নূর মুহাম্মদ (মাওলানা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাইখুল হাদীস ওয়া তাফসীর মাওলানা
নূর মুহাম্মদ
শহিদ
مولانا نور محمد شہید
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৯৭ – ১৯৯৯
সংসদীয় এলাকাএনএ- ৩১ উপজাতীয় এলাকা-ভি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯৩৬
মৃত্যু২৩ আগস্ট ২০১০(2010-08-23) (বয়স ৭৩–৭৪)
মৃত্যুর কারণগুপ্তহত্যা
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩৬-১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭-২০১০)
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনআলমি মজলিস তাহাফফুজ খতমে নবুয়ত
রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ)
যেখানের শিক্ষার্থীজামিয়া কাসিমুল উলুম
কাজইসলামি পন্ডিত
লেখক
রাজনীতিবিদ
প্রতিষ্ঠানজামিয়া দারুল উলুম ওয়াজিরিস্তান
এর প্রতিষ্ঠাতাজামে মসজিদ ওয়ানা
জামিয়া দারুল উলুম ওয়াজিরিস্তান
মুসলিম নেতা
শিক্ষকমুফতি মাহমুদ

মাওলানা নূর মুহাম্মদ (১৯৩৬ - ২৩ আগস্ট ২০১০; উর্দু: مولانا نور محمد شہید‎‎) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত, লেখক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। যিনি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ১১তম জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

মাওলানা নূর মুহাম্মদ ১৯৩৬ সালে বান্নু জেলার বিজেনখেলে একটি সুপরিচিত বুদ্ধিজীবী ও আধ্যাত্মিক পরিবারে মৌলভি নজর মুহাম্মদ ইবনে মৌলভি আহমদ নূরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারটি উজির আহমদজাই গোত্রের অন্তর্গত। তিনি বাড়িতে তার প্রয়াত পিতার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৫১ সালে তিনি মুলতানের জামিয়া কাসিমুল উলুমে প্রবেশ করেন। একই বছর, মুফতি মাহমুদ জামিয়া কাসিমুল উলুমের সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি মুফতি মাহমুদের তত্ত্বাবধানে পাঁচ বছর পড়াশোনা করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৬ সালে, তিনি তার প্রয়াত পিতার সমর্থনে ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানায় শিক্ষকতা এবং বাগ্মীতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে, তিনি দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের জামে মসজিদ ওয়ানা নির্মাণ শুরু করেন। দশ বছরে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং একই সময়ে তিনি ওয়াজিরিস্তানের জামিয়া দারুল উলুমের ভিত্তি স্থাপন করেন।[৩]

জামিয়া কাসিমুল উলুমে অধ্যয়নের পাশাপাশি, তিনি ডেরা ইসমাইল খানে মুফতি মাহমুদের জন্য দু'মাস একটানা রাজনৈতিক প্রচারণা চালান।

১৯৯৭ সালে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ)-এ যোগদান করেন।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ২৩ আগস্ট, মাওলানা নূর মুহাম্মদ ওয়াজিরিস্তানের জামিয়া মসজিদ ওয়ানাতে রমজানের বরকতময় মাসে ত্রিশ জনেরও বেশি সঙ্গীসহ এক কিশোর আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী দ্বারা শহীদ হন। তাকে ওয়ানায় তার পৈতৃক কবরস্থানে দাফন করা হয় এবং তার জানাজায় ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ অংশ নেয়। তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ রাজা জিলানি, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চৌধুরী আহমেদ মুখতারসহ বিরোধীদলীয় নেতা চৌধুরী নিসার আলি খান, ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক, নওয়াজ শরীফ, আলতাফ হুসাইন, ইমরান খান প্রমুখসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।[৪][৫]

সাহিত্যিক কাজ[সম্পাদনা]

  • উলুমুল আম্বিয়া ও তাসখীরে কাইনাত (علوم الانیباء اور تسخیر کائنات)
  • ইদাহ উলমাকাল ফী রুয়েতি-হিলাল (ایضاح المقال فی رویت الھلال)
  • জিহাদি-আফগানিস্তান (جہاد افغانستان)[৬]
  • পাইশ আমদাহ নাই মাসায়েল কি ফিকহি তাহকীক (پیش آمدہ نئے مسائل کی فقہی تحقیق)
  • ইসলামি ইনকিলাব ও জিহাদি-ইসলাম (اسلامی انقلاب اور جہاد اسلام)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "11th National Assembly" (পিডিএফ)। National Assembly of Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২১ 
  2. "JUI"www.juidik.com। ২০২২-০৭-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  3. "Bomber targets ex-MNA in Wana"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  4. "The News International: Latest News Breaking, Pakistan News"www.thenews.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  5. "وانا، مسجد میں خودکش دھماکہ، سابق ایم این اے مولانا نور محمد سمیت 30 افراد جاں بحق، 70 زخمی"اسلام ٹائمز (উর্দু ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  6. "حضرت مولانا نور محمد شہیدؒ | ابوعمار زاہد الراشدی"zahidrashdi.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬