নাগোইয়া
নাগোইয়া 名古屋市 | |
---|---|
মনোনীত শহর | |
আইচি জেলাতে নাগোইয়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৫°১১′ উত্তর ১৩৬°৫৪′ পূর্ব / ৩৫.১৮৩° উত্তর ১৩৬.৯০০° পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
প্রদেশ | চুবু (তৌকাই) |
জেলা | আইচি জেলা |
সরকার | |
• নগরপাল | Takashi Kawamura |
• Representatives | 5 |
আয়তন | |
• মনোনীত শহর | ৩২৬.৪৩ বর্গকিমি (১২৬.০৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (September 1. 2015) | |
• মনোনীত শহর | ২২,৮৩,২৮৯ (৩rd) |
• মহানগর | ৯১,০৭,৪১৪ (৩rd) |
সময় অঞ্চল | জাপান মান সময় (ইউটিসি+9) |
- Tree | Camphor laurel (Cinnamomum camphora) |
- Flower | Lilium |
Phone number | 052-972-2017 |
Address | 3-1-1 Sannomaru, Naka-ku, Nagoya-shi, Aichi-ken 460-0001 |
ওয়েবসাইট | www |
[১] |
নাগোইয়া (জাপানি: 名古屋) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র জাপানের হনশু দ্বীপের মধ্যভাগের চুবু প্রশাসনিক অঞ্চলের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত আইচি কেনের (তথা আইচি জেলার) রাজধানী শহর। শহরটি প্রশান্ত মহাসাগরের ইসে উপসাগরের উপকূলে, কিয়ৌতো শহরের পূর্বে অবস্থিত। নাগোইয়া জাপানের অগ্রসর সমুদ্রবন্দর ও শিল্পকেন্দ্রগুলির একটি। এটি জাপানের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল শহর। মূল শহরে ২২ লক্ষ লোকের বেশি লোকের বাস। নাগোইয়ার বৃহত্তর মহানগর এলাকাতে (চুকিঔ মহানগর এলাকা) ১ কোটির কিছু বেশি লোকের বাস।
নাগোইয়া সাংস্কৃতিকভাবে খুবই সমৃদ্ধ। এখানকার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হল নাগোইয়া বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৩৯ সালে স্থাপিত), মেইজো বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৪৮), নানজান বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৪৯), নাগোইয়া প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট (১৯৪৯) ও নাগোইয়া নগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫০)। শহরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে নাগোইয়া দুর্গপ্রাসাদ। দুর্গটি আদিতে ১৬১০-১৬১২ সালে নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অগ্নিকাণ্ডে দুর্গটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, পরে ১৯৫৯ সালে এটিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়। শহরটিতে জাপানের শিনতো ধর্মের সবচেয়ে প্রাচীন ও বিখ্যাত দুইটি ধর্মতীর্থ আতসুতা তীর্থ ও ইসে মহাতীর্থ দুইটি অবস্থিত। শিল্পকলার ক্ষেত্রে তোকুগাওয়া শিল্পকলা জাদুঘরটি উল্লেখযোগ্য; এখানে তোকুগাওয়া শাসক পরিবারের পারিবারিক শিল্পসংগ্রহটি সংরক্ষিত আছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাগরিক মিলনায়তন, আইচি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, চুনিচি মিলনায়তন, ও মিসোনো নাট্যশালা। হিগাশিয়ামা উদ্যানটিতে চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদ উদ্যান আছে।
এখানে বস্ত্র, ঘড়িনির্মাণ, বাইসাইকেল, সেলাইযন্ত্র, রাসায়নিক দ্রব্য ও চিনামাটির দ্রব্যের শিল্পকারখানা আছে। ১৮৬৮ সালে মেইজি পুনরুদ্ধার পর্বের পরে শোগুন সরকারের সমাপ্তি ঘটলে নাগোইয়া শহর একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা অব্যাহত রাখে। নাগোইয়ার বন্দরটির উন্নতি হয়, বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে। উন্নত বন্দর, কেন্দ্রীয় অবস্থান, মধ্য হনশুর নদীগুলি থেকে উৎপ্নন অবারিত জলবিদ্যুৎশক্তি, এসব কিছু নাগোইয়াতে ভারী শিল্পকারখানার প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। শুরুতে ঘড়ি, বাইসাইকেল ও সেলাইযন্ত্র উৎপাদন করা হত। এরপর বিশেষ ইস্পাত, রাসায়নিক দ্রব্য, জ্বালানি তেল, ও পেট্রোরাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন যোগ হয় যা অঞ্চলটির মোটরগাড়ি, বিমান ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পগুলির বিকাশে প্রয়োজনীয়।
টোকিও থেকে ওসাকা পর্যন্ত প্রসারিত অনেকগুলি রেলপথ, যাদের মধ্যে আধুনিক উচ্চগতির রেল শিনকানসেন অন্তর্গত, নাগোইয়া শহর দিয়ে চলে গেছে। সমুদ্রবন্দর ও উত্তরের নাগোইয়া বিমানবন্দরের মাধ্যমে শহরটির বিদেশের সাথে সরাসরি যোগাযোগ আছে। শহর থেকে অনেকগুলি খাল অভ্যন্তরভাগের শিল্প অঞ্চলগুলি পর্যন্ত চলে গেছে।
১৭শ শতকের শুরুর দিকে ১৬১০ সালে তোকুগাওয়া শোগুনাতে শাসকবংশের ওয়ারি শাখার সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপরিচালক ইএইয়াসু যখন বিরাট নাগোইয়া দুর্গটি নির্মাণ করান, তখন থেকেই নাগোইয়া শহরের ইতিহাস শুরু হয়। ১৮৮০ সালের পরে শহরটি দ্রুত একটি শিল্পকেন্দ্র হিসেবে বৃদ্ধিলাভ করে। ১৯০৭ সালে দক্ষিণের আতসুতা বন্দরটিকে শহরের অঙ্গীভূত করে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগোইয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 平成23年6月1日現在の世帯数と人口(全市・区別) (Japanese ভাষায়)। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১১।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Nagoya" in Japan Encyclopedia, p. 685.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Nagoya City official website (জাপানি)
- Nagoya City official website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে
- WikiSatellite view of Nagoya at WikiMapia
- Nagoya International Center
- Official Tourism Guide - Nagoya Travel Guide ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে