grand Prix – Bangalore. IAAF (2006-05-22). Retrieved on 2010-03-05.
  9. Weerawansa, Dinesh (2006-08-25). South Asian Games – Day 2. IAAF. Retrieved on 2010-03-04.
  10. Weerawansa, Dinesh (2006-08-26). South Asian Games – Day 3. IAAF. Retrieved on 2010-03-04.
  11. Foursome strikes gold. The Tribune India (2006-12-12). Retrieved on 2010-03-05.
  12. Runner Pinky Pramanik seriously injured in road accident ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৭-১৪ তারিখে. MSN/PTI (2010-01-24). Retrieved on 2010-03-05.
  13. Pinki shifted to city-based B R Singh Hospital. Zee News. Retrieved on 2010-03-05.
  14. Mitra, Dola (২০১২-০৭-৩০)। "I Am A Female, And Once Loved A Man"Outlook India (Magazine)। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৩ 
  15. Gold medallist Pinki Pramanik accused of being male, held for `rape`
  16. "Confirmed: Indian athlete Pinki Pramanik is male"। ১৫ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১২ 
  17. Pinki's SSKM gender test inconclusive
  18. Court directs chromosome pattern test for Pinki Pramanik
  19. "Tests show athlete Pinki Pramanik, charged with rape, is male"। ২০১৩-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১২ 
  20. "Medical experts doubt Pinki Pramanik can rape"The Times of India। ২০১৩-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-১৪ 
  21. "Jyotirmoyee Sikdar's husband asked me to frame Pinki Pramanik: Ex-partner"The Times of India। ২০১৩-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. Pinky - Ek Satyakatha. pinkyeksatyakatha.com.
  23. Marathi film Pinky - Ek Satyakatha is based on Pinki Pramanik's life. Times of India.
  24. Movie Rashmi Rocket reminds you of Pinki Pramanic and Dutee Chand. Afternoon Voice.