ব্যক্তিগত অর্থায়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(পারসোনাল ফাইনান্স থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ব্যক্তিগত অর্থায়ন বা পারসোনাল ফাইনান্স হলো এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেখানে ব্যক্তিগত বা ফ্যামিলির সময়ের সাথে সাথে প্রতিটা ক্ষুদ্র কার্যকলাপের আর্থিক লেনদেন, বাজেট, সঞ্চয় এবং ব্যয়ের হিসাব রাখা হয় বিভিন্ন আর্থিক ঝুঁকি এবং ভবিষ্যতের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার জন্য।

যখন ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা করা হয় তখন প্রত্যেকের প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধা অনুযায়ী ব্যাংকের বিভিন্ন সার্ভিস বিবেচনা করা উচিত যেমন - চেক, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড,লোন অথবা বিনিয়োগের বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টর যেমন - কোম্পানির শেয়ার, বন্ড,মিচুয়াল ফান্ড এবং বিভিন্ন বীমা যেমন - জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদি। এইসব বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণের পাশাপাশি সার্ভিসগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ব্যক্তিগত অবসর পরিকল্পনা, বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা এবং আয়কর ব্যবস্থাপনাও করতে হবে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পারসোনাল ফাইনান্সের ধারণা তৈরি হওয়ার আগেই প্রায় ১০০ বছর ধরে বিভিন্ন কলেজে পারিবারিক অর্থনীতি, ভোক্তা অর্থনীতি পড়ানো হতো গার্হস্থ্য অর্থনীতির অংশ হিসেবে।

১৯২০ সালে হ্যাজেল কির্ক এর করা পারসোনাল ফাইনান্সের উপর গবেষণাকে পারসোনাল ফাইনান্সের উপর প্রথমদিককার গবেষণা হিসেবে ধরা হয়। তার গবেষণাপত্রটিকে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো পারিবারিক অর্থনীতি এবং ভোক্তা অর্থনীতি পড়ানোর ভিত্তি হিসেবে স্থাপন করেছিলো। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্হস্থ্য অর্থনীতির অধ্যাপক মার্গারেট রিড কে ভোক্তা আচরণ এবং গৃহস্থালি আচরণ অধ্যয়নের অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃিতি দেওয়া হয়।

১৯৪৭ সালে নোবেল বিজয়ী হারবার্ট এ সাইমন বলেন যে, সিদ্ধান্ত গ্রহীতা সবসময় উপযুক্ত আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কারণ সীমিত জ্ঞান এবং ব্যক্তিগত আগ্রহের অভাব। ২০০৯ সালে ড্যান আরিয়েলি বলেন যে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক বিপর্যয় আমাদের দেখিয়ে দেয় যে মানুষ সবসময় যুক্তিসম্মত আর্থিক সিদ্ধান্ত নেয় না এবং বাজার যেকোন প্রকারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য নিজস্ব নিয়ম-কানুন এবং সংশোধনে বাধ্য নয়।

অতএব পারসোনাল ফাইনান্সের শিক্ষা খুবই প্রয়োজন ব্যক্তিগত বা পরিবারের জন্য সারাজীবন যুক্তিসংগত আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ১৯৯০ সালের আগে মূলধারার অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায় অনুষদ ব্যক্তিগত অর্থের উপর খুব কম মনোযোগ দিতেন। যদিও বেশ কয়েকটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বার্মিংগাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়, লোহা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং সান ফ্রান্সিসকো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রদান করছে বিগত ৩০ বছর ধরে। এইসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন গবেষণালব্ধ কাজ প্রকাশ করেছে যেমন আর্থিক পরামর্শ ও পরিকল্পনা জার্নালএবং পারসোনাল ফাইনান্স জার্নাল। পারসোনাল ফাইনান্সের উপর গবেষণাগুলা বিভিন্ন তত্ত্বের উপর ভিত্তি ছিলো যেমন সামাজিক ভ্রাতৃত্ব তত্ত্ব এবং প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা তত্ত্ব। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বিভিন্ন পেশাগত সংগঠন যেমন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্যামিলি অ্যান্ড কনজিউমার সায়েন্সেস এবং ভোক্তা স্বার্থ আমেরিকান কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পারসোনাল ফাইনান্সের পরিধি উন্নয়নের জন্য। ১৯৮৪ সালে লোহা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তক প্রতিষ্ঠিত আর্থিক পরামর্শ এবং পরিকল্পনা শিক্ষা এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আর্থিক সেবা একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন স্থাপন করে পারসোনাল ফাইনান্সের ইতিহাসে। এই দুই সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন ব্যবসায়িক অনুষদ এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষক এবং স্নাতক শিক্ষার্থীরা। এরপর আর্থিক পরামর্শ এবং পরিকল্পনা শিক্ষা থেকে পারসোনাল ফাইনান্সের উপর বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রদান করা হতো যেমন- অনুমোদিত আর্থিক পরামর্শদাতা এবং সার্টিফাইড হাউজিং কাউন্সিলর। এইদিকে, এএফএস সার্টিফাইড ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার (সিএফপি)দের সাথে সহযোগিতা করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভোক্তার আর্থিক সক্ষমতা অনেক বেড়েছে সেই চিন্তা থেকেই বিভিন্ন মানুষের জন্য অথবা বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য যেমন যুবক এবং মহিলাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম উদ্ভব হচ্ছে। এই শিক্ষা কার্যক্রমগুলো "আর্থিক সাক্ষরতা" নামেই পরিচিত। যদিও ২০০৮ সালের আর্থিক বিপর্যের আগে পারসোনাল ফাইনান্সের মানসম্মত পাঠ্যক্রমের উপর উপযুক্ত মানদণ্ড ছিলো না। ২০০৮ সালে আমেরিকা "আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা পরিষদ" প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকান জনগণের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য। এটি আরো জোর দেয় আর্থিক শিক্ষাদান বিকাশের জন্য একটি উপযুক্ত মানদণ্ড তৈরি করতে।

পারসোনাল ফাইনান্স পরিকল্পনা প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

পারসোনাল ফাইনান্সের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আর্থিক পরিকল্পনা। আর্থিক পরিকল্পনা একটা গতিশীল প্রক্রিয়া যেখানে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ এবং পুর্ণ-মূল্যায়ন প্রয়োজন। সাধারণত এখানে পাচঁটা ধাপ থাকেঃ

  1. মূল্যায়ানঃ ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা সহজ সরল আর্থিক বিবৃতি দ্বারা মূল্যায়ান করা হয় যেখানে ব্যালেন্স শিট এবং আয়ের বিবরণী অন্তর্ভুক্ত। ব্যক্তিগত ব্যালেন্স শিটে ব্যক্তিগত সম্পদ যেমন বাড়ি,গাড়ি,স্টক,ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত ঋণ যেমন ক্রেডিট কার্ড ঋণ, ব্যাংক লোন অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি ব্যক্তিগত আয়ের বিবরণীতে ব্যক্তিগত আয় ব্যয়ের হিসাবের তালিকা থাকে।
  2. লক্ষ্য নির্ধারণঃ সাধারণত মানুষের অনেকগুলা লক্ষ্য থাকে যেখানে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী দুইরকম লক্ষ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন - একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এমন হতে পারে " ৬৫ বছর বয়সে ব্যক্তিগত ১ কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে অবসরে যাওয়া " এবং স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য এমন হতে পারে " আগামী মাসে একটি নতুন কম্পিউটার কেনা"। আর্থিক লক্ষ্যগুলা আর্থিক পরিকল্পনা সাজাতে সরাসরি সাহায্য করে। আর্থিক লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করা হয় যাতে একটি নির্দিষ্ট আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে।
  3. পরিকল্পনা করাঃ আর্থিক পরিকল্পনায় লক্ষ্যগুলো কীভাবে অর্জন করতে হয় তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকে।যেমন - অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো, আয় বাড়ানো, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ইত্যাদি।
  4. কার্যসম্পাদনঃ আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবয়ানের জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলা এবং অধ্যাবসায়। অনেক মানুষ পরিকল্পনা বাস্তবয়ানের জন্য অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা নেয় যেমন - হিসাবরক্ষক, আর্থিক পরিকল্পনাকারী, বিনিয়োগ পরামর্শকারক, আইনজীবী
  5. পর্যবেক্ষণ এবং পূর্ণ-মূল্যায়ানঃ সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আর্থিক পরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ করতে হয় যাতে সম্বনয় ঘটানো যায়।

সচারাচর, যে আর্থিক লক্ষ্যগুলো হয়ে থাকে বাড়ি/গাড়ির লোন পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ড বিল দেওয়া, অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ করা, চিকিৎসা খরচ বহন করা, বাচ্চাদের জন্য স্কুল-কলেজের ফি দেওয়া।

পারসোনাল ফাইনান্সের কেন প্রয়োজন

প্রত্যেক মানুষের জন্য তাদের নিজস্ব পারসোনাল ফাইনান্স বুঝা এবং সেটার নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হলোঃ

১. পারসোনাল ফাইনান্সের জন্য কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেইঃ বেশিরভাগ দেশেরই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা রয়েছে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

  • ব্যক্তিগতভাবে কেউ শিখতে পারে কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে।
  • তাদের জীবিকা নির্বাহের ফল হিসেবে তারা টাকা আয় করতে পারে।
  • কিন্তু স্কুল-কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষাব্যবস্থা নেয় কীভাবে টাকা সামলাতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে এবং কীভাবে টাকাকে আমাদের জীবনে পরিচালনায় ব্যয় করতে হবে।
  • এখন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মাঝে যে একটা শূণ্যস্থান রয়েছে কীভাবে আমাদের নিজেদের টাকা পরিচালনা করতে হবে সেটা বুঝতে পারা।

এটি প্রাথমিক পর্যায়ে পারসোনাল ফাইনান্স শেখার প্রয়োজনীয়তার চিত্র তুলে ধরে যাতে চাহিদা বনাম যোগানের মধ্যে পার্থক্য করা যায় এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা যায়।

২. চাকরির বাজার পরিবর্তনঃ সময়ের সাথে সাথে যন্ত্রপাতির স্বয়ংস্ক্রিয়তা এবং চাহিদার পরিবর্তনের জন্য সারাবিশ্বে এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, যেসব কাজ স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে করা যায় সেগুলার চাহিদা দিন দিন কমছে।

  • বেশি পারিশ্রমিকের বাজার থেকে কম পারিশ্রমিকের বাজারের দেশে বিভিন্ন চাকরির বাজারের পরিবর্তন হচ্ছে যেটা বিভিন্ন কোম্পানির খরচ কমাতে সাহায্য করছে।
  • যেসব চাকরির বাজারে বেশিরভাগ তরুণ প্রজন্ম প্রবেশ করছে যারা নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাদেরকে সহজেই বদলি করা ফেলা যাবে যারা এইসব নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত নয়। কোম্পানির জন্য এই নতুন তরুন মেধাবীরা অনেক মূল্যবান এবং তারা তুলনামূলকভাবে কোম্পানির খরচ কমাতেও সাহায্য করে।
  • অটোমোবাইল, কেমিক্যাল, নিমার্ণশিল্পর মতো শিল্পগুলোর চাহিদা-যোগান একটি দেশের অর্থনৈতিক কেমন তার উপর নির্ভর করে। যখন অর্থনীতি নিশ্চল থাকে যেমন অর্থনৈতিক মন্দা,যুদ্ধ এইসব কারণে দেখা যায় নির্দিষ্ট শিল্পের ক্ষতি বেশি হয় অন্যান্য শিল্পের তুলনায়। যার ফলে কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের যুক্তিবাদী হিসেবে গড়ে তুলে। ব্যক্তিগতভাবে যেকেউ একজন তার চাকরি হারাতে পারে এবং একটি সময় পর্যন্ত বেকার থাকতে পারে। এইসব কারণে বৈধ চাকরির বয়স যে ৬০ বছর তা ক্রমে ধীরে ধীরে কমছে।

উপরের কারণগুলোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেককে তাদের অবসরের পরিকল্পনা শুরু করা উচিত। অবসরের এই পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য পারসোনাল ফাইনান্সের শিক্ষা প্রয়োজন।

৩. আয়ুকালের বৃদ্ধিঃ স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির সাথে সাথে মানুষ এখন তার পূর্ববর্তী বংশধর থেকে বেশিদিন বাচঁতে পারছে। বেশ কয়েক বছরে মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল অনেক পরিবর্তন হয়েছে বিশেষ করে উন্নত অর্থনৈতির দেশের মানুষের আয়ুকাল অনেক বেড়েছে। গড় আয়ুকাল ধীরে ধীরে ৬০ থেকে ৮১ তে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এটা এখনো ঊর্ধ্বগামী। এই ঊর্ধ্বগামী আয়ুকাল কিন্তু স্বল্প চাকরি জীবনের জন্য একটি ভালো অবসর পরিকল্পনা গ্রহণ খুবই প্রয়োজন এবং যেটা পারসোনাল ফাইনান্সের গুরুত্ব আরো জোরদার করে।

৪. চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধিঃ চিকিৎসার বিভিন্ন খরচাপাতি যেমন - ওষুধের খরচ, হাসপাতালের খরচসহ চিকিৎসা ব্যয় দিন দিন অনেক বাড়ছে।এইসব বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যয় অনেকগুলি বীমা পলিসি দিয়ে মাঝেমধ্যে কভার করা যায় না। কিন্তু প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত বীমা কভারেজ বা জাতীয় বীমা কভারেজের মাধ্যমে হতে পারে।

  • বিভিন্ন উন্নত দেশ যেমন - আমেরিকা বীমার সুবিধা দেওয়া হয় কোম্পানি বা প্রাইভেট বীমা বা সরকারের মাধ্যমে।
  • অন্যান্য উন্নত দেশ যেমন - ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকেই পরিশোধ করা হয়। এইজন্য জাতীয় চিকিৎসা সেবা বাজেট খুবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন নতুন অসুখের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হয় যেগুলা জাতীয় চিকিৎসা সেবার আওতাধীন থাকে না। সেইসব চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে ব্যয় বহন করতে হয়।
  • অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ যেমন- ভারত, চীন এদের জাতীয়ভাবে কোন চিকিৎসা সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়। সেইসব দেশে ব্যক্তিগতভাবেই সব ব্যয় বহন করতে হয়।

উপরের কারণগুলো দেখায় যে বিভিন্ন বীমা পলিসি - চিকিৎসা বা জীবন বীমা সেটা ব্যক্তিগত বা পরিবারের জন্যই হোক না কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এরজন্য পারসোনাল ফাইনান্সের শিক্ষা খুবই প্রয়োজন।

পারসোনাল ফাইনান্সের মূলনীতি[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত চাহিদাগুলা অনেক ভিন্ন হয় আয়,ধন-সম্পদ বা ভোগ প্রয়োজনীয়তা থেকে। ট্যাক্স এবং আর্থিক আইনকানুন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন হয় এবং বাজারের অবস্থা ভৌগলিকভাবে এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এইজন্য একজনের পরামর্শ আরেকজনের উপকারে নাও আসতে পারে।একজন অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা যেকোন জটিল পরিস্থিতি হলেও প্রত্যেক ব্যক্তির ধন-সম্পদের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা আর্থিক পরিকল্পনা করে দিতে পারেন । কিন্তু শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রোফেসর হ্যারল্ড পোলাক এবং পারসোনাল ফাইনান্স বিষয়ক লেখক হেলাইন ওলেন বলেন যে আমেরিকায় ভালো পারসোনাল ফাইনান্স পরামর্শকও কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়েই কথা বলেন। কয়েকটি বিষয় নিচে দেওয়া হলো

  • প্রতিমাসের ক্রেডিট কার্ড বিল সম্পূর্ণ পরিশোধ করা
  • আয়ের ২০ ভাগ জমানো
  • ট্যাক্স সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বাছাই করা যেমন- ৪১০(কে) অবসর পরিকল্পনা, শিক্ষা সঞ্চয় বিষয়ক পরিকল্পনা
  • সঞ্চয় বিনিয়োগ সময়:
    • ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়গুলো ট্রেড না করা
    • বেশি ফি নেওয়া ফান্ডগুলো পরিত্যাগ করা
    • মিচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বৈচিত্র‍্য আনা যাতে ঝুঁকি আর পুরষ্কারের মধ্যে একটা ভারসাম্য আসে।
  • যদি কোন আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নেওয়া হয় তাহলে আপনার সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করার জন্য তাদের একটি বিশ্বস্ত দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে হবে

আর্থিক আইনকানুনগুলো প্রত্যেক দেশের জন্য ভিন্ন। যেকোন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অর্থের সঠিক আচরণের নীতিগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়ঃ মানুষকে অর্থের প্রতি আসক্তি গড়ে তোলা উচিত নয়, নৈতিকভাবে নিন্দনীয় এবং বিনিয়োগের সময় বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত আয়ে বিপদ এড়ানোর জন্য মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বজায় রাখা উচিত।

পারসোনাল ফাইনান্স পরিকল্পনার ক্ষেত্রসমূহ[সম্পাদনা]

আর্থিক পরিকল্পনা বোর্ড অনুসারে পারসোনাল ফাইনান্স পরিকল্পনা যে বিষয়গুলোয় মনোযোগ দিতে হবে।

  1. আর্থিক অবস্থাঃ পারসোনাল ফাইনান্সের জন্য একজন মানুষের মোট অর্থ-সম্পদ কত তা জানা জরুরি। একজন ব্যক্তির অধীনে যত সম্পদ আছে তার থেকে ঋণ বা দেনা বাদ দিলে যা থাকে সেটাই একজন ব্যক্তির মোট সম্পদ। আর মোট অর্থ হচ্ছে একবছরের মোট আয় থেকে সেই বছরের মোট ব্যয় বাদ দিলে যা থাকবে সেটা। এই আর্থিক অবস্থা জেনে একজন আর্থিক পরিকল্পনাকারক নির্ধারণ করতে পারেন কেমন সময় লাগতে পারে ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে।
  2. আর্থিক সুরক্ষাঃ আর্থিক সুরক্ষা থেকে জানা যায় একটি পরিবার অজানা কোন বিপদ থেকে কতটুকু নিরাপদ। এই বিপদ বা ঝুঁকিগুলোকে মৃত্যু, শারীরিক অক্ষমতা, ঋণ, জমিজমা গঠিত সমস্যাতে ভাগ করা যায়। কিছু ঝুঁকি নিজেরাই সমাধান করতে পারবে কিন্তু বেশিরভাগ ঝুঁকির জন্য বিভিন্ন বীমা পলিসি কিনতে হয়। সর্বাধিক সাশ্রয়ী মূল্যে কত বীমা পেতে হবে তা নির্ধারণ করার জন্য বীমার বাজার সম্পর্কে জ্ঞান প্রয়োজন। ব্যবসার মালিক, বিভিন্ন চাকুরিজীবী, খেলোয়াড় এদের জন্য বিশেষ বীমা পলিসি প্রয়োজন যেটা তাদেরকে আর্থিক সুরক্ষা দিবে। যদিও বিভিন্ন বীমা পলিসিতে কর সুবিধা নেওয়া যায় তাই বীমাকে বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা আর্থিক পরিকল্পনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।
  3. কর পরিকল্পনাঃ সাধারণত, আয়কর একটি পরিবারের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের জায়গা। কর ব্যবস্থাপনায় কর দেওয়া হবে কি হবে না সেটা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হচ্ছে কখন এবং কত টাকা কর দিতে হবে। সরকার বিভিন্ন কর সুবিধা এবং প্রণোদনা দিয়ে থাকে যেটা ব্যবহার করলে কর দেওয়ার চাপ অনেকাংশে কমানো যায়। বেশিরভাগ উন্নত দেশের সরকার প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা ব্যবহার করে। মানে যার আয় যত বাড়বে তার কর দেওয়ার পরিমাণও বাড়বে। ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনার সময় কীভাবে এই কর সুবিধাগুলোর সুবিধা নেওয়া যায় তা বোঝা একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
  4. বিনিয়োগ এবং সঞ্চয় লক্ষ্যঃ বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে দামি কেনাকাটা বা বিভিন্ন উৎসবের জন্য টাকা পয়সা খরচ করার জন্য অর্থ সঞ্চয় করার পরিকল্পনায় আর্থিক পরিকল্পনা। অর্থ সঞ্চয়ের প্রধান কারণগুলো হলো - বাড়ি বা গাড়ি কেনা, ব্যবসা শুরু করা, পড়াশোনার ব্যয় এবং অবসর পরিকল্পনা।
    এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে এবং কখন সঞ্চয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে হবে তা অনুমান করা প্রয়োজন। তাদের লক্ষ্য অর্জনের বড় ঝুঁকি হলো সময়ের সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধির হার বা মুদ্রাস্ফীতি। নেট বর্তমান মূল্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে একজন আর্থিক পরিকল্পনাকারী মোট সম্পদ এবং সঞ্চয়কে বিভিন্ন রকমের বিনিয়োগে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দিবেন। মুদ্রাস্ফীতির হার কাটিয়ে উঠার জন্য বিনিয়োগ পোর্টফলিওকে উচ্চতর অর্থ ফেরত আসে এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেটা সাধারণ বিনিয়োগকে বেশ কয়েকটি ঝুঁকির সম্মুখীন করবে, যা সাধারণত পোর্টফলিওকে বেশ কয়েকটি ঝুঁকির সম্মুখীন করবে। এই পোর্টফলিও ঝুঁকিগুলো সম্পদ বণ্টন ব্যবস্থা উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয় যেটা বিনিয়োগের আরো সুযোগ তৈরি করে এবং বিনিয়োগের মধ্যে আরো বৈচিত্র‍্য আনে। এই বণ্টন ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ স্টক, বন্ড, নগদ এবং বিকল্প বিনিয়োগের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়। এই বণ্টন ব্যবস্থা একেক জনের জন্য একেকটা হয় কারণ সবার সমান ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা থাকে না।
    সম্পদের অবমূল্যায়নঃ পারসোনাল ফাইনান্স এবং মোট অর্থসম্পদ জন্য সম্পদের অবমূল্যায়ন বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। যে সম্পদ সময়ের সাথে সাথে বা ব্যবহারের সাথে সাথে মূল্য হারায় তাকেই অবমূল্যায়িত সম্পদ বলে। কিছু উদাহরণ হল ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি, গাড়ি, মূলধন খরচ। সেই সম্পদগুলো একজন ব্যক্তির জীবনে মূল্য যোগ করে কিন্তু অন্যান্য সম্পদের তুলনায় সেই সম্পদ থেকে কোন অর্থ পাওয়া যায় না। ব্যবসায়িক জগতে কর এবং হিসাবরক্ষণের কাজগুলা অবমূল্যায়িত সম্পদ কারণ এদের দরকার শেষ হয়ে যায়। এটি সঞ্চয়ের অপচয় হিসেবে পরিচিত এবং এই ধরনের সম্পদ শেষপর্যন্ত প্রতিস্থাপিত করতে হবে।
  5. অবসর পরিকল্পনা হল অবসর গ্রহণের পর জীবনযাপনের জন্য যত ব্যয় হবে তা বুঝা এবং সেই অনুযায়ী সম্পদকে বণ্টন করা যাতে অবসরের পর সেই আয়ের ঘাটতি পূরণ করা যায়। অবসর পরিকল্পনার পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরকার কৃর্তক গ্রহিত করের সুবিধা নেওয়া বা কোম্পানি থেকে গ্রহিত অবসর পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
  6. জমিজমা পরিকল্পনায় মৃত্যুর পর কারও সম্পদের হিসাব সেই পরিকল্পনায় জড়িত। সাধারণত কেউ মারা গেলে সরকার কৃর্তক তার উপর কর পরিশোধ বাকি থাকে। সেই কর এড়ানোর অর্থ হল যে কারো সম্পদের অংশ তার উত্তরাধিকারদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া। যে কেউ সেই সম্পদ পরিবার, বন্ধু বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাছেও বিতরণ করতে পারে।।
  7. বিলম্বিত লাভঃ বিলম্বিত লাভ হচ্ছে তাৎক্ষণিক ছোট লাভকে উপেক্ষিত করে পরবর্তীতে বড় লাভের জন্য অপেক্ষা করা। ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।।
  8. নগদ টাকা ব্যবস্থাপনাঃ আর্থিক পরিকল্পনার এটিই প্রাণ, আপনি কর্মচারী হন বা অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন। প্রত্যক আর্থিক পরিকল্পনাকারীর অবসর গ্রহণের আগে তিনি কত টাকা ব্যয় করবেন তা জানা আবশ্যক যাতে তিনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সঞ্চয় করতে পারেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের বেশিরভাগই আমাদের আয় সম্পর্কে সচেতন কিন্তু খুব কম মানুষই আছে যারা তাদের খরচকে নিয়ন্ত্রণ করে।।
  9. নিয়মিতভাবে লিখিত আর্থিক পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করাঃ আর্থিক পরিকল্পনা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার অভ্যাস করা জুরুরি। প্রতিবছর পেশাদারদের সাথে আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে পর্যালোচনা করা আপনাকে ভালো অবস্থানে রাখে এবং আপনার প্রয়োজন বা জীবনের যেকোন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো যদি থাকে সে সম্পর্কে অবহিত করে। জীবনের যেকোন আকস্মিক অনিবার্য পরিস্থিতির জন্য আপনাকে ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
  10. শিক্ষা পরিকল্পনাঃ পড়াশোনা বিষয়ক ঋণের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে আর্থিক পরিকল্পনায় সেই ঋণের ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা প্রায়ই তাদের সন্তানদের জন্য সঞ্চয় করেন কিন্তু বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সেই সঞ্চয় বিরূপ প্রভাব পরে। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ব্যয়বহুল উপহার দেয় অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রয়োজনীয় কোন অর্থের সদ্য ব্যবহার হয় না। এইসবের পরবর্তীতে বাবা-মার উচিত সন্তানকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা এবং তাদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করা।

প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং উপকরণ[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত বাজেট পরিকল্পনা সফটওয়্যারের একটি উদাহরণ

হ্যারিস ইন্টারেক্টিভ কৃর্তক গ্রীহিত একটি জরিপ অনুসারে, ৯৯% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মনে করেন পারসোনাল ফাইনান্স বিষয়ক শিক্ষা স্কুল থেকেই শেখানো উচিত। আমেরিকার সরকার এবং বিভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে অনলাইনে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করেছিলো। যাইহোক, ব্যাংক অফ আমেরিকা তথ্য অনুসারে, ৪২% প্রাপ্তবয়স্ক এতে নিরুৎসাহিত হয়েছিলো যেখানে ২৮% প্রাপ্তবয়স্ক মনে করতো পারসোনাল ফাইনান্স অনেক কঠিন বিষয় কারণ অনেক রকম তথ্য উপাত্ত অনলাইনে সহজলভ্য ছিলো। ২০১৫ সালের আগপর্যন্ত আমেরিকার ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ১৭টি রাজ্যের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার আগে পারসোনাল ফাইনান্স বিষয়ে পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক ছিলো। সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক বিষয়ক পড়াশোনার কার্যকারিতা নিয়ে বিভিন্ন বির্তক ছিলো। উদাহরণস্বরূপ - বেল গোরিন এবং হোগার্থ দ্বারা কৃর্তক একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, যারা আর্থিক শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ব্যয় পরিকল্পনা ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। আর্থিক শিক্ষায় শিক্ষিত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত সঞ্চয়, ব্যাংক থেকে কম টাকা তুলা এবং তাদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স সময়মত পরিশোধ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাইহোক, কোল এবং শাস্ত্রী (হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, ২০০৯) দ্বারা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সঞ্চয় করার প্রবণতার ক্ষেত্রে যেসব রাজ্যের জনগণ আর্থিক শিক্ষায় শিক্ষিত আর যেসব রাজ্যের জনগণ আর্থিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয় এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

কিপলিংগার পারসোনাল ফাইনান্স বিষয়ক ম্যাগাজিন পাবলিশ করে থাকে। [১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "10 Best Personal-Finance Tools to Better Manage Your Money"। Kiplinger। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫