পার্সি সন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পার্সি সন
জন্ম(১৯৪৯-০৯-২৫)২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯
অটশুর্ন
মৃত্যু২৭ মে ২০০৭(2007-05-27) (বয়স ৫৭)
জাতীয়তাদক্ষিণ আফ্রিকান
পেশাআইনজীবী, ক্রিকেট প্রশাসক
কর্মজীবন২০০৬-২০০৭
পরিচিতির কারণআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি

পার্সিভাল হেনরি ফ্রেদেরিক সন (ইংরেজি: Percy Sonn; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯ - মৃত্যু: ২৭ মে, ২০০৭) অটশুর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকান আইনজীবী ও ক্রিকেট প্রশাসক ছিলেন। জুলাই, ২০০৬ সালে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পরিচালনা পরিষদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ৬ষ্ঠ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পার্সি সন। মৃত্যুকালীন অবস্থায়ও তিনি এ দায়িত্বে বহাল থাকাসহ আফ্রিকা অঞ্চল থেকে প্রথম আইসিসি সভাপতি ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কাছাকাছি আউটশ্রুন এলাকায় পার্সি সন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার সাত ভাইয়ের একজন ছিলেন। বেলগ্রাভিয়া সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। তারপর ওয়েস্টার্ন কেপ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়াশোনা শেষে অ্যাটর্নি ও অ্যাডভোকেট মনোনীত হন। পাবলিক প্রসিকিউটরসহ দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশ বিভাগে আইন পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।

মেইটল্যান্ডপারো ক্রিকেট ইউনিয়ন দলে অফ স্পিনার হিসেবে খেলেন। তবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার। কেপ টাউনের বেলভিল এলাকায় স্থানীয় ক্লাবের ক্রিকেট প্রশাসনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু হয় তার। দৃশ্যতঃ তিনিই ক্লাবের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে পড়তে ও লিখতে পারতেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে হাসান হোয়া’র অধীনে শ্বেতাঙ্গবিহীন ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট বোর্ডে সহঃ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সময়কালে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এছাড়াও, গোত্রীয়ভাবে পৃথক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের সহঃ সভাপতি ছিলেন।

১৯৯১ সালে বর্ণবৈষম্যবাদ দূরীকরণের পর বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সন। ২০০৩ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদে দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনাইটেড ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ইউসিবি’র ব্যবস্থাপনা কমিটিতেও তিনি কাজ করেছেন।

সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য জাস্টিন অনটং মনোনীত হলে বিতর্কে পরিণত হয়। নির্বাচকমণ্ডলী জ্যাকুয়েস রুডল্ফকে দলে রাখলেও তার হস্তক্ষেপে এ সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, বর্ণজনিত খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির নিয়মের কারণে অনটংকে দলে রাখা হয়েছে।[১]

২০০৪ সালে আইসিসি’র সহঃ সভাপতি মনোনীত হন। জুন, ২০০৫ সালে ষষ্ঠ সভাপতি হিসেবে এহসান মানি’র স্থলাভিষিক্ত করার কথা থাকলেও আরও এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে অবশেষে ২০০৬ সালে এ দায়িত্বভার অর্পিত হয়। দুই বছর পর মার্চ, ২০০৭ সালে আরও এক বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় আইসিসি কর্তৃপক্ষ ডেভিড মর্গ্যানশরদ পওয়ারের মধ্যকার সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে এ সুযোগ পান তিনি। দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে, জ্যামাইকায় ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে খুব কম সময়ই অবস্থান করেন।

দেহাবসান[সম্পাদনা]

২২ মে, ২০০৭ তারিখে প্রকাশ পায় যে, তিনি ডারবানভিল মেডি-ক্লিনিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বৃহদন্ত্রে সামান্য অস্ত্রোপচারের পর জটিলতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে। এ অস্ত্রোপচারটি ফেব্রুয়ারিতে করার কথা ছিল। পাঁচদিন পর তার দেহাবসান ঘটে। স্ত্রী সান্দ্রা, দুই পুত্র ও এক কন্যাকে রেখে যান তিনি।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cricket chief dies ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, inthenews.co.uk, 27 May 2007.
  2. ICC head Percy Sonn 'critically ill' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, Mail & Guardian, 22 May 2007.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
এহসান মানি
আইসিসি সভাপতি
২০০৬-২০০৭
উত্তরসূরী
রে মালি