নাউরুতে ধর্ম

খ্রিস্টধর্ম হল নাউরুতে বৃহত্তম ধর্ম এবং সেখানে নাউরু কংগ্রিগেশনাল চার্চ হলো বৃহত্তম সম্প্রদায়, যা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যার ৩৫.৭১ শতাংশকে অন্তর্ভুক্ত করে। ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি সাংবিধানিক অধিকার এবং দেশের আইন ও সমাজ কোনো উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন ছাড়াই এই অধিকারকে সমর্থন করে।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, নাউরুর মোট জনসংখ্যার ৯৫% খ্রিস্টান ছিল এবং এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ক্যাথলিক ছিল। সবচেয়ে বড় প্রোটেস্ট্যান্ট গোষ্ঠী ছিল নাউরু কনগ্রেগেশনাল চার্চ, যখন "নাউরু ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাসেম্বলি অব গড" এবং "নাউরু ইন্ডিপেনডেন্ট চার্চ" উভয়ের দ্বীপে ১০% বা তার বেশি অনুসারী ছিল। [১][১]
দ্বীপের প্রায় ৫% জাতিগত চীনা জনগোষ্ঠীর মানুষ, যাদের মধ্যে প্রধানত কনফুসিয়ান, বৌদ্ধ, তাওবাদী, খ্রিস্টান ও নাস্তিক রয়েছে। যিহোভার সাক্ষী, সেভেন্থ ডে এডভান্টিস্ট, ব্যাপটিস্ট এবং চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস গোষ্ঠী দ্বীপের মোট জনসংখ্যার শেষ ১% গঠন করে। [১]
নাউরুতে বসবাসকারী টুভালু এবং আই-কিরিবাতি অভিবাসী সম্প্রদায় প্রধানত খ্রিস্টান; তবে ২০০৬ সালে দেশের ফসফেট খনির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল। [২]
উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুর আগে পর্যন্ত নাউরু দ্বীপে নিজস্ব দেশীয় ধর্ম প্রচলিত ছিল। তবে বিদেশি খ্রিস্টান মিশনারিদের আগমনের পর দ্বীপে খ্রিস্টধর্ম ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে কিছু সক্রিয় খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থা দ্বীপে কাজ করেছে, যার মধ্যে অ্যাংলিকান, মেথডীয় ও ক্যাথলিক মিশনারি সংগঠনগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।[২]
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী হিন্দু, ইহুদি ও মুসলিম জনসংখ্যা নাউরুতে খুবই অল্প, যারা মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.১% (প্রায় ১০ জনেরও কম)। তবে নাউরু রিজিওনাল প্রসেসিং সেন্টারে অবস্থানকারী বন্দিদের মধ্যে বেশিরভাগ মুসলিম ছিলেন; পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বৌদ্ধ ও হিন্দু। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচির কারণে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। [৩]
২০২০ সালের অনুমান অনুযায়ী, এর ৭৫% জনসংখ্যা খ্রিস্টান পটভূমির, ১০.৫% লোক চীনা লোকবিশ্বাসের অনুসারী, ৯% বাহাই ধর্মের অনুসারী ও ৫% নাস্তিক ছিল। [৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ US State Dept 2022 report This article incorporates text from this source, which is in the public domain.
- ↑ ক খ International Religious Freedom Report 2007: Nauru. United States Bureau of Democracy, Human Rights and Labor (September 14, 2007). This article incorporates text from this source, which is in the public domain.
- ↑ "Human Truth web site, Nauru (Republic of Nauru)"।
- ↑ The ARDA website, retrieved 2023-08-28