ননীবালা গুহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ননীবালা গুহ (১৮৮৪― জুন, ১৯৯০) একজন বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবক। তিনি বাঁকুড়ার গান্ধীবুড়ি নামে পরিচিত ছিলেন।

অবদান[সম্পাদনা]

১৮৮৪ সালে ননীবালা গুহ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের আকুই গ্রামের[১] রক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে জগত্‍দুর্লভ গুহের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।[২] বিবাহের দুই বছরের মধ্যে বিধবা হন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামী জগবন্ধু দত্তের অনুপ্রেরণায় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কর না দেওয়ার আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েও কারাবরণ করেছেন। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে দীর্ঘদিন আটক ছিলেন ননীবালা। বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলায় নারীশিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।[৩] জীবনের সমস্ত সঞ্চয় তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়কে দান করে যান। তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। স্বাধীনতার পরে ভারত সরকার তাঁকে তাম্রফলক প্রদান করে সম্মানিত করে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bhattacharya, Tarundev (১৯৮২)। Bankura। Pharma Keelaema। 
  2. "বাঁকুড়ার 'গান্ধীবুড়ি' ননীবালা গুহ - INCEP NOW"Dailyhunt (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৩ 
  3. দ্বিতীয় খণ্ড, অঞ্জলি বসু (২০০৪)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৪৬। আইএসবিএন 81-86806-99-7 
  4. অনলাইন, খবর (২০২১-০৪-১৮)। "বাঁকুড়ার আকুইয়ে 'গান্ধীবুড়ি' ননীবালা গুহর ৩২তম তিরোধান দিবস পালিত"KhaborOnline (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৩