বিষয়বস্তুতে চলুন

নীলফামারী জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৭′ উত্তর ৮৮°৫৭′ পূর্ব / ২৫.৯৫০° উত্তর ৮৮.৯৫০° পূর্ব / 25.950; 88.950
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(নিলফামারী জেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নীলফামারী জেলা
জেলা
চিনি মসজিদ, ধর্মপাল গড়, তিস্তা খাল, নীলফামারী জেলা স্টেডিয়াম, নীলফামারী মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ
বাংলাদেশে নীলফামারী জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে নীলফামারী জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৭′ উত্তর ৮৮°৫৭′ পূর্ব / ২৫.৯৫০° উত্তর ৮৮.৯৫০° পূর্ব / 25.950; 88.950 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
সরকার
 • জেলা প্রশাসকপঙ্কজ ঘোষ
আয়তন
 • মোট১,৬৪৩.৪ বর্গকিমি (৬৩৪.৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট১৯,০৭,৪৯৭
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৯.৬৯%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৭৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা (দ্বিতীয় স্তরের প্রশাসনিক ইউনিট)। এটি রংপুর বিভাগের (বাংলাদেশের আটটি বিভাগের একটি যা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারিতে সপ্তম বিভাগ হিসাবে গঠিত হয়) আটটি জেলার একটি অন্যতম সীমান্তঘেষা জেলা। এ জেলার সদর বা রাজধানীর নামও নীলফামারী। নীলফামারী জেলার উত্তর সীমান্তে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা এবং অন্য দিকে লালমনিরহাট জেলা, রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলাপঞ্চগড় জেলা অবস্থিত।

নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। এই জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভূ-সংস্থান বেশ সমৃদ্ধ যা অন্যান্য জেলা থেকে এই জেলাকে কিছুটা হলেও আলাদা করেছে। জেলার উত্তর দিক উচু ও খরা পিরিত অঞ্চল, পূর্ব দিক তিস্তার বালুকাময় এলাকা, এই উচু ও বালুময় ভূমি ধীরে ধীরে দক্ষিণপশ্চিম দিকে উর্বর কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। নীলফামারী অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। এ জেলায় সত্যপীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলাসহ অনেক উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়।

নীলফামারী একটি কৃষি প্রধান জেলা। এ জেলার ৬৮.৫% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান শিল্প বয়ন, চাল, বাশবেত প্রভৃতি। দারোয়ানী বস্ত্র কল এ জেলার সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উত্তরা ইপিজেড ও সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর মত শিল্প পার্ক।

নামকরণ

[সম্পাদনা]

দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।

সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হতো এখানকার উর্বর মাটির গুণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি।ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ দুরে ১৫৮০.৮৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট নীলফামারী জেলার অবস্থান, যা কর্কটক্রান্তি রেখার সামান্য উত্তরে, ২৫°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এ জেলার এবং উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর জেলা, পূর্বে রংপুর জেলালালমনিরহাট জেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলাপঞ্চগড় জেলা

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি

[সম্পাদনা]
 নীলফামারী-০১  নীলফামারী-০২  নীলফামারী-০৩  নীলফামারী-০৪

স্থানীয় সরকার

[সম্পাদনা]

১৮৭৫ সালে মহকুমা ও পরে ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হয়।[] প্রথম নির্বাচিত এবং বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মমতাজুল হক।

পৌরসভা

[সম্পাদনা]

এই জেলায় মোট ৪ টি পৌরসভা

উপজেলা পরিষদ

[সম্পাদনা]

মোট ৬ টি উপজেলা নিয়ে নীলফামারী জেলা।

  1. নীলফামারী সদর উপজেলা
  2. ডোমার উপজেলা
  3. ডিমলা উপজেলা
  4. জলঢাকা উপজেলা
  5. কিশোরগঞ্জ উপজেলা
  6. সৈয়দপুর উপজেলা

ইউনিয়ন পরিষদ

[সম্পাদনা]

নীলফামারী জেলায় মোট ৬০ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয়

[সম্পাদনা]

মেডিকেল কলেজ

[সম্পাদনা]

স্কুল অ্যান্ড কলেজ

[সম্পাদনা]

কলেজ সমূহ

[সম্পাদনা]

উচ্চ বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]
  • সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল
  • নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • কুন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
  • সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়, ডোমার
  • ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • চিড়াভিজা গোলনা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা
  • গড়ধর্মপাল এসসি উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা
  • খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী
  • আলোকিত কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল।খাটুরিয়া,ডোমার, নীলফামারী।
  • সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয়
  • ডিমলা রাণী বৃন্দারাণী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • বড়ভিটা মেধা বিকাশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী
  • কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
  • বাবরীঝাড় দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী সদর
  • যাদুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী সদর
  • যাদুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • বালাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারী
  • জলঢাকা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারী
  • শৌলমারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারী
  • নিতাই হাই স্কুল, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী
  • মুশুরুত পানিয়াল পুকুর হাই স্কুল, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী
  • বোতলাগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দপুর
  • শ্বাষকান্দর আলিম মাদরাসা,সৈয়দপুর
  • খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ
  • মীরগঞ্জ হাট বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়
  • শৌলমারী আনছারহাট দাখিল মাদরাসা,জলঢাকা

আবহাওয়া

[সম্পাদনা]

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

নীলফামারী মূলত একটি কৃষি নির্ভর জেলা। জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল ভুট্টা, ও মরিচ। জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকায় প্রচুর ভুট্টার চাষ হয়। ডোমার, ডিমলায় মরিচের চাষ হয়। এছাড়া আলু, ধান, গম, সরিষা, পাট, তামাক প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।[]

চিত্তাকর্ষক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান

[সম্পাদনা]
তিস্তা ব্যারেজ

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

[সম্পাদনা]

আরোও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে নীলফামারী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪ 
  2. "নীলফামারী জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৬ 
  3. "Average Conditions – Bangladesh – Nilphamari" (ইংরেজি ভাষায়)। Best travel months। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  4. Soft, Emperor। "উত্তর বাংলা | Multimedia News Portal"www.uttorbangla.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]