বিষয়বস্তুতে চলুন

পালিচড়া স্টেডিয়াম

স্থানাঙ্ক: ২৫°৪০′১০.৯″ উত্তর ৮৯°১১′১৬.৫″ পূর্ব / ২৫.৬৬৯৬৯৪° উত্তর ৮৯.১৮৭৯১৭° পূর্ব / 25.669694; 89.187917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পালিচড়া স্টেডিয়াম
২০২২ এর নভেম্বরে পালিচড়া স্টেডিয়াম
মানচিত্র
অবস্থানপালিচড়া,সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন, রংপুর সদর
স্থানাঙ্ক২৫°৪০′১০.৯″ উত্তর ৮৯°১১′১৬.৫″ পূর্ব / ২৫.৬৬৯৬৯৪° উত্তর ৮৯.১৮৭৯১৭° পূর্ব / 25.669694; 89.187917
মালিকজাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
ক্ষেত্রফল৪ একর
স্কোরবোর্ডনেই
নির্মাণ
কপর্দকহীন মাঠ২০২১
নির্মিত২০২১ - ২০২২
চালু২ আগস্ট, ২০২৩
নির্মাণ ব্যয় ৫.৬১ কোটি
ভাড়াটে
সদ্যপুস্কুরিনী যুব স্পোর্টিং ক্লাব

পালিচড়া স্টেডিয়াম ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি উপজেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। নারী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ ও খেলা আয়োজনের জন্য বিশেষায়িত[] ক্রীড়া স্থাপনাটির অবস্থান রংপুর নগর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়ার গ্রামের নয়াপুকুর কলেজ বাজারের পাশে।[][] বাংলাদেশের ফুটবলে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা, মহিলা লিগ, বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে এগ্রামের নারী ফুটবলারদের ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতি ও খেলোয়াড়দের নিবিড় অনুশীলনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে। ঘরোয়া ফুটবলে এটি সদ্যপুস্কুরিনী যুব স্পোর্টিং ক্লাবের স্বাগতিক মাঠ। এছাড়াও এখানে আঞ্চলিক পর্যায়ের বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

পটভূমি

[সম্পাদনা]

২০১১ সালে পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে রানার্স-আপ হয়। পরের বছর ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি সেই প্রতিযোগিতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলে পালিচড়ায় নারীদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে।[] ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০১৩ সালে সদ্যপুস্কুরিনী যুব স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়।[]

পরের বছরগুলিতে সদ্যপুস্কুরিনী ক্লাব ও পালিচড়ার নারীরা ঘরোয়া প্রতিযোগিতা, লিগ, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ বয়স ভিত্তিক দলের হয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, জাতীয় দলেও খেলেন। এদলগুলির বিভিন্ন শিরোপা জয়ে পালিচড়ার নারী ফুটবলারদের ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিসরূপ[] জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ‘রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে আধুনিক মিডিয়া সেন্টার ও ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণসহ অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।[]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]

২০২১ সালের মার্চে পালিচড়া গ্রামের নয়াপুকুর এলাকায় এম এন উচ্চবিদ্যালয় ও মজিদা খাতুন কলেজের মাঠে স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু হয়।[][][] ২০২২ সালের নভেম্বরে ৫ কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়।[] ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রংপুর জেলার অন্যান্য অবকাঠামোর সাথে স্টেডিয়ামটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।[]

কাঠামো

[সম্পাদনা]

পালিচড়া স্টেডিয়াম গ্রামের নয়াপুকুর এলাকায় ৪ একর ভূমির উপর নির্মিত। ট্রাপিজিয়াম আকৃতির মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দর্শক বসার গ্যালারি, প্যাভিলিয়ন ভবন আছে। মূল মাঠ ছাড়াও স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের আবাস, পরিবর্তন কক্ষ, খাবার ঘর, মিলনায়তন[] ও সংবাদ সম্মেলনের জন্য আলাদা কক্ষ আছে।[]

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল লিগে উত্তরাঞ্চলের দল সদ্যপুস্কুরিনী যুব স্পোর্টিং ক্লাবের স্বাগতিক মাঠ। ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড় ছাড়াও পালিচড়ার আশ-পাশের গ্রামের ৩০ জন নারী ফুটবলার এখানে নিয়মিত অনুশীলন করেন।[] ২০২৩ সালে অনুর্ধ-১২ জাতীয় নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আঞ্চলিক পর্বের ফাইনাল খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. লাভলী, মেরিনা (২০২৪-০৩-১৯)। "ফুটবলকন্যাদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প"প্রতিদিনের বাংলাদেশ। ২০২৫-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৪ 
  2. হক, আরিফুল (২০২৩-০৫-১৭)। "গ্রামটি এখন 'নারী ফুটবলারদের গ্রাম'"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৪ 
  3. সবুজ, মোস্তফা (২০২৩-০৭-০৮)। "Remote palichara reflects overall reality" [প্রত্যন্ত পলিচড়া সামগ্রিক বাস্তবতা প্রতিফলিত করে]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৪ 
  4. হক, আরিফুল (২০২২-১১-০৬)। "নারী ফুটবলারদের সাফল্যে অজপাড়াগাঁয় স্টেডিয়াম"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৪ 
  5. ইসলাম, সাইফুল (২০২২-১১-১০)। "রংপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় শেখ রাসেল স্টেডিয়াম"দৈনিক সময়ের আলো। ২০২৪-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০১ 
  6. "প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় রংপুরবাসী"ঢাকা পোস্ট। ২০২৩-০৮-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০১