পরিবেশগত অবনতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি খনি, পরিত্যাক্ত হওয়ার ৮০ বছর পর কয়েকটি স্থানে শুধুমাত্র গাছপালা বিদ্যমান

পরিবেশের অবনতি বলতে বায়ু, পানি ও মাটি প্রভৃতি সম্পদ নিঃশেষের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষয়সাধন, বাস্তুতন্ত্রের ধ্বংসসাধন, আবাস ধ্বংসকরণ; বন্যপ্রাণী বিলুপ্তকরণ; এবং দূষণ বৃদ্ধিকে বোঝায়। এটাকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়- কোন পরিবর্তন বা পরিবেশগত সমস্যার অনুভূতি যা ক্ষতিকর বা অবাঞ্ছিত। I=PAT সমীকরণ দ্বারা নির্দেশিত হিসাবমতে, পরিবেশগত প্রভাব (I) বা অবনতি ইতোমধ্যে একটি খুব বড় এবং ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠী (P), ক্রমাগত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা মাথাপিছু সমৃদ্ধি (A), এবং সম্পদের ব্যবহার হ্রাস ও প্রযুক্তি দূষণের (T) সমন্বয় দ্বারা সৃষ্ট।

পরিবেশের অবনতিকে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের হুমকি, চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তন প্যানেল দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে দশটি হুমকি একটি হিসেবে সতর্ক করা হয়েছে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক বিপর্যয় প্রশমন কৌশল পরিবেশের অবনতিকে সংজ্ঞায়িত করেছে সামাজিক ও পরিবেশগত উদ্দেশ্য, এবং চাহিদা পূরণের নিমিত্তে পরিবেশের ধারণক্ষমতা হ্রাস হিসেবে। পরিবেশের অবনতি অনেক ধরনের হয়। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হলে বা প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ করা হলে পরিবেশের ক্ষয় হয়। এই সমস্যা প্রতিহত করতে পরিবেশ সুরক্ষা এবং পরিবেশগত সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

আমাদের সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে

পানি দূষণ[সম্পাদনা]

পরিবেশের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো পৃথিবীতে নিরাপদ পানির সংস্থানের নিঃশেষন। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত পানির শুধুমাত্র ২.৫% নিরাপদ, বাকিগুলো লবণাক্ত। সুপেয় পানির ৬৯% এন্টার্কটিকা এবং গ্রীনল্যান্ডে বরফ আকারে সঞ্চিত আছে। তাই সুপেয় পানির ২.৫% এর মাত্র ৩০% পান করার উপযুক্ত। সুপেয় পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ, কারণ পৃথিবীতে জীবনধারণের জন্য সবাই এর উপর নির্ভরশীল। পানি জীবমণ্ডলের সকল জীবের মধ্যে পুষ্টি ও রাসায়নিকের সঞ্চালন করে, উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জীবন রক্ষা করে এবং অবক্ষেপ পরিবহন ও সঞ্চয়নের মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে সহায়তা করে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা[সম্পাদনা]

জলের স্বাভাবিকতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের জলজ সম্পদ ও জলজ প্রাণীর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বৃক্ষচ্ছেদন ও অতিরিক্ত হারে পরিবেশবিরোধী জিনিসপত্র ব্যবহারের কারণে, পরিবেশের জলবায়ু এবং তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে।বৃক্ষচ্ছেদন এবং মানুষের অবৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ এর জন্য ধীরে ধীরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এর ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটে চলেছে। যা পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর এবং মারাত্মক।

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃষ্টিপাত[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা বৃদ্ধি[সম্পাদনা]

বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি

.

কৃষি[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ডে গব্যোৎপাদনের কারণে পানিদূষণ

.

পানি ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]

শহরের একটি স্রোতধারা, যা এসিড মাইন ড্রেনেজ দ্বারা দূষিত হয়

.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]