পাক (প্রাকৃতিক উপগ্রহ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(পাক (চন্দ্র) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
পাক
আবিষ্কার
আবিষ্কারকস্টিফেন পি.সায়নট / ভয়েজার ২
আবিষ্কারের তারিখডিসেম্বর ৩০, ১৯৮৫
বিবরণ
বিশেষণপাকিয়ান
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য
কক্ষপথের গড়
ব্যাসার্ধ
৮৬,০০৪.৪৪৪ ± ০.০৬৪ কি.মি.[১]
উৎকেন্দ্রিকতা০.০০০১২ ± ০.০০০০৬১[১]
কক্ষীয় পর্যায়কাল০.৭৬১৮৩২৮৭ ± ০.০০০০০০০১৪ d[১]
গড় কক্ষীয় দ্রুতি৮.২১ কি.মি./সে[ক]
নতি০.৩১৯২১ ± ০.০২১° (ইউরেনাসের বিষুবরেখা) [১]
যার উপগ্রহইউরেনাস
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ
গড় ব্যাসার্ধ৮১ ± ২ কি.মি.[২]
পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল~৮২,৪০০ কি.মি.² [ক]
আয়তন~২,২২৫,০০০ কি.মি.³ [ক]
ভর~২.৯ × ১০১৮ কেজি[ক]
গড় ঘনত্ব~১.৩ গ্রা./সে.মি.³ (অধিকৃত)
বিষুবীয় পৃষ্ঠের অভিকর্ষ০.০২৮ মি./সে.²[ক]
মুক্তি বেগ০.০৬৯ কি.মি./সে. [ক]
ঘূর্ণনকালসমলয় [২]
অক্ষীয় ঢালশূণ্য[২]
প্রতিফলন অনুপাত
  • ০.১১ ± ০.০১৫ (জ্যামিতিক)
  • ০.০৩৫ ± ০.০০৬ (বন্ধন) ০.৫৫ μm[৩]
তাপমাত্রা~৬৪ কে[ক]
আপাত মান২০.৫ [৪]

ইউরেনাসের অভ্যন্তরীণ একটি উপগ্রহ হলো পাকভয়েজার ২ মহাকাশযান কর্তৃক ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি আবিষ্কৃত হয়।[৫] প্রচলিত রীতি অনুযায়ী শেক্সপিয়ারের গল্পের চরিত্র অনুযায়ী পাক এর নামকরণ করা হয়। ইউরেনাস এর প্রথম বড় চন্দ্র মিরান্ডাইউরেনাসের বলয় এর মাঝামাঝি এর কক্ষপথ বিদ্যমান। এর ব্যাস প্রায় ১৬২ কিমি এবং দেখতে বর্তুলাকার (গোলাকার)।[২] এর পৃষ্ঠে গহ্বরযুক্ত এবং অত্যন্ত অন্ধকার; যা বরফ বিদ্যমানের চিহ্ন প্রকাশ করে।[৬]

আবিষ্কার ও নামকরণ[সম্পাদনা]

পাক ইউরেনাসের অভ্যন্তরীণ উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়; যা ১৯৮৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভয়েজার ২ মহাকাশযান কর্তৃক গৃহীত ছবির মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়। এস/১৯৮৫ ইউ ১ নামেও কিছুদিন এটি পরিচিত ছিলো।[৭]

পরবর্তীতে শেক্সপিয়ার এর গল্প এ্য মিডসামার নাইট ড্রিম এর চরিত্র পাক (একটি ছোট্ট পরী যা তার ডানার সাহায্যে রাতে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতো) অনুযায়ী এর নামকরণ করা হয়। গ্রিক পুরাণ ও ইংরেজি লোকসাহিত্য অনুযায়ী খ্রিষ্টানদের কাছে পাক মন্দ পিশাচ নামে পরিচিত।

এটি ইউরেনাস এক্সভি নামেও পরিচিত।[৮]

গাঠনিক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

ইউরেনাসের অভ্যন্তরীণ উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে পাক, যার কক্ষপথ মিরান্ডার কক্ষপথের ভিতরে অবস্থিত। এর আকার পোর্টিয়া (দ্বিতীয় বড় অভ্যন্তরীণ চন্দ্র) এবং মিরান্ডা (পাঁচ বড় শাস্ত্রীয় চন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট) এর মাঝামাঝি। ইউরেনাসের বলয় এবং মিরান্ডা এর কক্ষপথের মাঝামাঝি এর কক্ষপথ অবস্থিত। কক্ষপথের অবস্থান ছাড়া খুব অল্প কিছুই জানা সম্ভব হয়েছে পাক সম্পর্কে।[১] এর ব্যাসার্ধ ৮১ কিমি[২] এবং দৃশ্যমান আলোর প্রতিফলন মাত্রা প্রায় ০.১১।[৩]

ভয়েজার ২ মহাকাশযান এর আলোকচিত্র গ্রহণকারী দলের আলোকচিত্র দ্বারা যতগুলো চন্দ্র আবিষ্কার করা হয়েছে তার মধ্যে পাক আবিষ্কার এবং এর রহস্যভেদ দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।[৫] আলোকচিত্র দ্বারা বোঝা যায় যে এটির আকৃতি অনেকটাই বর্তুলাকার ( অক্ষদ্বয়ের মধ্যবর্তী অনুপাত ০.৯৭ ± ০.০৪)।[২] এর পৃষ্ঠতল বেশ গহ্বরময়[৪] এবং ধূসর বর্নের।[২] এর পৃষ্ঠতলে তিন নামে গহ্বর রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ব্যাস ৪৫ কিমি।[৫] হাবেলস স্পেস টেলিস্কোপ এর লার্জ টেরিস্ট্রিয়াল টেলিস্কোপ এর পর্যবেক্ষণ দ্বারা এর মধ্যে পানির বরফের অস্তিত্বপাওয়া যায়।[৩][৬]

পাকের ভিতরের গঠন সম্পর্কে তেমন কোন কিছু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হয় এটি বলয় এর অনুরূপ আলোহীন উপাদান এবং পানির বরফের মিশ্রণ দ্বারা গঠিত।[৬] আলোহীন উপাদানগুলো সম্ভবত পাথর এবং তেজস্ক্রিয় জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত। গর্তগুলোর মধ্যে উজ্জ্বল আলোক রশ্মির অনুপস্থিতি বোঝায় যে পাক এখনো পৃথককরণ করা হয় নি, অর্থাৎ বরফ এবং বরফ-ছাড়া পদার্থগুলো অভ্যন্তরে এখনোও একে অপরের সাথে লেগে আছে।[৫]

আরোও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

ব্যাখ্যামূলক নোট

  1. Calculated on the basis of other parameters.

উদ্ধৃতি

উৎস

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]