নবীল গাবোল
নবীল গাবোল | |
|---|---|
نبیل گبول | |
| পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ২০০২ – ২০১৫ | |
| বন্দর ও জাহাজ চলাচল প্রতিমন্ত্রী | |
| কাজের মেয়াদ ৯ নভেম্বর ২০০৮ – ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১১ | |
| রাষ্ট্রপতি | আসিফ আলি জারদারি |
| প্রধানমন্ত্রী | ইউসুফ রাজা গিলানি |
| সিন্ধু পরিষদের ডেপুটি স্পিকার | |
| কাজের মেয়াদ ১৮ অক্টোবর ১৯৯৩ – ৫ নভেম্বর ১৯৯৬ | |
| প্রধানমন্ত্রী | বেনজীর ভুট্টো |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | সরদার নবীল আহমেদ গাবোল |
| রাজনৈতিক দল | পিপিপি (১৯৯৭-২০১৩, ২০১৭-বর্তমান) |
| অন্যান্য রাজনৈতিক দল | এমকিউএম-এল (২০১৩-২০১৭) |
| সম্পর্ক | আব্দুল সাত্তার গাবোল (চাচা) |
সরদার নবীল আহমেদ গাবোল (উর্দু: سردار نبیل احمد گبول) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিক যিনি ২০২৪ সাল থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সিন্ধ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বন্দর ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সিন্ধ পরিষদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]নবীল গাবোল ১৯৮৮ সালের পাকিস্তানি সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর প্রার্থী হিসেবে পিএস-৮৫ (করাচি দক্ষিণ-১) আসন থেকে সিন্ধ প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন। তিনি ২৯,২৪৭ ভোট পেয়ে ইসলামী জামহুরি ইত্তেহাদ (আইজেআই)-এর প্রার্থী খ্বাজা গুলজার নাদিমকে পরাজিত করেন।[১]
১৯৯৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আবারও পিপিপি প্রার্থী হিসেবে পিএস-৮৮ (করাচি দক্ষিণ-৪) আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি ২১,৫৮৭ ভোট পেয়ে হকপন্থী গ্রুপ (এইচপিজি)-এর প্রার্থী মুহাম্মদ আসলামকে পরাজিত করেন। ওই সময় তিনি ১৯৯৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সিন্ধ প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
১৯৯৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিপিপি প্রার্থী হিসেবে পিএস-৮৮ (করাচি দক্ষিণ-৪) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ব্যর্থ হন। তিনি ১১,৯৬৮ ভোট পেয়ে এইচপিজি প্রার্থী লিয়াকত আলী কুরেশির কাছে পরাজিত হন।[১]
২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিপিপি প্রার্থী হিসেবে এনএ-২৪৮ (করাচি-এক্স) আসন থেকে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন। তিনি ৩২,৪২৪ ভোট পেয়ে এমএমএ প্রার্থী নাসির উদ্দিন সওয়াতিকে পরাজিত করেন।[৩]
২০০৮ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]নবীল গাবোল ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আবারও পিপিপি প্রার্থী হিসেবে এনএ-২৪৮ (করাচি-এক্স) থেকে নির্বাচিত হন। তিনি ৮৪,২১৭ ভোট পেয়ে আব্দুল শাকুর শাদকে পরাজিত করেন।[৪] নভেম্বর ২০০৮-এ প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রেজা গিলানির মন্ত্রিসভায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করে বন্দর ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী করা হয়।[৫][৬] ওই সময়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক, জ্যেষ্ঠতা বা যোগ্যতা বিবেচনা না করেই তার ছেলে নাদির গাবোলকে নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে নিয়োগ দেন। ২০১৩ সালে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করে এবং নাদিরের নিয়োগ সংশোধনের নির্দেশ দেয়।[৭][৮] তবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকার নাদিরকে প্রত্যাহার করেনি।[৯]
তিনি ফেব্রুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ফেব্রুয়ারি ২০১৬-তে জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (ন্যাব) তার বিরুদ্ধে বন্দর ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সরকারি অর্থের বড় ধরনের ক্ষতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।[১০][১১]
২০১৩ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]নবীল গাবোল পিপিপি নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর ২০১৩ সালে পিপিপি ত্যাগ করে এমকিউএম -এ যোগ দেন।[১২][১৩] তার দাবি ছিল, পিপিপি আর বেনজির ভুট্টোর দল নেই।[১৪]
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি এমকিউএম প্রার্থী হিসেবে এনএ-২৪৬ (করাচি-৮) আসন থেকে ১,৩৭,৮৭৪ ভোট পেয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রার্থী আমির শারজিলকে পরাজিত করেন। একই নির্বাচনে তিনি এনএ-২৪৮ আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হেরে যান। ২০১৫ সালে জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন যে, তার নির্বাচনী এলাকায় ভোট কারচুপি হয়েছিল এবং প্রকৃত ভোটার উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও তিনি ১,৪০,০০০ ভোট পান।
২০১৫ সালে এমকিউএম তার পদত্যাগ দাবি করলে তিনি দল ও আসন ছেড়ে দেন।[১৫][১৬] ২০১৬ সালে তিনি পিটিআই নেতা ইমরান খানের সমর্থন ঘোষণা করেন, তবে পরে পুনরায় পিপিপিতে যোগ দেন।[১৭]
২০২৪ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]নবীল গাবোল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিপিপি প্রার্থী হিসেবে এনএ-২৩৯ (করাচি দক্ষিণ-১) আসন থেকে ৪০,০৭৭ ভোট পেয়ে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইয়াসির বালুচকে (৩৭,২৩৪ ভোট) পরাজিত করেন। বালুচ নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ আনলেও নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে।[১৮][১৯]
লিয়ারি অস্থিরতা
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের আগস্টে করাচি দক্ষিণ জেলার ডিআইজি ড. জামিল আহমেদ অভিযোগ করেন যে, গাবোল লিয়ারিতে সশস্ত্র গ্যাংয়ের সহায়তায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। পিপিপির কিছু স্থানীয় নেতা ও মন্ত্রীও তাকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। গাবোল অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।[২০]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের আগস্টে করাচি বিমানবন্দরে তিনি এক যাত্রীকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন। ২০২০ সালের মার্চে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিনি ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করলে পিপিপি তার কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়।[২১][২২][২৩][২৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 "Sindh Assembly election results 1988-97"। ECP। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "National Assembly of Pakistan"। www.na.gov.pk। ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "2002 election result" (পিডিএফ)। ECP। ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "2008 election result" (পিডিএফ)। ECP। ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "28 new ministers to join Cabinet"। The Nation। ৩ নভেম্বর ২০০৮। ৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Five new portfolios created, seven cabinet slots vacant"। DAWN.COM। ৫ নভেম্বর ২০০৮। ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Reporter, A. (২৪ মে ২০১৩)। "IHC orders action on irregular postings abroad"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ Reporter, The Newspaper's Staff (১ আগস্ট ২০১২)। "Key posts in passport office: Appointments and deputation postings illegal, says IHC"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "MRP section: Grade-18 officer posted against BS-17 post – Business Recorder"। brecorder। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "Cabinet of Prime Minister Gillani" (পিডিএফ)। Cabinet division। ৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "NAB approves corruption references against PPP minister, others" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "I witnessed poll rigging in NA-246: Nabeel Gabol"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "Nabil Gabol quits PPP, joins MQM"। DAWN.COM। ১৮ মার্চ ২০১৩। ৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Nabil Gabol joins MQM, says PPP no longer Benazir's party"। Geo News। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "From Edgware Road to Edgware"। The Friday Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "Nabil Gabol resigns from MQM, National Assembly | The Express Tribune"। The Express Tribune। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Nabil Gabol to pick either PTI or PPP, will ask public"। www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "ECP rejects PTI-back candidates pleas against results of three Karachi NA seats"। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "Results of over 30 constituencies of Karachi challenged in SHC"। Samaa Tv। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "Nabil Gabol behind Lyari unrest: PPP MPs"। The Nation। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ Ali, Imtiaz (৬ আগস্ট ২০১৮)। "Nabil Gabol 'manhandles' passenger at Karachi airport, later issues clarification"। DAWN.COM। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Nuggets from the Urdu press"। The Friday Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ Web Desk (২ মার্চ ২০২০)। "Murder attempt case registered against PPP's Nabil Gabol"। ARY NEWS। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "FCS chairman has reached compromise with Nabil Gabol, court told"। www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।
- জীবিত ব্যক্তি
- বালুচ রাজনীতিবিদ
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০২-২০০৭
- মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের এমএনএ
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০১৩-২০১৮
- লিয়ারি শহরের ব্যক্তি
- ইউসুফ রাজা গিলানির সরকার
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০০৮-২০১৩
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ২০২৪-২০২৯
- পাকিস্তান পিপলস পার্টির এমপিএ (সিন্ধু)
- পাকিস্তান পিপলস পার্টির রাজনীতিবিদ
- সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ১৯৮৮-১৯৯০
- সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ১৯৯৩-১৯৯৬
- সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকার