পরিবেশ সমাজবিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সামাজিক নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম

পরিবেশ সমাজবিজ্ঞান বলতে সাধারণত পরিবেশসমাজের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ায় সমাজতাত্ত্বিক অধ্যয়নকে বোঝায়, যদিও সংজ্ঞাটি অব্যবহিত পরেই মানব সংস্কৃতি থেকে বাদবাকি পরিবেশকে বিচ্ছিন্ন করার সমস্যাকে আমাদের সামনে তুলে ধরে। সাধারণভাবে পরিবেশ ও সমাজের মধ্যকার সম্পর্কই এই ক্ষেত্রের মূল আলোচ্য বিষয়। তথাপি পরিবেশ সমাজবিজ্ঞানীরা সাধারণত পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ সামাজিক নিয়ামকসমূহ, এসব বিপর্যয়ের সামাজিক প্রভাব এবং বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রচেষ্টাসমূহ অধ্যয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। অধিকন্তু, যেসব সামাজিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ কিছু পরিবেশীয় অবস্থাকে বিপর্যয় বলে সম্বোধন করা হয় সেগুলোর উপরও অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

যদিও ১৯৯০'র দশকে পরিবেশ সমাজবিজ্ঞানের কৃতিবাদী(constructivist) ও বাস্তববাদী(realist) ধারার মধ্যে কখনও কখনও তিক্ত বিতর্ক চলেছে, উভয়পক্ষই পরবর্তীকালে একটি সাধারণ ভিত পেয়েছে। কারণ উভয়পক্ষই ক্রমবর্ধমানভাবে গ্রহণ করছে যে, পবিবেশগত সমস্যাগুলোর একটি জাগতিক বাস্তবতা থাকার পরেও এগুলো কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, কর্মীপ্রচেষ্টা এবং প্রচারমাধ্যমের আগ্রহের মত মনুষ্য প্রক্রিয়ার দ্বারাই চিহ্নিত হয়। অধিকাংশ পরিবেশগত সমস্যার একটি বাস্তবিক তাত্ত্বিক মর্যাদা রয়েছে। যদিও এসব সমস্যা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান নির্মিত হয় বিজ্ঞানী, কর্মী, প্রচারমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক নিয়ামক দ্বারা বিভিন্ন পরিবেশীয় অবস্থাকে সমস্যা হিসেবে নির্মাণের মত সামাজিক প্রক্রিয়া থেকে। অনুরূপভাবে পরিবেশগত সমস্যাগুলোর কোনো তাত্ত্বিক ভিত্তি থেকে থাকলেও এগুলোকে অবশ্যই সামাজিক প্রক্রিয়ার সাহায্যেই বুঝতে হয়। এই আন্তসম্পর্ক বর্তমানে[কখন?] ব্যাপকভাবে গৃহীত কিন্তু বিতর্কটির নানাদিক সমসাময়িক গবেষণায় এখনও চালু রয়েছে।

Sydensticker Neto (1995) এর মতে, "Environmental sociology is the study of reciprocal interaction between the physical, social organization and social behaviour." অর্থাৎ " দৈহিক বা ভৌতিক পরিবেশ, সামাজিক সংগঠন ও সামাজিক আচরণের মধ্যে বিনিময়যোগ্য ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার অধ্যায়নই হলো পরিবেশ সমাজবিজ্ঞান। "

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]