ধরাইল জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধরাইল জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থাননাটোর সদর উপজেলা
ঠিকানাধরাইল
শহরনাটোর সদর উপজেলা, নাটোর জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছেঅজানা
স্বত্বাধিকারীঅজানা
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

ধরাইল জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর নাটোর জেলার সদর উপজেলার ধরাইল গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কবে এবং কার হাত ধরে এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ইতিহাস থেকে উক্ত জমিদার বাড়ির একজন জমিদারের নাম জানা যায়। তিনি হলেন জমিদার শশাঙ্ক চৌধুরী। তার নাম মূলত উক্ত বাড়িতে "রাধা বল্লভ জিউর" মন্দির তৈরি করার কারণে ইতিহাসের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।১৩১১ বঙ্গাব্দে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ধরাইল গ্রামে জমিদার শশাঙ্ক চৌধুরী নির্মাণ করেন ধরাইল জমিদার বাড়ি। রুপকথার এই জমিদার বাড়ি নাটোর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে।

এছাড়া ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে জমিদার বিনোদ বিহারী চৌধুরী দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির আদলে ১২ বছর সময় ব্যয় করে প্রাসাদ নির্মাণ করেন।তিনি একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ছিলেন।তাই প্রাসাদের নকশা নিজেই প্রণয়ন করেছিলেন। নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা, পাঁচবিবিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধরাইল জমিদারদের তালুক ছিল।নওগাঁয় লীলা সুন্দরী ৩০০ বিঘা জমির খাজনা আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে গড়ে উঠেছিল ধরাইল জমিদারের কাচারিবাড়ি।

বহরমপুরে এক জমিদারের সঙ্গে নীলা সুন্দরীর বিয়ে হওয়ার কারণে ধরাইল জমিদার ছেড়ে আসেন।

৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদাররা আর ধরাইল গ্রামে আসেননি।

বড় তরফের জমিদার ছিলেন শশাঙ্ক চৌধুরী, পুত্র বিজয় গোবিন্দ চৌধুরী এবং স্ত্রী শ্রীমতি পারুল রানী।মধ্যম তরফের জমিদার ছিলেন, যোগেন্দ্র নাথ চৌধুরী, দ্বিজেন্দ্রনাথ চৌধুরী ও যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী।ছোট তরফের জমিদার ছিলেন, গোবিন্দ দাস চৌধুরী এবং তার স্ত্রী শ্রীমতি বাসন্তী রানী ।

পাঁচআনী জমিদার ছিলেন, গোকুলধাম চৌধুরী, পুত্র বিনোদবিহারী চৌধুরী এবং শ্রীশ বাবু চৌধুরী। অন্যান্য জমিদারের মধ্যে ছিলেন হরেন্দ্র নাথ চৌধুরী। জমি-জমা এবং সম্পদের প্রভাব- প্রতিপত্তি অনুযায়ী জমিদারি এভাবে ভাগ করে দেওয়া হতো।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]