গ্যালশিং জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৭°১৭′ উত্তর ৮৮°১৫′ পূর্ব / ২৭.২৮৩° উত্তর ৮৮.২৫০° পূর্ব / 27.283; 88.250
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(পশ্চিম সিক্কিম জেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গ্যালশিং
জেলা
Ruins
রাবদেনসে রাজপ্রাসাদ
সিক্কিম রাজ্যে গ্যালশিং জেলার অবস্থান
সিক্কিম রাজ্যে গ্যালশিং জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৭°১৭′ উত্তর ৮৮°১৫′ পূর্ব / ২৭.২৮৩° উত্তর ৮৮.২৫০° পূর্ব / 27.283; 88.250
দেশভারত
রাজ্যসিক্কিম
আসনগেজিং
আয়তন
 • মোট১,১৬৬ বর্গকিমি (৪৫০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৩৬,২৯৯
 • জনঘনত্ব১২০/বর্গকিমি (৩০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলভারতীয় সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN-SK-WS
ওয়েবসাইটwsikkim.gov.in
রাবেনসের তিনটি চোর্টেন
থাংসিং-এর কাছে হিমবাহ উপত্যকা
পান্ডিম পর্বত

গ্যালশিং জেলা (পূর্বনাম: পশ্চিম সিক্কিম জেলা) হল ভারতের সিকিম রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলার সদর শহর গেজিং। উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানের জন্য এই জেলা ট্রেকিং-এর জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধ। পেলিংজোরেথাং এই জেলার অপর দুটি প্রধান শহর।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সিক্কিমের প্রাচীন রাজধানী ইউকসোম এই জেলায় অবস্থিত। ১৬৪২ সাল থেকে ৫০ বছর এই শহর ছিল সিক্কিমের রাজধানী। তারপর রাজধানী স্থানান্তরিত হয় রাবতেনস শহরে। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই জেলা নেপালের অধীনে ছিল। গোর্খা যুদ্ধের পর এই জেলা সিক্কিমের হাতে আবার ফিরে আসে।

ভূগোল[সম্পাদনা]

পার্বত্য এলাকার দৃশ্য, পশ্চিম সিকিম।

গ্যালশিং জেলায় আয়তন ১১৬৬ বর্গ কিলোমিটার। খেচেওপেরি হ্রদ এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া রাজ্যের প্রথম মঠ ডুবডি মঠও এই জেলায় অবস্থিত। কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যানের অংশবিশেষও এই জেলায় অবস্থিত।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

এই জেলার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি কৃষি। তবে জেলার অধিকাংশ অঞ্চলেই খাড়া ও পাথুরে ঢাল থাকার জন্য কৃষিকাজের পক্ষে অনুপযুক্ত।

পরিষেবা[সম্পাদনা]

এই জেলায় বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকায় নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক সংযোগের সুবিধা ভোগ করে থাকে। ঘন ঘন ধস নামার ফলে এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাল নয়।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, গ্যালশিং জেলার জনসংখ্যা ১৩৬,২৯৯।[১] এই জনসংখ্যা গ্রেনাডার প্রায় সমান।[২] এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে ৬০৮তম।[১] জেলার জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১৭ জন।[১] ২০০১-২০১১ দশকে এখানে দশকীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১০.৫৮%।[১] পশ্চিম সিক্কিমের লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৪১ জন।[১] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭৮.৬৯%।[১]

সিক্কিমের অধিবাসীরা মূলত নেপালি বংশোদ্ভুত। এছাড়া লেপচা ও ভুটিয়া উপজাতির মানুষেরাও বাস করেন। জেলার প্রধান ভাষা হল নেপালি

উদ্ভিদ ও প্রাণী[সম্পাদনা]

এই জেলায় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চল হওয়ার জন্য এই জেলার আবহাওয়া শীতল। ৩,৮০০ মিটারের (১২,০০০ ফুট) উপরে পাহাড়ের ঢালগুলি রডোডেনড্রন বনে ভর্তি।

১৯৭৭ সালে গ্যালশিং জেলায় কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান স্থাপন করা হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ১,৭৮৪ কিমি (৬৮৮.৮ মা)।[৩] এই জাতীয় উদ্যানের কিছু অংশ উত্তর সিক্কিম জেলাতে অবস্থিত।[৩]

বিভাগ[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক বিভাগ[সম্পাদনা]

গ্যালশিং জেলা দুটি মহকুমায় বিভক্ত:[৪]

নাম সদর গ্রামের সংখ্যা[৫] অবস্থান
গ্যালশিং গ্যালশিং
সোরেং সোরেং

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  2. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Grenada 108,419 July 2011 est. 
  3. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Sikkim"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১ 
  4. Sikkim Administrative Divisions (PDF) (মানচিত্র) (English ভাষায়)। The Registrar General & Census Commissioner, India, New Delhi, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৯ 
  5. "MDDS e-Governance Code (Sikkim Rural)" (PDF)। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]