বিষয়বস্তুতে চলুন

নীল তিমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নীল তিমি[]
পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নীল তিমি
একজন সাধারণ মানুষের সাথে তিমির তুলনা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: Cetacea
উপবর্গ: Mysticeti
পরিবার: Balaenopteridae
গণ: Balaenoptera
প্রজাতি: B. musculus
দ্বিপদী নাম
Balaenoptera musculus
(Linnaeus, 1758)
Subspecies
  • B. m. brevicauda Ichihara, 1966
  • ?B. m. indica Blyth, 1859
  • B. m. intermedia Burmeister, 1871
  • B. m. musculus Linnaeus, 1758
Blue whale range (in blue)

নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। নীল তিমি সামুদ্রিক এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী।

সর্বকালের বৃহৎ প্রাণী নীল তিমি। এটির ওজন প্রায় ১৫০ টন এবং এরা দৈর্ঘ্যে ৩০ মি.বা ১০০ ফুটের মতো লম্বা হয়ে থাকে। দীর্ঘতম নীল তিমিটি একটি স্ত্রী নীল তিমি যেটির দৈর্ঘ্যে ২৯.৫ মিটার ও ওজনে ১৮০ টন। একটি স্ত্রী তিমি ২ থেকে ৩ বছর গর্ভে বাচ্চা ধারণ করে। মানুষের সাথে তিমির বাচ্চা উৎপাদনের প্রক্রিয়া অনেকটা একইরকম। একটি নবজাতক নীল তিমির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ ফুট ও ওজন হয় ৪৪০০ পাউন্ড। প্রথম আট মাস নীল তিমির বাচ্চা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কারণ তখন তারা মা তিমির চর্বিযুক্ত দুধ পান করে।

সমুদ্রের নিচে এদেরকে দেখতে নীল লাগলেও সমুদ্রের উপরে উঠে আসলে এদের আসল রঙ দেখা যায়। নীল তিমি দেখতে নীল-ধূসর রঙের বা রুপালী রঙের। এবং এদের পেটের রঙ হলুদ।

খাদ্যাভাস

[সম্পাদনা]

শরীর যতই বড় হোক না কেন নীল তিমির খাবার কিন্তু ছোট প্রাণীরাই। কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, ক্রেফিশ ও বিভিন্ন ক্রিল জাতীয় জীব এদের প্রধান খাবার। একটি পূর্ণবয়স্ক নীল তিমি দিনে গড়ে প্রায় ৮ টন ক্রিল খেতে পারে। ক্ষুধা লাগলে ৩ হাজার ৬০০ কেজি পর্যন্ত খাবার গ্রহন করে তারা।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mead, James G., and Robert L. Brownell, Jr. (16 November 2005). Wilson, D. E., and Reeder, D. M. (eds). ed. Mammal Species of the World (3rd edition ed.). Johns Hopkins University Press. pp. 725. আইএসবিএন ০-৮০১৮-৮২২১-৪.
  2. Reilly, S.B., Bannister, J.L., Best, P.B., Brown, M., Brownell Jr., R.L., Butterworth, D.S., Clapham, P.J., Cooke, J., Donovan, G.P., Urbán, J. & Zerbini, A.N. (2008). Balaenoptera musculus. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 7 October 2008.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]