নববিধা ভক্তি
নববিধা ভক্তি হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ এবং অন্যান্য ভক্তিশাস্ত্রে উল্লেখ থাকা নয় ধরনের ভক্তি।[১]
শংকরদেবের একটি শ্লোকে এই নয় ধরনের ভক্তির উল্লেখ আছে-
"শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদ সেবনম্।
অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্।।"[১]
এই নববিধা ভক্তি হচ্ছে-
- শ্রবণ (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: পরীক্ষিত),
- কীর্তন,(সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ:মীরাবাঈ),
- স্মরণ (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: প্রহ্লাদ),
- অর্চন (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: পৃথু),
- পদসেবন (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: লক্ষ্মী দেবী),
- দাস (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: হনুমান),
- সখাত্ব (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: অর্জুন),
- বন্দন (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: অক্রূর) এবং
- আত্মনিবেদন (সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ: বলি)।[১]
ভাব অনুসারেও ভক্তির শ্রেণী বিভাজন-
- বাৎসল্য,
- সখ্য,
- দাস্য এবং
- মাধুর্য্য।
ভক্তি শব্দের অর্থ[সম্পাদনা]
'ভক্তি' শব্দের সাধারণ অর্থ ঈশ্বর সেবা। ঈশ্বর ছাড়াও দেশভক্তি, মাতৃভক্তি, পিতৃভক্তি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আধাত্মিক ক্ষেত্রে ঈশ্বরর সাথে বা ভজনীয় দেবতার প্রতি থাকা গভীর অনুরাগ এবং প্রীতিয়েই ভক্তি। ভক্তি এক মানসিক অবস্থা। ভক্তির স্তর তিনটি শ্রদ্ধা, রতি এবং ভক্তি। গানে চার প্রকার ভক্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে—
- আর্ত,
- জিজ্ঞাসু,
- অর্থার্থী এবং
- জ্ঞানী।[১]
ভক্তির শ্রেণী বিভাজন[সম্পাদনা]
বহুল অর্থে ভক্তির শ্রেণী দুটি-
- গৌণভক্তি [২]এবং
- পরাভক্তি।