নিকুসিয়ার
| নিকুসিয়ার | |||||
|---|---|---|---|---|---|
| মুঘল সম্রাট | |||||
 নিকুসিয়ারের প্রতিকৃতি | |||||
| রাজত্ব | ১৭১৯ | ||||
| পূর্বসূরি | দ্বিতীয় শাহজাহান | ||||
| মৃত্যু | ১২এপ্রিল ১৭২৩ সেলিমগড়,দিল্লি | ||||
| সমাধি | কুতুবউদ্দিন কাকির দরগা | ||||
| |||||
| রাজবংশ | তৈমুরী | ||||
| পিতা | সুলতান মুহাম্মদ আকবর | ||||
| মাতা | সেলিমা বানু বেগম | ||||
| ধর্ম | ইসলাম | ||||
নিকুসিয়ার মোহাম্মদ তিনি দ্বিতীয় তৈমুর নামেও পরিচিত, ছিলেন মুঘল সম্রাটের হওয়ার দাবিদার।[১] নেকু সিয়ার ১৬৭৯ সালে মুঘল রাজপুত্র মুহাম্মদ আকবরের পুত্র এবং সম্রাট আওরঙ্গজেবের নাতি ছিলেন।[২][৩][৪]
১৬৯৫ সালে ১৬ বছর বয়সে আওরঙ্গজেব তাকে আসামের সুবাহদার নিযুক্ত করেন এবং ১৭০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৭০২ সালে তিনি সিন্ধুর সুবাহদার নিযুক্ত হন এবং ১৭০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
সিংহাসন গ্রহণ[সম্পাদনা]
১৭১৯ সালের মে মাসে আগ্রা দুর্গের স্থানীয় গভর্নর বীরবল নিকু সিয়ারকে পুতুলের মতো ব্যবহার করতো এবং তাকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করে। নিকু সিয়ারকে ১৭১৯ সালের ১৮ মে পুরাতন হারেম কারাগার থেকে বের করে আনা হয় এবং তার ভাতিজা রাফি উদ-দারাজতের রাজত্বের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুঘল সম্রাট ঘোষণা করা হয়।
সাইয়্যেদ ভাইয়েরা তাদের পুতুল সম্রাটের অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল, জুনের মধ্যে আগ্রা দুর্গটি পুনরুদ্ধার করেছিল এবং বীরবল এবং নিকু শিয়ারকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। নেকু সিয়ারকে ১৭১৯ সালের ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় এবং আবার আগ্রার পুরানো হারেম কারাগারে রাখা হয়।[৬] এরপর তিনি দিল্লির সেলিমগড় দুর্গে বন্দী হন।
৪৩ বছর বয়সে নিকু সিয়ার ১৭২৩ সালের ১২ এপ্রিল পারস্যে[৭] মারা যান।[৮]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Chandra, Satish (২০০৫)। Medieval India: From Sultanat to the Mughals Part - II (ইংরেজি ভাষায়)। Har-Anand Publications। পৃষ্ঠা ৪৮৪। আইএসবিএন 978-81-241-1066-9।
- ↑ Latif, Bilkees I. (২০১০)। Forgotten (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books India। পৃষ্ঠা ৪৭। আইএসবিএন 978-0-14-306454-1।
- ↑ Others, Muzaffar H. Syed & (২০২২-০২-২০)। History of Indian Nation : Medieval India (ইংরেজি ভাষায়)। K. K. Publications।
- ↑ Gribble, James Dunning Baker (১৮৯৬)। A History of the Deccan (ইংরেজি ভাষায়)। Luzac and Company।
- ↑ Kaicker, Abhishek (২০২০-০৪-০২)। The King and the People: Sovereignty and Popular Politics in Mughal Delhi (ইংরেজি ভাষায়) (১ম সংস্করণ)। Oxford University Press New York। আইএসবিএন 978-0-19-007067-0। ডিওআই:10.1093/oso/9780190070670.001.0001।
- ↑ Experts, Disha (২০১৮-১২-১৭)। The History Compendium for IAS Prelims General Studies Paper 1 & State PSC Exams 3rd Edition (ইংরেজি ভাষায়)। Disha Publications। আইএসবিএন 978-93-88373-03-6।
- ↑ Keene, Henry George (১৮৮৫)। A Sketch of the History of Hindustán from the First Muslim Conquest to the Fall of the Mughol Empire (ইংরেজি ভাষায়)। W.H. Allen & Company। পৃষ্ঠা ২৯৯।
- ↑ history of the decan (ইংরেজি ভাষায়)। Mittal Publications। ১৯৯০। পৃষ্ঠা ৩৬৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- REVIEWS: Sounding the death knell ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে
| পূর্বসূরী: রাফি উদ-দৌলত |
মুঘল সম্রাট ১৭১৯ |
উত্তরসূরী: মুহাম্মদ ইব্রাহিম |