নাইমা খান উপ্রেতী
নাইমা খান উপ্রেতী | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৮ |
মৃত্যু | ২০১৮ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | মঞ্চ অভিনেত্রী, গায়িকা, প্রযোজক |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | উত্তরাখন্ডের লোক সঙ্গীত সংরক্ষণ |
নাইমা খান উপ্রেতী (হিন্দি: नईमा खान उप्रेती; ১৯৩৮–২০১৮) একজন ভারতীয় মঞ্চ অভিনেত্রী, গায়িকা এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি দূরদর্শনের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেছেন। তিনি ভারতীয় নাট্য সংগীতের অন্যতম পথিকৃত হিসাবে বিবেচিত মোহন উপ্রেতীর স্ত্রী ছিলেন। দূরদর্শনে কাজ করার সময়, তিনি শারদ দত্তের সাথে দূরদর্শনের প্রথম রঙিন টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনায় জড়িত ছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]নাইমা খান উপ্রেতী ১৯৫৮ সালের ২৫শে মে তারিখে ভারতের উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় এক মুসলিম পিতা এবং খ্রিস্টান মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এডাম'স গার্লস স্কুল থেকে এবং তারপরে আলমোরার রামসি ইন্টার কলেজ থেকে স্কুল জীবনের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ১৯৫৮ সালে তিনি আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার অভিনয় বিভাগ হতে তিন বছরের ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন [১] এবং কিছু সময়ের জন্য এনএসডি রেপারেটরি সংস্থার সাথেও কাজ করেছেন। তিনি পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান থেকেও ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন।[২]
পেশা
[সম্পাদনা]এনএসডি নিধি কোম্পানির একজন সদস্য হিসেবে নাইমা খান উপ্রেতী বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটক প্রযোজনার কাজে অংশগ্রহণ করেছেন; উক্ত সময়ে তিনি ইব্রাহিম আলকাজী, সুরেখা সিকরি, উত্তরা বাওকর, এম. কে. রায়নার মতো জনপ্রিয় মঞ্চ নাট্য ব্যক্তিত্বদের সাথে কাজ করেছেন। উক্ত সময়ে তিনি ওথেলো, দ্য ককেসিয়ান চক সার্কেল, নাটক পোলাম্পুর কা, স্কন্দগুপ্ত নামক বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে কাজ করেছেন।
তিনি ১৯৬৮ সালের শুরু থেকে পার্বত্য কলা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন এবং রাজুলা মালুশাহী, আজুওয়া বাফাউল, রামী, রামলীলা, ইন্দ্র সভার মতো প্রযোজনা ঘরের সাথে কাজ করেছেন। ১৯৯৭ সালে মোহন উপ্রেতীর মৃত্যুর পরে নাইমা খান উপ্রেতী পার্বত্য কলা কেন্দ্রের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মোহন উপ্রেতীর কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং মেঘদূতম্, রামী, গোরিধানা, আমির খুসরাও, আলগোজার মতো মঞ্চ নাটকের প্রযোজনা ঘরের সাথে কাজ করেছেন।
বিশেষ পরিচিতি
[সম্পাদনা]নাঈমা খান উপ্রেতী কুমায়ুনের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি এবং তাঁর স্বামী মোহন উপ্রেতী উত্তরাখন্ডের লোক সঙ্গীত সংরক্ষণ এবং এর পুনরুদ্ধারে তাঁদের অবদানের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি তাঁর স্বামীর সাথে "বেদু পাকো বড়ো মাসা" নামক জনপ্রিয় কুমায়ুনী গান গাওয়ার জন্য বিখ্যাত।[৩][৪] তিনি পুরনো কুমায়ুনী বল্লাদ, গান এবং লোক ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে এবং পরে দিল্লির পার্বতীয় কলা কেন্দ্রের সভাপতি হিসাবে সংরক্ষণের প্রচেষ্টার জন্যও পরিচিত ছিলেন।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Wayback Machine" (পিডিএফ)। ১৮ জুলাই ২০১১। Archived from the original on ১৮ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০।
- ↑ Joshi, Hemant Kumar (২০১৭)। Kala Yatra (First সংস্করণ)। Mohan Upreti Lok Sanskriti, Kala Evam Vigyan Shodh Samiti। পৃষ্ঠা 73–79।
- ↑ "Kumaoni Songs - BRAHMINS FROM KUMAON HILLS"। dpuckjoe.wikifoundry-mobile.com।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Singh Bajeli, Diwan (৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Folk artistes to the fore"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। The Hindu। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৮।
- ↑ Dhasmana, R.P. (জানুয়ারি ২০০৮)। U T T A R A K H A N D:NEED FOR A COMPREHENSIVE ECO-STRATEGY (পিডিএফ) (1 সংস্করণ)। V.K. PUBLISHERS। পৃষ্ঠা 45। ২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০।