বিষয়বস্তুতে চলুন

পল্লবী আয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পল্লবী আয়ার একজন ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখিকা, বর্তমানে স্পেনে বাস করছেন। এর আগে তিনি দ্য হিন্দুইন্দোনেশিয়া সংবাদদাতা, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ইউরোপ সংবাদদাতা এবং দ্য হিন্দুর চীন ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জীবনপরিচয়

[সম্পাদনা]

পল্লবী আয়ার বিশিষ্ট ভারতীয় সাংবাদিক স্বামীনাথন আয়ার[] এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, বিখ্যাত সংবাদপাঠিকা গীতাঞ্জলি আয়ার[] (জন্মনাম আম্বেগাঁওকর)-এর কন্যা।[]

তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট এডমন্ড হল থেকে আধুনিক ইতিহাসে এম.এ এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে গ্লোবাল মিডিয়া ও কমিউনিকেশনে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি এবিপি নিউজ-এর সাংবাদিক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন এবং ২০০৬ সালে দ্য হিন্দু-র চীন ব্যুরো প্রধান হন। ২০০৭ সালে তাঁকে রিপোর্টিংয়ে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য প্রেম ভাটিয়া স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। একই বছরে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ জার্নালিজম-এ ফেলো হিসেবে মনোনীত হন।[]

২০০৮ সালের জুলাই মাসে তিনি তাঁর প্রথম গ্রন্থ স্মোক অ্যান্ড মিররস্‌ (হারপারকলিন্স) প্রকাশ করেন, যা চীনে তাঁর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রচিত। এই গ্রন্থটি ২০০৮ সালে ভোডাফোন-ক্রসওয়ার্ড পাঠক পছন্দ পুরস্কার লাভ করে।

তিনি ২০১৬ সালে বেবিজ অ্যান্ড বাইলাইন্স শিরোনামে অভিভাবকত্ব বিষয়ক একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ এবং ২০১১ সালে চাইনিজ হুইস্কার্স নামক একটি উপন্যাস রচনা করেন। ভারতীয় পাঠকদের কথা মাথায় রেখে বিশেষভাবে তৈরি লোনলি প্ল্যানেট, ডিসকভার চায়না ভ্রমণ নির্দেশিকা গ্রন্থের নতুন সংস্করণের প্রধান লেখক হিসেবেও তিনি কাজ করেন।

এছাড়া তিনি পাঞ্জাবি পারমেজান: ইউরোপের সংকট থেকে প্রেরিত প্রতিবেদন (প্রকাশক: পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া) এবং নিউ ওল্ড ওয়ার্ল্ড: এক ভারতীয় সাংবাদিকের চোখে ইউরোপের পরিবর্তনশীল রূপ (প্রকাশক: সেন্ট মার্টিনস প্রেস) গ্রন্থদ্বয় প্রকাশ করেন।[][][][][]

তিনি ২০১৪ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কর্তৃক ইয়ং গ্লোবাল লিডার (তরুণ বৈশ্বিক নেতা) হিসেবে মনোনীত হন।[১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "About Swami"। Swaminomics (স্বামীনাথন আয়ারের ওয়েবসাইট)। ২৭ জানুয়ারি ২০১০।
  2. "গীতাঞ্জলি আয়ারের মৃত্যু কারণ: ৭১ বছর বয়সে ডিডি'র পুরস্কারপ্রাপ্ত উপস্থাপিকার মৃত্যু"Janbharat Times। ৮ জুন ২০২৩। ২৯ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৩
  3. Khadpekar, Nirmala (২৯ জুলাই ২০২০)। "The Name as Family - Forever and Ever"LinkedIn Pulse। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৩
  4. "Fellowships: Ms Pallavi Aiyar"। Reuters Institute for the Study of Journalism। ২০০৭–২০০৮। ১৫ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৩
  5. পল্লবী আয়ারের প্রোফাইল রয়টার্স ইনস্টিটিউটে ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০১০ তারিখে
  6. "পল্লবী আয়ার পেলেন প্রেম ভাটিয়া পুরস্কার"দ্য হিন্দু। ভারত। ১২ এপ্রিল ২০০৭। ২২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১০
  7. হর-চুং লাউ, জয়েস (১৬ জুলাই ২০০৮)। "গ্রন্থ পর্যালোচনা: স্মোক অ্যান্ড মিররস্‌"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১০
  8. "পল্লবী আয়ারের সঙ্গে চীন নিয়ে আলোচনা"রেডিফ.কম। ১৭ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১০
  9. "হারপারকলিন্স ওয়েবসাইটে পল্লবী আয়ারের প্রোফাইল"হারপারকলিন্স। ২৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১০
  10. "২০১৪ সালের তরুণ বৈশ্বিক নেতা তালিকায় প্রাক্তন ফেলো পল্লবী আয়ার"

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]