পার্থসারথী শর্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পার্থসারথী শর্মা
১৯৭৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে পার্থসারথী শর্মা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপার্থসারথী হরিশ্চন্দ্র শর্মা
জন্ম৫ জানুয়ারি, ১৯৪৮
আলওয়ার, রাজস্থান, ভারত
মৃত্যু২০ অক্টোবর, ২০১০
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৪)
১১ ডিসেম্বর ১৯৭৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১ জানুয়ারি ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৮)
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫২ ১৭
রানের সংখ্যা ১৮৭ ২০ ৮৬১৪ ৬৩২
ব্যাটিং গড় ১৮.৬৯ ১০.০০ ৩৯.১৫ ৪৫.১৪
১০০/৫০ -/১ -/- ১৮/৪৫ ৩/১
সর্বোচ্চ রান ৫৪ ১৪ ২০৬ ১১০*
বল করেছে ২৪ ১২,৬২১ ৬৮৪
উইকেট ১৯১ ১৩
বোলিং গড় ২৪.৫১ ৩২.৬১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/২৬ ৬/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- -/- ১৪৫/২ ৫/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ জুলাই ২০২০

পার্থসারথী হরিশ্চন্দ্র শর্মা (উচ্চারণ; হিন্দি: पार्थसारथी शर्मा; জন্ম: ৫ জানুয়ারি, ১৯৪৮ - মৃত্যু: ২০ অক্টোবর, ২০১০) রাজস্থানের আলওয়ার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে রাজস্থান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন পার্থসারথী শর্মা

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত পার্থসারথী শর্মা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। রাজস্থানের আলওয়ার এলাকায় পার্থসারথী শর্মা’র জন্ম। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে ভারতের পক্ষে পাঁচ টেস্ট ও দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুই দশককাল ঘরোয়া ক্রিকেটে পদচারণা ছিল পার্থসারথী শর্মা’র।

রঞ্জী ট্রফিতে রাজস্থানের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। নিজস্ব ১৫তম জন্মদিন উদযাপনের অল্প কয়েকদিন পূর্বে ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে অভিষেক ঘটে তার। এ দলটির পক্ষে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে উইকেট-রক্ষণেও অগ্রসর হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পরবর্তীকালে উইকেট-রক্ষণে আর অগ্রসর হননি ও অফ-স্পিনার হিসেবে বোলিং করতে থাকেন। স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলতে পারতেন। এ পর্যায়ে তাকে বিজয় মাঞ্জরেকারের সাথে তাকে তুলনায় আনা হতো ও ঘূর্ণায়মান বলকে বেশ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতেন।

রঞ্জী ট্রফিতে ৩৯.৬৯ গড়ে ৪৩৭২ ও দিলীপ ট্রফিতে ৩৮.৩১ গড়ে ১৩৭৯ রান তুলেন। মধ্য অঞ্চলের চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় দলের পুণঃপুণঃ শিরোপা বিজয়ে প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি। এছাড়াও, বেশ কয়েকবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় দলকে রানার্স-আপ করান। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দিলীপ ট্রফির শিরোপা বিজয়ী মধ্য অঞ্চলের অন্যতম তারকা ছিলেন।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে বাদ-বাকী ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ইরানি কাপে বোম্বের বিপক্ষে ইনিংস বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। ২০৬ রানের ইনিংস খেলেন ও চার উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়।[১] ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে বিদর্ভের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষের প্রথম ছয় উইকেট পান ও ৬/২৬ লাভ করেন। এরপর, ঐ খেলায় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৪ রান করে রাজস্থানকে আট উইকেটে জয় এনে দেন।[২]

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করলেও টেস্ট ক্রিকেটে তিনি বেশ ম্রিয়মান ছিলেন। মজবুত গড়নের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। রাজস্থান ও মধ্য অঞ্চলের সদস্যরূপে রঞ্জী ট্রফি ও দিলীপ ট্রফিতে সুন্দর খেলা উপহার দেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পার্থসারথী শর্মা। ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে দিল্লিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ জানুয়ারি, ১৯৭৭ তারিখে কলকাতায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ভারত গমনে আসে। অভিষেক টেস্টে ৫৪ ও ৪৯ রান তুলেন তিনি। তবে, পরের টেস্টে ভালো খেলতে পারেননি তিনি। ৬ ও ৯ রানে আউট হন। ফলে, তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। এরপর, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে ভারত দলে রাখা হয়। ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে সুনীল গাভাস্কারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। কিন্তু, ৬ ও ১ রান করতে সক্ষম হন।

১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। দুই টেস্টে ৪, ২৯, ৯ ও ২০ রানের ইনিংস খেলেন। উভয় খেলাতেই তার দল পরাজিত হয়। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে রাখা হয়নি।

২০ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ৬২ বছর বয়সে পার্থসারথী শর্মা’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]