বিষয়বস্তুতে চলুন

নয়ুস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নয়স
টাউন হল
টাউন হল
নয়স পতাকা
পতাকা
নয়স প্রতীক
প্রতীক
দেশ জার্মানি
প্রশাসনিক অঞ্চলডুসেলডর্ফ
জেলারাইন-ক্রাইস নয়স
সরকার
 • মেয়রReiner Breuer [de][] (এসপিডি)
আয়তন
 • মোট৯৯.৫২ বর্গকিমি (৩৮.৪২ বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি/সিইডিটি (ইউটিসি+১/+২)
ডাক কোড৪১৪৬০–৪১৪৭২
ফোন কোড০২১৩১, ০২১৩৭ (নর্ফ), ০২১৮২
যানবাহন নিবন্ধনNE

নয়স (জার্মান উচ্চারণ: [nɔʏs] ; ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত লেখা হতো Neuß; [ˈnʏs]; লাতিন: Novaesium) জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। এটি রাইন নদীর পশ্চিম তীরে, ডুসেলডর্ফ শহরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। নয়স রাইন-ক্রাইস নয়স জেলার মধ্যে বৃহত্তম শহর।

এই শহরটি মূলত এর প্রাচীন রোমান নিদর্শন এবং বার্ষিক নয়সার শ্যুটজেনফেস্ট উৎসবের জন্য পরিচিত। নয়স ও ট্রিয়ার শহর "জার্মানির প্রাচীনতম শহর" হিসেবে পরিচিত, এবং ১৯৮৪ সালে নয়স এর প্রতিষ্ঠার ২০০০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করে, যা ১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
নয়স শহরের কেন্দ্রে Rheinbahn ট্রাম
নয়স শহরের সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জা

রোমান যুগ

[সম্পাদনা]

নয়স প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৬ সালে রোমানরা কর্তৃক একটি সামরিক দুর্গ (castrum) হিসেবে। বর্তমান শহরটি সেই দুর্গের উত্তরে অবস্থিত, যেখানে রাইনএরফ্ট নদীর মিলনস্থল। তখন এটি পরিচিত ছিল নোভায়েসিয়াম (Novaesium) নামে।[]

৪৩ থেকে ৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এখানে রোমান বাহিনীর ১৬তম গলিক লেজিয়ন অবস্থান করত। এটি বাটাভীয় বিদ্রোহ (৭০ খ্রিস্টাব্দ) চলাকালে আত্মসমর্পণ করায় পরবর্তীতে বিলুপ্ত করা হয়।[]

পরবর্তীতে ১ম শতাব্দীতে আজকের শহরকেন্দ্রে একটি বেসামরিক বসতি গড়ে ওঠে। নোভায়েসিয়াম ছিল ট্রিয়ার (Augusta Treverorum)-সহ জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত তিনটি প্রাচীনতম রোমান বসতির অন্যতম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মধ্যযুগ

[সম্পাদনা]

মধ্যযুগে নয়স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এর অবস্থানগত সুবিধার জন্য—রাইন উপত্যকা অতিক্রমকারী রাস্তাগুলোর সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এবং বন্দর ও ফেরি সুবিধার কারণে। ১০ম শতাব্দীতে শহরে সন্ত কুইরিনাসের শহীদ দেহাবশেষ আনা হয়, যাকে রোমান দেবতা কুইরিনাস-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। ফলে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যর সীমানা ছাড়িয়েও বহু দেশ থেকে তীর্থযাত্রীগণ নয়সে আগমন করতেন। নয়সকে প্রথম শহর হিসেবে দলিলভুক্ত করা হয় ১১৩৮ সালে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

শহরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৪৭৪–৭৫ সালের অবরোধ, যখন বুর্গান্ডির ডিউক চার্লস দ্য বোল্ড প্রায় এক বছর ধরে শহরটি অবরোধ করে রাখেন। নয়সের নাগরিকরা সাহসিকতার সঙ্গে অবরোধ প্রতিহত করে এবং এর পুরস্কারস্বরূপ পবিত্র রোমান সম্রাট ফ্রেডারিক তৃতীয় শহরটিকে নিজস্ব মুদ্রা মুদ্রণের অধিকার ও শহরের প্রতীকচিহ্নে সাম্রাজ্যিক ঈগল ও মুকুট ব্যবহারের অনুমতি দেন। নয়স হানসিয়াটিক লীগ-এর সদস্যপদ লাভ করে, যদিও অন্যান্য সদস্যরা সেটিকে কখনো পুরোপুরি স্বীকার করেনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ

[সম্পাদনা]

১৫৮৬ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে শহরের দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংস হয়ে যায়, এবং ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই-এর রাজত্বকালে বিভিন্ন যুদ্ধে নয়সের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে শহরটির গুরুত্ব দ্রুত হ্রাস পায় এবং ১৭শ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে নয়স কেবল একটি কৃষিভিত্তিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

১৮শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত নয়স ছিল কোলন ইলেক্টরেটের অংশ। ১৭৯৪ থেকে ১৮১৪ পর্যন্ত শহরটি নেপোলিয়নের শাসনে ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮১৫ সালে নেপোলিয়নিক যুদ্ধের পর নয়স প্রুশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং প্রশাসনিকভাবে পুনর্গঠিত হয়—নয়স, ডরমাগেন, নেটেশাইম, নিভেনহাইম, রোমারস্কিরচেনজন্স নিয়ে একটি জেলা গঠন করা হয়। তখন শহরের জনসংখ্যা ছিল ৬,৩৩৩। এটি প্রথমে জুলিশ-ক্লেভেস-বের্গ প্রদেশ (১৮১৫–২২) এবং পরে রাইন প্রদেশ (১৮২২–১৯৪৬)-এর অংশ হয়।

উনিশ শতক – বর্তমান

[সম্পাদনা]

উনিশ শতকে নয়স পুনরায় অর্থনৈতিক গুরুত্ব ফিরে পায়, বিশেষ করে ১৮৩৫ সালে বন্দরের সম্প্রসারণ এবং শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে। ১৮৮১ সালে শহরের সীমা সম্প্রসারিত হয়। ১৯৪৬ সালে নয়স উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৬৮ সালে শহরের নামের বানান Neuß থেকে পরিবর্তন করে Neuss করা হয়। ১৯৭৫ সালে নয়স শহর ও গ্রেভেনব্রোইখ জেলা একীভূত হয়ে রাইন-ক্রাইস নয়স জেলায় রূপান্তরিত হয়, যার জনসংখ্যা ছিল ৪,৪০,০০০ এবং যার প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল নয়স। নয়স শহরে তোশিবার ইউরোপীয় সদর দপ্তরও অবস্থিত।

বিদেশি অধিবাসীদের বৃহত্তম গোষ্ঠীসমূহ[]
জাতীয়তা জনসংখ্যা (২০১৮)
 তুরস্ক ৫,৪৪০
 পোল্যান্ড ১,৭৭৫
 গ্রিস ১,৬২৭
 পর্তুগাল ১,১৩২
 ইতালি ১,০৮৮
 সার্বিয়া ১,০৭২
 সিরিয়া ৯৮২
 ক্রোয়েশিয়া ৮২৯

ইহুদি ইতিহাস

[সম্পাদনা]

নয়স শহরে উচ্চ মধ্যযুগ থেকে ইহুদি সম্প্রদায়ের উপস্থিতি নথিভুক্ত রয়েছে। ১০৯৬ সালে, কোলন থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরা ক্রুসেডারদের হাত থেকে বাঁচতে কোলনের আর্চবিশপ হারম্যান তৃতীয় [de]-এর সুরক্ষায় নয়সে আশ্রয় নেয়।[][] তবুও, প্রায় ২০০ জন ইহুদি (পুরুষ, নারী ও শিশু) ক্রুসেডারদের হাতে নিহত হন। এই ঘটনাগুলো রাইনল্যান্ড গণহত্যার প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল।

তবে ১০৯৬ সালে নয়সে একটি সংগঠিত ইহুদি সম্প্রদায় ছিল এমন প্রমাণ নেই; তবে এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে স্টাউফার যুগে (১২শ শতকের শেষভাগে) এখানে একটি সম্প্রদায় গঠিত হয়, যখন ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে শহরে।[]

এফ্রাইম অব বন অনুসারে, ১১৯৭ সালের ১১ জানুয়ারি, একজন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ইহুদি কর্তৃক একজন খ্রিস্টান কিশোরীর হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে বহু ইহুদিকে হত্যা করা হয়। অপরাধী এবং তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নির্মমভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মনে করা হয় তাদের একটি ইহুদি মতে সৎকার করা হয়; তাদের মরদেহ জান্তেন-এ নিয়ে গিয়ে সমাহিত করা হয়, যেখানে ১০৯৬ সালের গণহত্যার শিকাররাও সমাহিত ছিলেন।[]

উচ্চ মধ্যযুগে ইহুদিরা প্রথমে বণিকদের এলাকার কাছাকাছি বাস করত, নয়স বন্দর [de] ও বাজার এলাকার মাঝে। বন্দরের দিকে যাওয়ার পথটি পরিচিত ছিল ইহুদি-পথ (Judensteg) নামে। ১৩০০ সালের মধ্যে Judensteg-এ খ্রিস্টানরা বসবাস করতে থাকে এবং ইহুদিরা সরে যায় গ্লকহামার এলাকার দিকে, যেখানে তাদের সিনাগগ ও বিদ্যালয় ছিল। এই এলাকা আদতে ঘেটো ছিল না, কারণ তা বন্ধ ছিল না এবং সেখানে খ্রিস্টানরাও বসবাস করতেন।

১৪শ শতক থেকে ইহুদিরা অর্থনৈতিকভাবে প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে, প্রথমত তাদের সুবিধাজনক অবস্থান হারানোয় এবং পরে ঋণদানে একচেটিয়া অধিকার হারিয়ে লম্বার্ডিকাহর থেকে আগত ব্যাংকারদের আগমনের কারণে।[]

১৩৪৮–৪৯ সালে শহরে কালো মৃত্যু ছড়িয়ে পড়লে, অন্যান্য ইউরোপীয় অঞ্চলের মতো নয়সেও ইহুদিদের বিরুদ্ধে নৃশংস নিপীড়ন শুরু হয়। মহামারির পর তাদের জনসংখ্যা হ্রাস পায় এবং অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সময় ধর্মীয় চরমপন্থা ও অসহিষ্ণুতার তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে, এবং ইহুদিদের রাজনৈতিক অন্তঃকলহের পাদটীকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়: ১৪২৪ সালে এক সময় ইহুদিদের শহর থেকে বিতাড়িত করা হয়; এটি ছিল Landesherr (আঞ্চলিক শাসক)-এর প্রতি একটি প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ, যিনি ইহুদিদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন।[]

পরবর্তীতে তারা ফিরলেও, ১৪৬৪ সালে আবারো ইহুদিদের নিষ্কাষন করা হয়। কোলনের আর্চবিশপ রুপরেখট ফন ডার পালৎস ৫ মে শহর পরিদর্শন করে মেয়র, শাসক ও কাউন্সিলের সঙ্গে দেখা করে বহিষ্কার বন্ধের চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এরপর থেকে ইহুদিদের শহরে বসবাস ও রাত কাটানো নিষিদ্ধ করা হয়।[] ১৬৯৪ সালে, ইহুদিদেরকে ওবারতোর-এর সামনে গবাদিপশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়।[] ১৭০৪ সালে শহরে প্রবেশকারী ইহুদিদের উপর একটি বিশেষ কর (Judenleibzoll) চাপানো হয়।[]

ক্রিস্টালনাখটে (১০ নভেম্বর ১৯৩৮) পুড়িয়ে দেওয়া পুরাতন সিনাগগ [de]

১৭৯৪ সালে প্রথম জোট যুদ্ধ চলাকালে নয়স ফরাসিদের দখলে যায় এবং তখন সকল বৈষম্যমূলক আইন বাতিল হয়। তবে ১৮০৮ সালে শিল্পায়নের শুরুর ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নয়সে কয়েক শতাব্দী পর প্রথমবারের মতো একটি ইহুদি পরিবার (জোসেফ গ্রসম্যান) বসবাস শুরু করে। ১৮৩০ সালে শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮,০০০, যার মধ্যে প্রায় ১০০ জন ছিল ইহুদি। ১৯ শতক জুড়ে সম্প্রদায়টি বৃদ্ধি পেতে থাকে।

নয়সে আগত ইহুদিরা মূলত রাইনল্যান্ডের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসত এবং তারা অন্য শহরের ইহুদিদের তুলনায় বেশি রক্ষণশীল ও ধর্মপ্রাণ ছিল। হাসকালা আন্দোলনের সময় যেমন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জার্মান ভাষা ব্যবহারের প্রচলন হয়, তা এখানে গৃহীত হয়নি; এখানে এখনো হিব্রু ভাষায় প্রার্থনা হতো।[]

সে সময় ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে সম্পর্ক সাধারণত সদ্ভাবপূর্ণ ছিল: তাঁরা পাশাপাশি বসবাস করতেন এবং খ্রিস্টানরা শাব্বাতে ইহুদিদের জন্য কিছু নিষিদ্ধ কাজ করে দিতেন, যেমন আগুন জ্বালানো বা নেভানো।

তবে ১৮৩৪ সালে এই শান্তিতে ছেদ ঘটে: নিডাররাইন অঞ্চলে রক্ত কলঙ্ক গুজব ছড়িয়ে পড়লে, গিনডর্ফবেডবুর্ডিক [de]-এ ইহুদি উপাসনালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়; হেমারডেন [de], ভেভেলিংহোভেন ও আশপাশে হুসারদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয়। নয়সও এর প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল না—Viehmarkt অঞ্চলে জনতা রাস্তা দিয়ে হেঁটে ইহুদি-বিরোধী গান গাইতে থাকে। এই পরিস্থিতি কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে, পরে সেনা পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।[]

২৯ মার্চ ১৮৬৭ সালে প্রুশীয় স্থপতি ফ্রিডরিশ ওয়েইজে নির্মিত প্রাচ্যশৈলীর একটি নতুন সিনাগগ উদ্বোধন করা হয়। ৩ দিনের উৎসবের মাধ্যমে এটি উদযাপন করা হয়। ইহুদি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তখন মোট জনসংখ্যার মাত্র ১% হলেও, এটি নয়সের আকাশরেখায় একটি গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ১৮৯০ সালে সিনাগগ সম্প্রদায়ের সদস্য সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৩১৬।[]

১৮৯২ সালে ইহুদি কসাই অ্যাডলফ বুশহফের জান্তেন রক্ত কলঙ্ক মামলায় খালাস পাওয়ার পর নয়সে ইহুদি-বিরোধী সহিংসতা শুরু হয়—ইহুদিদের মালিকানাধীন সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিবারগুলোকে হুমকি দেওয়া হয়। এর ফলে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ইহুদি শহর ছেড়ে চলে যায়।

১৯৩৩ সালে নয়সে ইহুদি নাগরিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২২৭। এর পর থেকেই নাৎসি সরকারের অধীনে তাদের প্রতি নিপীড়ন বাড়তে থাকে। অল্পসংখ্যক ইহুদি সময়মতো বিদেশে পালাতে সক্ষম হন। এরপর শুরু হয় কথিত "ইহুদি প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান" ও নির্বাসন। ২২ জুলাই ১৯৪২-এ জুডেনহাউস [de] (ইহুদি বাড়ি) Küpperstraße 2-এর শেষ বাসিন্দাকে আখেন থেকে তেরেসিয়েনস্টাড-এ পাঠানো হয়। ২৩ নভেম্বর ১৯৪২-এ নয়সকে ইহুদিশূন্য ঘোষণা করা হয়।

তবুও কয়েকজন ইহুদি বেঁচে যান, কেউ কেউ আত্মগোপনে থেকে, আবার কেউ "আর্য" স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে।[]

নাৎসি শাসনের সময় নয়সের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিক কতজন ইহুদি নিহত হয়েছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তবে উলরিখ র্যুকরিম নির্মিত একটি স্মৃতিসৌধে ২০৪ জন নিহত ইহুদির নাম খোদাই করা আছে। শহরজুড়ে অনেক স্টলপারস্টাইন বা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।[]

১৯৯০-এর দশক থেকে সাবেক সোভিয়েত অঞ্চল থেকে ইহুদিদের আগমনের কারণে নয়সে ইহুদি সম্প্রদায়ের পুনর্জাগরণ ঘটে। ২০২১ সালে শহরে আনুমানিক ৫৫০ জন ইহুদি বসবাস করতেন।[]

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wahlergebnisse in NRW Kommunalwahlen 2020, Land Nordrhein-Westfalen, সংগ্রহের তারিখ: ২৯ জুন ২০২১
  2. "Novaesium, Roman fortress on the Rhine, Neuss, Germany"ToposText। Aikaterini Laskaridis Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৪ 
  3. Matthew Bunson (১ জানুয়ারি ২০০৯)। Encyclopedia of the Roman Empire। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা 313–। আইএসবিএন 978-1-4381-1027-1 
  4. "Die ausländischen Mitbürger in der Stadt Neuss am 0 1.01.2013" (পিডিএফ)। Stadt Neuss। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-২৬ 
  5. Rohrbacher, Stefan। "Die jüdische Gemeinde in Neuss" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  6. "Synagoge – Neuss am Rhein"Neuss.de। Stadtarchiv Neuss। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৩ 
  7. Weißenborn-Hinz, Angelika; Weißenborn, Dieter। "Geschichte der Juden in Neuss"। Gesellschaft für christlich-jüdische Zusammenarbeit in Neuss e.V.। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  8. Berrischen, Beate (২৮ মে ২০২১)। "Im Kampf gegen Antisemitismus"Rheinische Post। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  9. "Mahnmal zur Erinnerung an die ermordeten Neusser Juden"Neuss.de। Stadt Neuss।