নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল နာဂကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရဒေသ | |
---|---|
স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল | |
মিয়ানমারে নাগা অঞ্চলটি হালকা নীল রঙে দেখা যাচ্ছে = জনপদের সংখ্যা | |
দেশ | মিয়ানমার |
অঞ্চল | সাগাইং অঞ্চল |
রাজধানী | লাহে |
সরকার | |
• চেয়ারপার্সন | কে হোসাই |
জনসংখ্যা (২০১৪)[১] | |
• মোট | ১,১৬,৮২৮ |
বিশেষণ | নাগা |
ওয়েবসাইট | নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল |
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল (বর্মী: နာဂကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရဒေသ [nàɡa̰ kòbàɪɰ̃ ʔoʊʔtɕʰoʊʔ kʰwɪ̰ɰ̃ja̰ dèθa̰]) হল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাগা পাহাড় এলাকার একটি স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল। এর প্রশাসনিক রাজধানী হল লাহে শহর।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলটি মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধানের শর্ত অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল।[৩] ২০ আগস্ট ২০১০ তারিখের আদেশ দ্বারা এর আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা করা হয়।[৪][২]
আগস্ট ২০১৬ সালে হামের প্রাদুর্ভাবে ৪৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।[৫][৬] দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কারণে হামের টিকা দেওয়ার অভাবে এই প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।[৭]
সরকার ও রাজনীতি
[সম্পাদনা]নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলটি একটি নেতৃস্থানীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটিতে কমপক্ষে দশজন সদস্য থাকে ও আঞ্চলিক লুত্তাও (আইনসভা) সহ এতে প্রতিটি এলাকা থেকে নির্বাচিত সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক মনোনীত সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। নেতৃস্থানীয় সরকার কার্যনির্বাহী ও আইনি উভয় কার্য সম্পাদন করে এবং এর চেয়ারপার্সন পদটি বর্তমানে কে হসাই এর কাছে রয়েছে।[৮] নগর ও গ্রামীণ উন্নয়ন, রাস্তা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং জনস্বাস্থ্য সহ নীতির দশটি ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় সরকারের দক্ষতা রয়েছে।[৯]
প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]অঞ্চলটি তিনটি জনপদ নিয়ে গঠিত:[১০]
- লাহে
- লেশি
- নান্যুন
উপজনপদ
- ডনহি
- টানপার্কওয়ে
- মোবাইংলুক
- পানসাং
- সোনেমারা
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল তৈরির আগে তিনটি জনপদই আগে হাকামতি জেলার অংশ ছিল।
২০১৫ সালে হাকমতি ও হোমালিন জনপদ নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। নাগারা এই প্রস্তাবের প্রতি স্বাগত জানালেও জনপদগুলোর অন্যান্য নৃগোষ্ঠী এর বিরোধিতা করে।[১১]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]অঞ্চলটি নাগাদের দ্বারা স্ব-শাসিত হওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। মায়ানমারের নাগা জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ খ্রিস্টান এবং এক-তৃতীয়াংশ থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে।[১২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- নাগা জনগোষ্ঠী
- নাগা পাহাড়
- নাগাল্যান্ড, ভারতের একটি নাগা সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Sagaing Region। The 2014 Myanmar Population and Housing Census। 3–E। Naypyitaw: Ministry of Immigration and Population। মে ২০১৫। পৃষ্ঠা 17।
- ↑ ক খ Xinhua Staff (21 August 2010) "Myanmar re-designates areas under new constitution ahead of election" People's Daily Online, last accessed 5 October 2010
- ↑ "Online Burma Library > Main Library > Law and Constitution > Constitutional and parliamentary processes > National constitutions, draft constitutions, amendments and announcements (texts)"। www.burmalibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "တိုင်းခုနစ်တိုင်းကို တိုင်းဒေသကြီးများအဖြစ် လည်းကောင်း၊ ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ တိုင်းနှင့် ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ ဒေသများ ရုံးစိုက်ရာ မြို့များကို လည်းကောင်း ပြည်ထောင်စုနယ်မြေတွင် ခရိုင်နှင့်မြို့နယ်များကို လည်းကောင်း သတ်မှတ်ကြေညာ"। Weekly Eleven News (বর্মি ভাষায়)। ২০১০-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৩।
- ↑ "Measles death toll reaches 44 in Naga | Eleven Myanmar"। www.elevenmyanmar.com। ১৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "WHO doctors in Myanmar's Naga areas identify 'mystery disease' – Eastern Mirror"। www.easternmirrornagaland.com। ৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Myanmar (02): (SA) fatal, measles conf"। www.promedmail.org (Archive Number: 20160806.4398118)। International Society for Infectious Diseases। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "Nagaland: A frontier, for now"। ৯ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ပြည်ထောင်စုသမ္မတမြန်မာနိုင်ငံတော် ဖွဲ့စည်းပုံအခြေခံဥပဒေ (၂၀၀၈ ခုနှစ်) (বর্মি ভাষায়)। ২০০৮। ২০১৫-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Naga zone expansion plan sparks protests, petitions | The Myanmar Times"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "The Naga tribes of Myanmar - The Boston Globe"। The Boston Globe। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৬।