পাথুরে শিল্পকর্ম
প্রত্নতত্ত্ব অনুসারে, পাথুরে শিল্পকর্ম হলো প্রাকৃতিক পাথরে মানুষের তৈরি নকশা বা চিহ্ন, এটি অনেকটা প্রাচীর শিল্পের সমার্থক। বৈশ্বিক বিষয় হিসেবে, পৃথিবীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলে পাথুরে শিল্প দেখা যায়। মানবজাতির ইতিহাসে বিভিন্ন সময় এই পাথুরে শিল্পগুচ্ছ তৈরি করা হয়েছে, যদিও নৃকুলবিদ্যা অনুসারে বেশিরভাগ পাথুরে শিল্প শাস্ত্রীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
পরিভাষা[সম্পাদনা]

পাথুরে শিল্প শব্দটির উল্লেখ ১৯৪০এর দিকে প্রকাশিত হওয়া সাহিত্যে পাওয়া যায়। এটিকে "পাথুরে ভাস্কর্য", "পাথুরে অঙ্কন", "পাথুরে চিত্রকর্ম", "পাথুরে চিত্র", "পাথুরে খোদাই", "পাথুরে লিপি" হিসেবেও বর্ণনা করা হয়।
পটভূমি[সম্পাদনা]
পাথুরে শিল্পকর্মের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় এটি প্রাকৃতিক পাথরের পৃষ্ঠে থাকে যা এটিকে দেয়ালে থাকা বা মুক্তভাবে দাঁড়ানো কোন শিল্পকর্ম থেকে পৃথক করে।পাথুরে শিল্প হলো প্রাকৃতিক শিল্পের একটি প্রকার,আর এই শিল্পে সেসকল নকশা থাকে যেগুলো রয়েছে পাথরে,নুড়িতে,বাঁধে,গুহার দেয়ালে ও ছাদে এবং ভূপৃষ্ঠে।পাথুরে শিল্প একটি বৈশ্বিক বিষয় যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
প্রকারভেদ[সম্পাদনা]
ব্যাখ্যা এবং ব্যবহার[সম্পাদনা]
ধর্মীয় ব্যাখ্যা[সম্পাদনা]
অনেক ঘটনায়,পাথুরে শিল্প তৈরি করা একটি শাস্ত্রীয় কাজ।কিছু পাথুরে শিল্প সাংস্কৃতিক আচার-আচরণ কে ব্যাখ্যা করে বলে মনে করা হয়।
আঞ্চলিক ভিন্নতা[সম্পাদনা]
ইউরোপ[সম্পাদনা]
আফ্রিকা[সম্পাদনা]

আমেরিকা[সম্পাদনা]

এশিয়া[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়া[সম্পাদনা]
অস্ট্রেলিয়ার দেশীয় শিল্প হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন শিল্পের ঐতিহ্য।
পাথুরে শিল্প চর্চা[সম্পাদনা]
প্রত্নতাত্ত্বিক শাখায় পাথুরে শিল্প নিয়ে অনুসন্ধান করার বিষয়টি "পাথুরে শিল্প চর্চা" হিসেবে পরিচিত।পাথুরে শিল্প বিশেষজ্ঞ ডেভিড এস.উইটলি খেয়াল করেছেন যে,এই বিষয়ে গবেষণার জন্য একিভূত প্রচেষ্টা প্রয়োজন যা প্রত্নতাত্ত্বিক তত্ত্ব,প্রক্রিয়া,বিশেষণাত্বক পদ্ধতি ও ব্যাখ্যাকে একত্রিত করে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
যদিও ফ্রান্সের প্রত্নতত্ত্ববীদরা পাথুরে শিল্প নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন,অ্যাগোফোন প্রত্নতত্ত্ব বিষয়টিকে অনেক দশক ধরে উপেক্ষা করেছে।
আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার ও কাগজপত্র[সম্পাদনা]
"দ্যা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড রক আর্ট আর্কাইভ ওয়ার্কিং গ্রুপ" ২০১১সালে "ওয়ার্ল্ড রক আর্কাইভ" এর জন্য মূল গঠন আলোচনা করতে মিলিত হয়।