বিষয়বস্তুতে চলুন

পাঞ্জাবী উৎসবসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বসন্ত ঘুড়ি উতসব

পাঞ্জাবিরা বহুসংখ্যক উৎসব উদ্‌যাপন করে যেগুলির আংশিক ধর্মনিরপেক্ষ গুরত্ব আছে এবং ধর্ম নিরপেক্ষ জনগনের সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়। পাঞ্জাবী দিনপঞ্জিকা অনুসারে উৎসব উদ্‌যাপনের দিনগুলি নির্ধারণ করা হয়।

পাঞ্জাবী উৎসব

[সম্পাদনা]
মাঘীর জন্য ক্ষীর।

মকর সংক্রান্তি পাঞ্জাবে মাঘী নামে পরিচিত। এই উতসবে মানুষেরা গুরুদ্বার অথবা  মন্দির পরিদর্শন করে। বছরের যেদিন থেকে দিনের সময় বৃদ্ধি পায় সেই বিশেষ দিনটিকে চিহ্নিত করে এই উৎসব এবং পায়েস খেয়ে সাংস্কৃতিকভাবে পালন করা হয়।'[] অঞ্চলে অঞ্চলে বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 

লোরীর আগুন

লোরী পাঞ্জাব অঞ্চলের শীতকালীন ফসল কাটবার উৎসব যেহেতু চিরাচরিতভাবে আখ ফলাবার সময় হল শীতকাল হিসাবে। দক্ষিণায়ণের প্রতীকী উদ্‌যাপন এবং কৃষকদের আর্থিক বছরের শেষ দিন পালনের ও উৎসব এটি।[]

বসন্ত উৎসব

[সম্পাদনা]
বসন্ত উৎসবে ঘুড়ী উড়ছে।

বসন্ত উৎসব বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে ঋতুভিত্তিক উৎসব এটি। এই দিনের পরম্পরাগত রং হলুদ এবং সেই দিনের বিশেষ খাবারের পদ জাফরান ভাত।[] 

হোলীর রংবেরংএর আবীর

হোলী একটি বসন্ত উৎসব। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। হোলী চেতের  পাঞ্জাবি চান্দ্র মাসের প্রথম দিনে উদযাপিত হয় যেটি বসন্ত ঋতুকে চিহ্নিত করে।

বৈশাখী

[সম্পাদনা]
মেলা

বৈশাখী পাঞ্জাবি নববর্ষ এবং ফসল কাটবার উৎসব।এই দিনে পাঞ্জাবে সর্বত্র মেলা হয়।

রাখী

রক্ষাবন্ধন পাঞ্জাবে রাখ্রী নামে পরিচিত এবং ভাই ও বোনেদের দিন হিসেবে পালিত হয়।

তীয়ান

[সম্পাদনা]
তীয়ানের দিন মেয়েরা উঠানে অথবা গাছের তলায় বাঁধা ঝুলনায় বসে দোলে[]

তীয়ান বর্ষাঋতুকে স্বাগত জানায় এবং তীজ উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনে শুরু হয় যেটি ১৩ দিন ধরে চলে। এই ঋতুভিত্তিক উৎসবটিতে বিবাহিতা নারী এবং কুমারীরা গিদ্ধা নাচে ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করে।

পাঞ্জাবী ফসল কাটবার উৎসব

[সম্পাদনা]

নিম্নলিখিত উৎসব গুলিও ফসল কাটবার সময় উৎসব:

কাটা আখ

লোরী শীতকালীন ফসল যথা আখ, ডাল এবং বাদাম চাষের সময়।

বৈশাখী

[সম্পাদনা]
ভারতের পাঞ্জাবে , বৈশাখী নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপনের আগে ট্রাক্টর দিয়ে গম চাষের উপযুক্ত করা হচ্ছে।

বৈশাখী পাঞ্জাবের বসন্তকালের ফসল, গম ফলনের উৎসব।

দিয়ালি/দীপাবলী

[সম্পাদনা]
টবে যব গাছ (খেতড়ি)

প্রথাগতভাবে, নবরাত্রের প্রথম দিনে পাঞ্জাবের মানুষ ডাল,বিভিন্ন অন্ন (চাল, যব ইত্যাদি) ও অন্যান্য বীজ বপন করেন, যেটি আগামী নয় দিন জল সেচন করে শেষে বীজটি অঙ্কুরিত হয়। এটা সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যেের প্রতীক। একটি পাত্রে বার্লি শস্য রোপণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দশম দিনে, কান্ডটি প্রায় ৩- ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের হয়। প্রার্থনা করার পর, এই চারা বা "খেতড়ি" দশমীর দিন জলে নিমজ্জিত করা হয়। এই রীতি ফসল ফলানোর একটি যোগসূত্রকে ইঙ্গিত করে। এইভাবে যব, বপন এবং ফলানো "প্রথম ফলন" এর প্রতীক।[][]

তদনুসারে, পাঞ্জাবি কৃষকেরা প্রথাগতভাবে দশেরার পর খরিফ (বর্ষা) ধান চাষ এবং দীপাবলীর পর গমের (রবি ফসল) বপন শুরু করেন। অতএব, দশেরা/দশমী, দ্বিগুণ ভাবে একটি ধন্যবাদের উৎসব হিসেবে এবং দীপাবলী নবান্নের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। পাঞ্জাবী দিনপঞ্জিকায় সময়ের সাথে ঋতুর বদল ঘটেছে। দশেরা/দশমী, শরৎ মহাবিষুবেের প্রথম পূর্ণিমার কাছাকাছি এবং দীপাবলী, পরবর্তী প্রথম অমাবস্যায় উদ্‌যাপন করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Sundar mundarye ho by Assa Singh Ghuman Waris Shah Foundation ISBN B1-7856-043-7
  2. [১] Singh, Hazara: Seasonal Festivals and Commemorative Days.
  3. ASPECTS OF PUNJABI CULTURE S. S. NARULA Published by PUNJABI UNIVERSITY, INDIA, 1991
  4. About Teej
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ মার্চ ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৬ 
  6. http://www.webindia123.com/punjab/festivals/festivals1.htm
  7. James Christie, the Younger.