নূর ইসলাম (বীর বিক্রম)
নূর ইসলাম বীর বিক্রম | |
---|---|
জন্ম | নূর ইসলাম ১২ ডিসেম্বর ১৯৫৫ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | মুক্তিযোদ্ধা |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোসা. নুরুন্নাহার |
পুরস্কার | বীর প্রতীক ও বীর বিক্রম |
মো. নূর ইসলাম (বীর বিক্রম) (জন্ম: ১৯৫৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১][২]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
[সম্পাদনা]মো. নূর ইসলাম, বীর বিক্রম, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম রইসউদ্দিন এবং মায়ের নাম নবীরন নেছা। বর্তমানে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার সূর্যনগর গ্রামে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম নুরুননাহার। তাঁদের চার সন্তানের পরিবার রয়েছে। নূর ইসলামের খেতাবের সনদ নম্বর ৩৯৬। [৩]
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]মো. নূর ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১নং সেক্টরের অধীন মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যোগ দেন। যুদ্ধের শুরুতে তাঁর যুদ্ধ এলাকা ছিল কামালপুর। তিনি স্থানীয়ভাবে এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এপ্রিল ১৯৭১ পর্যন্ত ধানুয়া ও আশপাশের এলাকা মুক্ত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী কামালপুরে ঘাঁটি স্থাপন করলে তিনি ২২ মে ভারতে চলে যান। সেখানে তিনি মহেন্দ্রগঞ্জ যুবশিবিরে আশ্রয় নেন এবং তেলঢালা পাহাড়ে এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি মহেন্দ্রগঞ্জ সাব-সেক্টরে যোগদান করেন।
যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও ভূমিকা
[সম্পাদনা]জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে কামালপুর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত যুদ্ধ শুরু হয়। মো. নূর ইসলাম খাসিয়াপাড়া, বাট্টাজোড়, কামালপুর, উঠানিপাড়া, গলাকাঠি, খাসির গ্রাম, তেনাচিড়া এবং ধানুয়ার বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে গাইড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাস্তাঘাট ও এলাকার সঠিক চেনা-পরিচিতির কারণে তাঁকে প্রায়শই মুক্তিযোদ্ধাদের দলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হতো।
আহত ও চিকিৎসা
[সম্পাদনা]১৭ অক্টোবর ধানুয়ার সম্মুখযুদ্ধে মো. নূর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সহযোদ্ধারা তাঁকে উদ্ধার করে ভারতের তুরা হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গোয়াহাটি এবং লক্ষ্ণৌতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি লক্ষ্ণৌতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর পান।
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]মো. নূর ইসলাম দুটি বীরত্বসূচক খেতাবের জন্য স্বীকৃত— বীর প্রতীক এবং বীর বিক্রম। ২০১১ সালে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর নাম "বীর বিক্রম" খেতাবেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বীর বিক্রমের গেজেটে তাঁর নম্বর ১৭১। তিনি বীর প্রতীকের সনদ পেয়েছেন, তবে বীর বিক্রমের সনদ এখনো পাননি।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ১৬-০৩-২০১২"। ২০১৯-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-৩১।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ২৬৫। আইএসবিএন 9789843351449।
- ↑ "মো. নূর ইসলাম, বীর প্রতীক"। 1971.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ [https://view.publitas.com/liberationwarbangladesh/1189-ekaattrer-biiryoddhaader-abismrnniiyy-jiibngaanthaa/page/273 মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ, "একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা – খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ"}}
- ↑ "খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা"। দৈনিক আমার দেশ। ২৪ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত গেজেট, গেজেট নং-৮/২৫/ডি-১/৭২-১৩৭৮
বহি:সংযোগ
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]![]() |
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |