নুর ফেত্তাহওলু
নুর ফেত্তাহওলু | |
---|---|
জন্ম | আসিয়ে নুর ফেত্তাহওলু নভেম্বর ১২, ১৯৮০ দুইসবার্গ, জার্মানি |
জাতীয়তা | তুর্কি, জার্মান |
পেশা | অভিনেত্রী, টেলিভিশন উপস্থাপক, ফ্যাশন ডিজাইনার |
কর্মজীবন | ২০০৭–বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মুহতেশেম ইউজিউয়েল (সুলতান সুলেমান) এ মাহীদেভ্রান সুলতান হিসেবে |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুরাত আয়সান (বি. ২০০৮; বিচ্ছেদ. ২০১১)[১] লেভেন্ত ভেজিরোলু (বি. ২০১৩)[২][৩][৪] |
সন্তান | এলিসা গুজিন ভেজিরোলু |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আসিয়ে নুর ফেত্তাহওলু (তুর্কি: Asiye Nur Fettahoğlu, তুর্কি উচ্চারণ: [nuɾ ˈfettahoːɫu], জন্ম. ১২ই নভেম্বর ১৯৮০) হলেন একজন তুর্কি-জার্মান অভিনেত্রী।[৫] তিনি তুর্কি টিভি ধারাবাহিক নাটক আশক-ই মেমনু এ পেয়কার চরিত্রের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেন এবং মুহতেশেম ইউজিউয়েল ধারাবাহিকে মাহীদেভ্রান সুলতান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অসংখ্য ভক্তকূল ও খ্যাতি অর্জন করেন।[৬]
প্রাথমিক জীবন এবং পেশা[সম্পাদনা]
১৯৮০ সালে, জার্মানির দুইসবার্গে পাঁচ সন্তানের পিতামাতা ফাতমা এবং সিনান ফেত্তাহওলু দম্পতির ঘরে নুর ফেত্তাহওলু জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক আদি নিবাস হলো তুরস্কের রিজ শহরে। তার পরিবারের সদস্যরা পৈতৃকভাবে আলবেনীয় বংশোদ্ভুত ক্রীটদেশীয় এবং মাতার দিক হতে কসোভো আলবেনীয় ছিলেন, যারা রিজ এ স্থানান্তরিত হন।[৭][৮][৯] তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বেশিকতাশ লিসেসি এ এবং পরবর্তীতে তিনি হালিচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক অর্জন করেন। তিনি কিছু সময়ের জন্যে টেলিভিশন উপস্থাপিকা হিসেবে স্কাই তুর্ক চ্যানেলের অর্থনীতি সংবাদ পাঠ করতেন।[১০] নুর তার অভিনয় জীবন শুরু করেন বেনদেন বাবা ওলমাজ ধারাবাহিক দিয়ে।[১১] তারপর অভিনয় করেন গোনুল সালিনজায়ি-তে এবং আশক-ই মেমনু ধারাবাহিকে পেয়কার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি তারকা বনে যান।[১২] এছাড়াও তিনি আতাসায়, লুনা, ডাভ এবং সানসিল্কের মতো প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি কুর্তলার ভাদিসি ফিলিস্তিন নামক তুর্কি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৩] পরে ২০১১ সালে তিনি মুহতেশেম ইউজিউয়েল এ মাহীদেভ্রান সুলতান চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন[১৪] এবং এ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি হায়াত ইয়োলুনদা এ শাফাক চরিত্র অভিনয় করেন। ফিলিনতা ধারাবাহিকে নুর অভিনয় করেন সুরেয়য়া চরিত্রে।[১৫][১৬]
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
২০১৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ফেত্তাহওলু এলিসা গুজিন ভেজিরোলু নামক এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন, যার বাবা হলেন লেভেন্ত ভেজিরোলু।[১৭]
চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]
সাল | নাম | চরিত্র | মন্তব্য |
---|---|---|---|
২০০৭ | গোনুল সালিনজায়ি | আয়লিন আরিসয় | টিভি ধারাবাহিক |
২০০৭ | বেনদেন বাবা ওলমাজ | তুলায় জেনক | টিভি ধারাবাহিক |
২০০৮–২০১০ | আশক-ই মেমনু | পেয়কার ইউরেওলু | টিভি ধারাবাহিক |
২০১১ | ভ্যালি অব দ্য ওলভ্স: প্যালেস্টাইন | সিমোনে লেভি | চলচ্চিত্র |
২০১১ | গিশে মেমুরু (টোল বুথ) | কাদিন | চলচ্চিত্র |
২০১১–২০১৪ | সুলতান সুলেমান (মুহতেশেম ইউজিউয়েল) | মাহীদেভ্রান সুলতান | টিভি ধারাবাহিক |
২০১৪–২০১৫ | হায়াত ইয়োলুন্দা | শাফাক গুনায় | টিভি ধারাবাহিক |
২০১৫–২০১৬ | ফিলিন্তা | সুরেয়্যা | টিভি ধারাবাহিক |
২০১৭ | ফি' | বিল্লুর | ওয়েব ধারাবাহিক |
২০১৭ | পায়িতাহত: আব্দুলহামিদ | এফসুন হানিম | টিভি ধারাবাহিক |
২০১৮ | বোজকির | দিলারা এরোলু | ওয়েব ধারাবাহিক |
২০১৯ | কারদেশ চোজুকলারি | উমায় কারায় | টিভি ধারাবাহিক |
২০১৯-(চলমান) | বাবিল | এদা সায়গুন | টিভি ধারাবাহিক |
পুরস্কার এবং মনোনয়ন[সম্পাদনা]
সাল | পুরস্কার | বিভাগ | উপাধি | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০১১ | আয়াকলি গাজেতে সংবাদপত্র টিভি তারকা পুরস্কার | সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী | মুহতেশেম ইউযায়িল | বিজয়ী |
২০১২ | আয়াকলি গাজেতে সংবাদপত্র টিভি তারকা পুরস্কার | বছরের সেরা ধারাবাহিক নাটক পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার | বিজয়ী | |
২০১৩ | হোটেল এসোসিয়েশন অব তুর্কি'স বেস্ট তুর্কি সিরিজ পুরস্কার | কৃতজ্ঞতা পুরস্কার | বিজয়ী | |
২০১৩ | আয়াকলি গাজেতে সংবাদপত্র টিভি তারকা পুরস্কার | বছরের সেরা ধারাবাহিক নাটক পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার | বিজয়ী | |
২০১৭ | বিআইএএফ (BIAF) বা বেইরুত আন্তর্জাতিক পুরস্কার উৎসব | সেরা আন্তর্জাতিক অভিনেত্রী | বিজয়ী |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Mahidevran boşandı"। Hurriyet.com.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৫।
- ↑ "Nur Fettahoğlu ile Levent Veziroğlu evlendi"। Hurriyet.com.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৫।
- ↑ "Nur Fettahoğlu ayrıldığı eşine neden geri döndü?"। CNN TÜRK। জুন ২, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৭।
- ↑ "Nur Fettahoğlu ile Eşinin Hiç Boşanmadığı Ortaya Çıktı"। Haberler.com। মে ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২২, ২০১৯।
- ↑ "BOŞANMA DÖNEMİNDE İNCİNDİM"। Hurriyet.com.tr। ২০১১-০১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৫।
- ↑ http://www.biyografi.info/kisi/nur-fettahoglu
- ↑ "nur_aysan_hakkinda_bilinmesi_gereken"। harpersbazaar (Turkish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১২।
- ↑ "Kurtlar Vadisi Filistin'in esas kızı Nur Aysan hakkında bilinmesi gereken 30 şey"। sabah (Turkish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১২।
- ↑ http://www.hurriyet.com.tr/amp/kelebek/hayat/nur-fettahoglu-kimdir-biyografisi-40076907
- ↑ "Nur Fettahoglu biyografi - archive"। জুন ২৬, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১২।
- ↑ "Benden Baba Olmaz"। আইএমডিবি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০২।
- ↑ https://www.hurriyet.com.tr/galeri-babil-dizisi-oyuncu-kadrosuyla-merak-ediliyor-babil-oyunculari-kimler-hangi-oyuncular-yer-aliyor-41422286/5
- ↑ https://m.solopos.com/king-suleiman-antv-lebih-dekat-dengan-pemeran-mahidevran-di-abad-kejayaan-574162[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ https://www.sozcu.com.tr/hayatim/magazin-haberleri/selma-ergec-ve-nur-fettahoglu-alisveris-merkezinde-birbirine-rastladi/
- ↑ https://www.hurriyet.com.tr/aile/nur-fettahoglu-kimdir-421363
- ↑ https://www.sozcu.com.tr/hayatim/magazin-haberleri/nur-fettahoglu-kimdir-nur-fettahoglu-nereli-ve-kac-yasinda-oub4/
- ↑ "Nur anne oldu - Olay"। ২০১৬-০২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- নুর ফেত্তাহওলু এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ মে ২০১৪ তারিখে
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে নুর ফেত্তাহওলু (ইংরেজি)