নাদিরা (পাকিস্তানি অভিনেত্রী)

নাদিরা
জন্ম	মালিকা ফারাহ ১৯৬৮ লাহোর, পাকিস্তান
মৃত্যু	৬ আগস্ট ১৯৯৫(1995-08-06) (বয়স ২৬–২৭) গুলবার্গ, লাহোর, পাকিস্তান
মৃত্যুর কারণ	অজানা ডাকাতের গুলিতে মৃত্যু।
কর্মজীবন	১৯৮৬-১৯৯৪
দাম্পত্য সঙ্গী	মালিক আইজাজ হুসেন (বি. ১৯৯৩)
সন্তান	২

নাদিরা (১৯৬৮ - ৬ আগস্ট ১৯৯৫) ছিলেন একজন পাকিস্তানি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। তার জন্ম হয় ১৯৬৮ সালে এবং তার জন্মস্থান হলো পাকিস্তানের লাহোরে। তার দুইটি সন্তান আছে। তার স্বামীর নাম মালিক আইজাজ হুসাইন। নাদিরা ১৯৮৬ সালে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র আখরি জাংয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি মূলত পাঞ্জাবি এবং উর্দু ছবিতে কাজ করেছিলেন। তিনি প্রথমবারের মতো সর্পের ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। তারপরে তিনি সর্পের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। তার মৃত্যু হয় অজানা এক বন্ধুকধারী সৈনিকের হাতে ১৯৬৫ সালে ৬ আগস্টে।

ব্যক্তিগত জীবন

তিনি ১৯৬৮ সালে লাহোরে মালিকা ফারাহ নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৩ সালে তিনি এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী মালেক আইজাজ হুসেনকে বিয়ে করেন। তিনি বিয়ে করে জন্ম দিয়েছেন তার দুই সন্তান। সন্তান দুইটির নাম হলো বড় মেয়ে রুবাব এবং ছোট ছেলে হায়দার আলী। বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন নাদিরা।

পেশা

পরিচালক ইউনূস মালিক ১৯৮৬ সালে তাঁর একটি ছবিতে আখরি জাংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করার মাধ্যমে তাকে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। নাদিরার প্রথম ছবি ছিল আখরি জাং (শেষ যুদ্ধ) তবে পরিচালক আলতাফ হুসেনের পাঞ্জাবি ছবি নিশান (মার্ক) প্রথমে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং রেকর্ড অনুসারে এটা রয়েগেছে যে, নিশান হলো নাদিরার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।

নাদিরাকে অনেক প্রতিভাবান অভিনেত্রী হিসাবে বিবেচনা করা হত। তিনি তার নাচে নাগিন চলচ্চিত্রে তার জীবনের সেরা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিতে, তিনি প্রথমবারের মতো সর্পের ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তারপরে আস্তে আস্তে তিনি সর্পের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি নাচে নাগিন, নাচে জোগি এবং যাদু গার্নীতে সর্পের ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মৃত্যু

নাদিরার সমাধি, লাহোরের মিয়াণী সাহেব কবরস্থান।

১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে লাহোরের গুলবার্গের কাছে নাদিরাকে অজ্ঞাত ডাকাত গুলি করে হত্যা করে। নাদিরা একটি রেস্তোঁরা থেকে তার বাসায় যাচ্ছিল। ডাকাতরা তার গাড়ি থামিয়ে দেয়। তারা তার গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার স্বামী এর প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা গুলি চালিয়ে যায়। একটি গুলি চলে আসে গাড়ির সামনের আসনে। যেখানকার বসে থাকা নাদিরার গলায় আঘাত লাগে এবং সে মারা যায়। হত্যার অভিযোগ নাদিরার স্বামীর বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, তবে তদন্তে নাদিরার স্বামীকে তার খুনি হিসাবে প্রমাণ করতে পারেনি।