পাদশাহনামা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কান্দাহারের আত্মসমর্পণ, ১৬৩৮ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক সফলভাবে শহর অধিকার বিষয়ক অনুচিত্র।

পাদশাহনামা (ফার্সি: پا د شاه نا مہ) (Chronicle of the Emperor) হল মুঘল সম্রাট শাহজাহানের সময়কার সরকারি লিখিত চিত্রায়িত ইতিহাস। এর অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলো দুইখণ্ডে আবদুল হামিদ লাহোরির রচিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শাহজাহান তার শাসনামলের অষ্টম বছরে তার শাসনামল নিয়ে মুহাম্মদ আমিন কাজভিনিকে সরকারিভাবে ইতিহাস রচনা করতে বলেন। কাজভিনি ১৬৩৬ সালে পাদশাহনামা রচনা সমাপ্ত করেন। এতে শাহজাহানের শাসনের প্রথম দশ চান্দ্রবছরের বিবরণ রয়েছে।[১]

জালালউদ্দিন তাবাতাবায়ি আরেকটি পাদশাহমানা লিখেছেন। কিন্তু তাতে শুধু পঞ্চম থেকে অষ্টম অর্থাৎ চার বছরের বিবরণ রয়েছে। পরে আবদুল হামিদ লাহোরিকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি দুই খণ্ডে তা সমাপ্ত করেন। প্রথম খন্ড কাজভিনির কাজের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে, তবে বিস্তারিত আকারে। দ্বিতীয় খণ্ডে শাহজাহানের পরের দশ চান্দ্রবছরের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়। এটি তিনি ১৬৪৮ সালে শেষ করেন। লাহোরি ১৬৫৪ সালে মারা যান। লাহোরির এক ছাত্র মুহাম্মদ ওয়ারিসকে শাহজাহানের বাকি জীবন লিপিবদ্ধ করে তা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি এটি ১৬৫৬ সালে সমাপ্ত করেন। তার কর্ম এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক লাহোরির পাদশাহনামার তৃতীয় খন্ড রূপে প্রকাশিত হয়।

এই রচনাগুলো শাহজাহানের শাসনামল সম্পর্কে জানার গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। এর পান্ডুলিপিতে অঙ্কিত চিত্রগুলো বিয়ে ও অন্যান্য কার্যকলাপের মাধ্যমে শাহজাহানের দরবারের অবস্থা তুলে ধরে।

বর্তমান পান্ডুলিপি[সম্পাদনা]

১৭৯৯ সালে আওধের নবাব তৃতীয় জর্জকে পাদশাহনামা পাঠান। বর্তমানে উইন্ডসর দুর্গের রাজকীয় লাইব্রেরীতে লাহোরির পাদশাহনামা এর রাজকীয় চিত্রায়িত পান্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে। কাজভিনি ও ওয়ারিসের পান্ডুলিপি ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া ভারতের পাটনার খোদা বখশ অরিয়েন্টাল লাইব্রেরীতে একটি পান্ডুলিপি রয়েছে।[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

অনলাইন[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Majumdar, R. C. (ed.) (2007). The Mughul Empire, Mumbai: Bharatiya Vidya Bhavan, আইএসবিএন 81-7276-407-1, p.9
  2. "Islamic knowledge house, Khuda Bakhsh Library retains glory"Outlook (magazine)। জুলাই ৮, ২০০৫। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Abdul Hamid Lahori (১৬৩৬)। "Shah Jahan Receives Persian Ambassadors"Padshahnama 
  4. Abdul Hamid Lahori (১৬৩৬)। "Prince Awrangzeb (Aurangzeb) facing a maddened elephant named Sudhakar"Padshahnama 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]