ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবা
উপাধিনিম্বার্ক সম্প্রদায় পরম্পরা ৫৬তম
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
ধীরেন্দ্র মোহন চক্রবর্তী

(১৯০১-১১-২০)২০ নভেম্বর ১৯০১
ভড়া, বাঁকুড়া জেলা, ব্রিটিশ ভারত (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
মৃত্যু১১ মে ১৯৮৩(1983-05-11) (বয়স ৮১)
সুখচর, কাঠিয়াবাবা আশ্রম, ভারত
ধর্মহিন্দু,নিম্বার্ক সম্প্রদায়
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত ব্রিটিশ ভারতীয়
ভারত ভারতীয়
আখ্যাকাঠিয়াবাবা মহারাজ
সম্প্রদায়নিম্বার্ক সম্প্রদায়
ঊর্ধ্বতন পদ
গুরুসন্তদাস কাঠিয়াবাবা
উত্তরসূরীস্বামী রাসবিহারী দাস কাঠিয়াবাবা ও অন্যান্য
পদনিম্বার্ক গুরু আচার্য্য

স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবা (২০ নভেম্বর ১৯০১ - ১১ মে ১৯৮৩) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু এবং ঊনবিংশ শতকের বেদান্ত দ্বৈত-দ্বৈতবাদী সন্তদাস কাঠিয়াবাবার প্রধান শিষ্য। নিম্বার্ক সম্প্রদায় গুরু পরম্পরা ৫৬তম আচার্য্য, সাবেক কুম্ভ মেলার প্রেসিডেন্ট মহন্ত। ভারতে হিন্দু নিম্বার্কভাবধারার পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ধনঞ্জয়দাস বহু নিম্বার্ক আশ্রম ও নিম্বার্ক মন্দির, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

আবির্ভাবঃ[সম্পাদনা]

  • ধর্মানুরাগী এই বৈষ্ণব বংশেই ১৬ই নভেম্বর ১৯০১, (বাংলায় ১৩০৮ বঙ্গাব্দের ৩০শে কার্তিক) কার্ত্তিক পূজার শুভ লগ্নে পূর্ণচন্দ্রের ঔরসে এবং শ্রীমতী ক্ষুদুমণি দেবীর গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাধক পুরুষ ধীরেন্দ্র মোহন। পরবর্তী কালে ব্রজবিদেহী শ্রী ১০৮ স্বামী ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়া বাবাজী। পূর্ণ চন্দ্রের ছয় পুত্রের মধ্যে চতুর্থ পুত্র ধীরেন্দ্র মোহন। অন্যান্য পুত্রেরা যথা ক্রমে-নলিনী রঞ্জন, সুরেন্দ্র মোহন, হীরেন্দ্র মোহন, সন্তোষ কুমার, কমলাকান্ত। পূর্ণচন্দ্রের পঞ্চম কন্যা যথাক্রমে প্রমীলা বালা, অনিলা বালা, অবলা বালা, রাধারানী, পঞ্চম কন্যার জন্মের পরেই মৃত্যু হয়।

পারিবারিক অবস্থাঃ[সম্পাদনা]

পারিবারিক ইতিহাস পর্যলোচনায় জানা যায় অতীতে চক্রবর্তী বংশসম্ভূত কানাকৃত্তর কনৌজের রাঢ়ী শ্রেণী শুদ্ধ শ্রোত্রিয় ব্রাহ্মণ পরিবারভুক্ত ছিলেন। এ অতি প্রাচীনতত্ত্ব। কিংবদন্তী এই ব্রাহ্মণ বংশের আদিপুরুষ মনোহর চক্রবর্ত্তী। বাঁকুড়া জিলার সংলগ্ন লাউ গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। কোন না কোন কারণে তিনি পরবর্ত্তী কালে সপরিবারে সন্নিহিত ভড়া নামক গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করেন। তৎকালে এখনকার মত রাস্তা সমূহের নামকরণ হত না। পল্লীবাসিদের পদবী অনুসারে পল্লীর নামকরণ হত। সেই প্রথানুসারে মনোহর চক্রবর্তী যে পল্লীতে বসতি স্থাপন করেছিলেন সেই পল্লী চক্রবর্তী পাড়া নামে প্রসিদ্ধ লাভ করে। ভড়ায় বসতি স্থাপনের পর ধার্মিক পরম বৈষ্ণব মনোহর চক্রবর্তী সেখানে একটি মন্দির তৈরী করে উক্ত মন্দিরে কুলদেবতা শ্রীরাধামাধব জীউর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী কালে উক্ত বংশেরই মাধব চন্দ্র আর একটি মন্দির তৈরী করে ১২৯৩ বঙ্গাব্দে উক্ত মন্দিরে শ্রীরাধামাধব জীউর মূৰ্ত্তি স্থাপন করলে মনোহর চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি সর্বসাধারণের কাছে পুরান-মন্দির নামে খ্যাত হয়। অবগত যায় চক্রবর্তী বংশে আদি পারিবারিক দেবতা শ্রীদধিবামনশিলা এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তীর বৃদ্ধ-প্রপিতামহ রামতনু চক্রবর্ত্তী। পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সূর্য নারায়ণ চক্রবর্তী এবং সুখদাময়ী দেবীর একমাত্র পুত্র। এই বংশের অন্যতম পূর্ব পুরুষ মগনলাল চক্রবর্তী ছিলেন অকৃতদার এবং অতি সাত্ত্বিক প্রকৃতির। তিনি বসত বাটীর বাহিরে একটি পর্ণকুটিরে বাস করতেন। নিকটস্থ একটি অশ্বত্থ বৃক্ষের তলায় বসে যে কর্ম আছে তাহার ফল অবশ্য ভোগ করিতে হয়। ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষদের ভোগের দ্বারাই কর্ম ক্ষয় হয়। স্ত্রী সম্ভোগ ও বিবাহ করিবে না এরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইতে পার তবে যখন ইচ্ছা এখানে চলিয়া আসিতে পার। মায়ার বন্ধন ছিন্ন করা বড় কঠিন।' ১৩ই ডিসেম্বর ১৯২৪ খ্রীষ্টাব্দে লেখেন : ........... কর্মবন্ধন ও বাহ্য কর্মের আকর্ষণ সম্পূর্ণ রূপে ছিন্ন করিয়া ভগবৎ সেবায় ..... মনোনিবেশ করিতে পার এই আশীর্ব্বাদ করি।'

অনলস শিক্ষা ব্ৰতী ধনঞ্জয়দাসঃ[সম্পাদনা]

  • দীক্ষা এবং বৈরাগ্য আশ্রমে যোগদানের অনেক আগেই তিনি গ্রাম্য টোলে এবং পরে নবদ্বীপ টোলে সংস্কৃত এবং শাস্ত্রীয় বিষয় পড়াশুনা করেছিলেন তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। বৈরাগ্য আশ্রমে যোগদানের পর সাধন ভজন এবং গুরু-শিষ্য সংবাদ লেখার সময় জন্মান্তরের কর্মফলে উন্মাদ রোগ হেতু পড়াশুনায় সামরিক ছেদ পড়লেও গুরুদেবের কৃপায় ৩৪ মাসের মধ্যে রোগ মুক্ত হয়ে তাঁর অনুমতি নিয়ে এবার ভাটপাড়ায় প্রখ্যাত পণ্ডিত পঞ্চানন তর্করত্নের টোলে প্রায় বসবাধিক কাল পড়াশুনার পর ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে কাব্যের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পরে কাব্যের উপাধি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় গুরুদেবের নির্দেশে উপাধি পরীক্ষা বন্ধ করেন। এই প্রসঙ্গে গুরুদেব তাঁকে লিখেছিলেন- 'সাধুর পক্ষে অধিক কাব্য আলোচনা ক্ষতিকর। তার পরেই তিনি গুরুর সান্নিধ্য লাভের জন্য মধুপুরে চলে যান। এই সময় তাঁর শিক্ষক পঞ্চানন তর্করত্ন সন্তদাস বাবাজীকে ধনঞ্জয়দাস সম্বন্ধে লিখেছিলেন— 'বিষ্ণু পাদোদ্ভূত গঙ্গা যেমন নির্মল সেই রূপ নির্মল এই ছাত্রটিকে ছাড়তে আমার মত জ্ঞানী ব্যক্তিরও কিরূপে বেদনা হইতেছে তাহা আমি ভাষায় কিরূপ ব্যক্ত করিব? ইত্যাদি।' মুধুপুরে কিছুদিন গুরুদেবের চরণাশ্রয়ে থাকার পর তাঁরই সঙ্গে কলকাতার সন্নিকটে হাওড়ার অন্তর্গত শিবপুরে অবস্থান কালে গুরুদেব তাকে আবার পড়াশুনা করার জন্য খুলনার অন্তর্গত দৌলতপুর সংস্কৃত চতুষ্পাঠিতে যেতে বলে তাঁর গৃহী শিষ্য দৌলতপুর কলেজের ইংরাজী অধ্যাপক সুধীর গোপাল মুখোপাধ্যায়ের বাড়ীতে থাকা ও খাওয়া ব্যবস্থা করে দেন। [১] ভারতের উত্তর পূর্বে এবং বৃন্দাবনে বহু আশ্রম সংস্কৃত বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ স্থাপন করেন তিনি। সংস্কৃত ও বাংলায় তার রচিত কয়েকটি ধর্মগ্রন্থ আছে।[২] ২০০৯ সালে তার জন্মস্থান ভড়া গ্রামে স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩][৪][৫][৬]

ধনঞ্জয় দাস পত্রামৃত[সম্পাদনা]

ওঁ হরিঃ

৪/৯/৪২

পরমকল্যাণবরেষু–

তুমি ও বাটীস্থ সকলে আমার আশীর্ব্বাদ জানিবে । ভ্রূযুগলের মধ্যে যেরূপ ধ্যান ও জপ করিতে বলিয়াছি তদ্রূপই করিবে, অধিকন্তু তৎসহ ব্যাপক ব্রহ্মের ধ্যান করিতে পারিলে তাহাও করিবে। সহস্রারে ধ্যান করিলে মাথা গরম হইতে থাকিবে ও যন্ত্রণা হইতে পারে এবং কঠিন রোগের সম্ভাবনা থাকে; অতএব তুমি সহস্রারে ধ্যান করিতে যাইও না ।

ভ্রূদ্বয়ের মধ্যে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের ধ্যানের সহিত ব্যাপক ব্রহ্মের ধ্যান করিতে থাকিলে তাহার দ্বারাই কুণ্ডলিনী শক্তি ধীরে ধীরে ঊর্দ্ধগামী হয়। শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণকেই পরমাত্মা পরব্রহ্ম বলিয়া জানিবে । তিনি সর্ব্বব্যাপী অদ্বৈত অখণ্ড চিদানন্দ স্বরূপ হইয়াও ভক্তদের ধ্যানের সুবিধার জন্য সুচিন্ত্য বিগ্রহ ধারণ করিয়াছেন । এইরূপ ধারণা করিয়া জাগতিক সমস্ত বস্তু– মাতা, পিতা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যাদি, আত্মীয়স্বজন এবং অন্য সমস্ত ঘরবাড়ী, ইটপাথর, বৃক্ষ, লতাপাতা, পশুপক্ষী, কীটপতঙ্গ, মনুষ্য, দেবতাদি সমস্তই তাঁহার রূপ, – তিনি ভিন্ন জগতে কিছুই নাই, এইরূপ জ্ঞান করিতে অভ্যাস করাকেই সর্ব্বব্যাপী ব্রহ্মের ধ্যান বলা হয়। বিচার করিয়াও দেখ – তোমার মাতাপিতা, স্ত্রী, সন্তানাদির মধ্যে এক বস্তু বর্ত্তমান থাকায় সকলের সহিত তোমার সম্বন্ধ আছে । তিনি একসঙ্গে তাঁহাদের সকলের মধ্য হইতে বাহির হইয়া গেলে সব শরীরগুলি পচিয়া মাটিতে মিশিয়া যাইবে অথবা পুড়াইয়া ফেলিবে, তখন আর কাহারও‌ সহিত কিছু সম্বন্ধ থাকিবে না । এইরূপ বিশ্বসংসারের সমস্ত বস্তু হইতে একসঙ্গে তিনি বাহির হইয়া গেলে মহাপ্রলয় হইয়া যাইবে । অতএব সেই এক বস্তুর স্থিতিতেই এই জগতের স্থিতি জানিয়া প্রকাশিত সমস্ত জগৎ তাঁহারই রূপ এইরূপ জ্ঞান করিতে অভ্যাস করিবে এবং সমস্তই তিনি হওয়ায় সকলকে মনে মনে প্রণাম করিতে ও হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধাদি পরিত্যাগ করিয়া শান্তচিত্তে অবস্থান করিতে অভ্যাস করিবে। ইহাতেই চিত্ত নির্ম্মল হইতে থাকিবে। আমার শ্রীগুরুদেব ব্যাপক ব্রহ্মের ধ্যান বিষয়ে এক পত্র লিখিয়াছিলেন তাহা ১ম খণ্ড পত্রাবলীর শেষ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত আছে। যথা:- “অনন্ত জীব সমন্বিত এই ব্রহ্মাণ্ড সমস্তই ব্রহ্ম; তিনি অনন্ত শক্তিমান , সেই অনন্ত শক্তির দ্বারা তিনি অনন্ত জীবময় বিশ্বরূপ ধারণ করিয়াছেন । তুমি, আমি অথবা অপর কেহ তাঁহা হইতে ভিন্ন নহে; তিনিই এই নানারূপে ক্রীড়া করিতেছেন। ইহাই সার সত্য জানিবে। শ্রুতি স্বয়ং এবং ব্রহ্মবাদী ঋষিগণ সকলে এক বাক্যে ইহা প্রকাশ করিয়াছেন, এই বিষয়ে তুমি কিছু সন্দেহ করিও না, ইহা অনুভব করিতে সদা যত্ন করিবে। এই যত্নে সকল ঋষিকুল তোমার সহায়কারী হইবেন।”

যুগলমূর্ত্তির ধ্যানের সঙ্গে এই সর্ব্বব্যাপী ব্রহ্মের চিন্তা করিয়া নিজেকেও তাঁহার অঙ্গীভূত জ্ঞান করিতে হয়, শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের মূর্ত্তিও সেই সর্ব্বব্যাপী ব্রহ্মের অঙ্গীভূতরূপে প্রকাশিত। এই রূপ ধ্যান যত অভ্যাস হইতে থাকিবে ততই আনন্দ পাইতে থাকিবে।পত্রে আর অধিক লেখা যায় না, সাক্ষাৎ হইলে তখন ভাল করিয়া বুঝিয়া লইবে। এখন লিখিতমত যথাসাধ্য অভ্যাস করিবে, ইহা করিতে পারিলে তবে ব্রহ্মধ্যানের প্রারম্ভ হইবে। …অত্র মঙ্গল ।

ইতি–

আশির্ব্বাদক

শ্রীধনঞ্জয়দাস

শেষ জীবন[সম্পাদনা]

  • এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর স্বাস্থ্যের যে অবনতি ঘটেছিল তা আর কোন দিনই সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব হয় নি। তৎসত্ত্বেও গত ১১ বছর তাঁর দৈনন্দিন কর্মধারা কোন ভাবেই ব্যহত হয় নি। ১৯৮৩ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে তিনি বৃন্দাবন আশ্রম হতে রওনা হয়ে ১৮ তারিখে বৈকালে হাওড়ায় পৌঁছে সোজা সুখচর আশ্রমে গিয়েছিলেন। ষ্টেশনে বহু শিষ্য, শিষ্যা, ভক্তবৃন্দকে দেখে বলেছিলেন--'তোমরা এসেছো? খবর পেয়ে ছিলে?' ব্যাকুল হৃদয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন—‘কেমন আছ সকলে?' তাঁকে দেখে শরীর দুর্বল, জীর্ণ মনে হলেও কেউই ভাবতে পারেনি যে তিনি এই জড় দেহ ত্যাগ করার উদ্দেশ্যেই ভাগীরথীর তীরে সুখচর উত্তর ২৪ পরগণায় আশ্রমে এসেছেন।
  • বৃন্দাবন আশ্রম ত্যাগের আগের দিন ১৬ তারিখে একটি ঘটনা আপাত দৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও তা ছিল অত্যন্ত তৎপর্য পূর্ণ। এই ঘটনাটি জানা যায় দীক্ষিত শিষ্যা শ্রীমতী লীলা চৌধুরীর কাছ থেকে। তিনি বলেছেন --- 'বাবা বিকালে প্রায়ই মাঠে পায়চারি করতেন। সেদিন সেখানে যে গরু বাঁধা ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাছুরদের কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সজল নয়নে চেয়ে থাকা বাছুরদের লক্ষ করে বললেন— ওরে, কাল আমি চলে যাচ্ছি, আর দেখা হবেনা।' এই মন্তব্য থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে তিনি কারুর কাছে প্রকাশ না করলেও স্বেচ্ছায় পার্থিব জগৎ থেকে বিদায় নিতেই পূণ্য সলিলা ভাগীরথী সুখচর আশ্রমে আসছেন।
  • অবশেষে সেই দিন সমাগত। ১১ই মে ১৯৮৩ (২৭ বৈশাখ ১৩৯০) সূর্য অস্তাচলে যাওয়ার মুহুর্তে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তিনি দেহ রক্ষা করলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. পাকড়াশী, চিত্তরঞ্জন। দিল্লির বাঙালি। সৃষ্টিসুখ প্রকাশন। আইএসবিএন 978-1-943438-24-2 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ২২৭। 
  3. Admin (২০২১-০৪-১৩)। "বিষ্ণুপুরের ভড়া ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবা কলেজের অধ্যাপক কোভিড আক্রান্ত, ১০ দিনের জন্য বন্ধ কলেজ"www.bankura24x7.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫ 
  4. "আগরতলায় টানা ৪৮ ঘণ্টার যোগাসনে খোকন দেববর্মা"banglanews24.com। ২০১৬-০৬-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫ 
  5. Chatterjee, Nilanjana; Bhattacharjee, Baibaswata (২০১৭-১২-৩১)। "DISQUIETING EFFECT OF ZNS NANOPARTICLES ON AN INDIAN MINOR CARP, LABEO BATA (HAMILTON, 1822) AND THE ASIAN DWARF STRIPED CATFISH MYSTUS VITTATUS (BLOCH, 1794) WITH RESPECT TO SOME OF THEIR VITAL ORGANS: A COMPARATIVE STUDY."International Journal of Advanced Research5 (12): 1599–1611। আইএসএসএন 2320-5407ডিওআই:10.21474/ijar01/6124 
  6. "শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়া বাবা পত্রামৃত"Kathia Baba Charitable Trust (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫