দ্য পিঙ্ক প্যান্থার (১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্য পিঙ্ক প্যান্থার
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
The Pink Panther
পরিচালকব্লেক এডওয়ার্ডস
প্রযোজকমার্টিন জুরো
চিত্রনাট্যকার
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারহেনরি মানচিনি
চিত্রগ্রাহকফিলিপ লাথ্রপ
সম্পাদকরাফ ই. উইন্টার্স
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌স
মুক্তি
  • ১৮ ডিসেম্বর ১৯৬৩ (1963-12-18) (ইতালি)
  • ১৮ মার্চ ১৯৬৪ (1964-03-18) (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১১৩ মিনিট
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
আয়$১০.৯ মিলিয়ন (মা.যু./কানাডা)[১]

দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ব্লেক এডওয়ার্ডস পরিচালিত ১৯৬৩ সালের মার্কিন হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি রচনা করেছেন মরিস রিচলিন ও ব্লেক এডওয়ার্ডস এবং পরিবেশনা করেছে ইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌স। এটি দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কিস্তি। এতে দেখা যায় ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজো "দ্য ফ্যান্টম" নামে এক দুর্ধর্ষ মণি চোরকে মহামূল্যবান হীরক "দ্য পিঙ্ক প্যান্থার" চুরির পূর্বে ধরতে রোম থেকে কর্টিনা দাম্পেৎজোতে যায়। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন ডেভিড নিভন, পিটার সেলার্স, রবার্ট ওয়েগনার, কাপুচিনে এবং ক্লাউদিয়া কার্দিনালে

মার্টি জুরো প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি ১৯৬৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ইতালিতে মুক্তি পায় এবং ১৯৬৪ সালের ১৮ই মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় $১০.৯ মিলিয়ন আয় করে।[২] পাশাপাশি এটি সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে। ২০১০ সালে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস চলচ্চিত্রটিকে "সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও নান্দনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ" বিবেচনায় জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করে।[৩][৪]

অভিনয়শিল্পীদল[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রের ট্রেইলারে সিমন ক্লুজো চরিত্রে কাপুচিনে
চলচ্চিত্রের ট্রেইলারে প্রিন্সেস ড্যালা চরিত্রে ক্লাউদিয়া কার্দিনালে
  • ডেভিড নিভন - স্যার চার্লস লাইটন
  • পিটার সেলার্স - ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজো
  • রবার্ট ওয়েগনার - জর্জ লাইটন, স্যার চার্লেসের ভাইপো
  • কাপুচিনে - সিমন ক্লুজো, ইনস্পেক্টর ক্লুজোর স্ত্রী
  • ক্লাউদিয়া কার্দিনালে - প্রিন্সেস ড্যালা
  • ব্রেন্ডা ডি ব্যাঞ্জি - অ্যাঞ্জেলা ডানিং
  • কলিন গর্ডন - টাকার
  • জন ল্য মেসুরিয়ে - প্রতিরক্ষা অ্যাটর্নি
  • জেমস লানফিয়ের - সালুদ
  • গাই তমাজান - আর্টফ
  • মাইকেল ট্রাবশ - ফেলিক্স টাউনস, ঔপন্যাসিক
  • রিক্কার্দো বিল্লি - এরিস্টটল সারাজোস, গ্রিক জাহাজমালিক
  • মেরি ওয়েলস - মনিকা ফন, হলিউডের তারকা
  • মার্টিন মিলার - পিয়ের লুইজি, আলোকচিত্রী
  • ফ্র্যান জেফ্রিস - স্কাই লজের সঙ্গীতশিল্পী
  • গেল গারনেট - প্রিন্সেস ড্যালার কণ্ঠ (কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি)

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

দ্য পিঙ্ক প্যান্থার চলচ্চিত্রের সুর করেন হেনরি মানচিনি। এই সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের পপ অ্যালবামের তালিকায় ৮ম স্থানে পৌঁছায়। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট দ্য পিঙ্ক প্যান্থার অ্যালবামটিকে তাদের ১০০ বছরের চলচ্চিত্রের সুর তালিকায় ২০তম স্থান প্রদান করে। ২০০১ সালে এই অ্যালবামটিকে গ্র্যামি হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যবসাসফল ঘোষিত হয় এবং উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহ থেকে আনুমানিক $৬ মিলিয়ন আয় করে।[৬]

চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে। পর্যালোচনা ভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোসে ৩৪টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৭.৩৩/১০ গড়ে এর রেটিং ৮৮%। ওয়েবসাইটটির সমালোচনামূলক ঐকমত্যে বলা হয়, "পিটার সেলার্স দ্য পিঙ্ক প্যান্থার-এ তার সেরাটা দিয়েছেন।"[৭]

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বসলি ক্রাউদার লিখেন, "কদাচিৎই কোন কৌতুকাভিনেতা দুর্বল উপাদানের সাথে সহিংসভাবে মজাদানের চেষ্টা করার জন্য এত অবিচল এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন।"[৮] ভ্যারাইটি চলচ্চিত্রটিকে "তীব্র মজার" বলে উল্লেখ করেন এবং "সেলার্সের ক্ষুরধার সময়জ্ঞান ... চরম" বলে প্রশংসা করেন।[৯]

২০০৪ সালে দ্য পিঙ্ক প্যান্থার চলচ্চিত্র সংবলিত ডিভিডির সংকলন দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ফিল্ম কালেকশন নিয়ে দি এ.ভি. ক্লাব লিখে, "যেহেতু পরবর্তী চলচ্চিত্রগুলো ক্লুজোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তাই তিনি প্রথমে নিভন, কাপুচিনে, রবার্ট ওয়েগনার এবং ক্লাউদিয়া কার্দিনালের সাথে পর্দায় সময় ভাগাভাগি করেছেন তা সহজেই ভুলে যাওয়া যায়।"[১০]

পুরস্কার ও মনোনয়ন[সম্পাদনা]

পুরস্কার বিভাগ মনোনীত ফলাফল সূত্র.
একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর হেনরি মানচিনি মনোনীত [১১]
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পিটার সেলার্স মনোনীত [১২]
গ্র্যামি পুরস্কার চলচ্চিত্র বা টিভি অনুষ্ঠানের জন্য রচিত শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর হেনরি মানচিনি মনোনীত
বাফটা পুরস্কার শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা পিটার সেলার্স মনোনীত [১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Pink Panther (1963)"দ্য নাম্বারস। ন্যাশ ইনফরমেশন সার্ভিসেস। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ 
  2. "The Pink Panther"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ 
  3. মরগান, ডেভিড (ডিসেম্বর ২৮, ২০১০)। "'Empire Strikes Back' among 25 film registry picks"সিবিএস নিউজসিবিএস ইন্টারএক্টিভ। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ 
  4. বার্নস, মাইক (ডিসেম্বর ২৮, ২০১০)। "'Empire Strikes Back,' 'Airplane!' Among 25 Movies Named to National Film Registry"দ্য হলিউড রিপোর্টারপ্রমিথিউস গ্লোবাল মিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ 
  5. "GRAMMY Hall Of Fame"গ্র্যামি (ইংরেজি ভাষায়)। Santa Monica, California: The Recording Academy। ২০১৫-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  6. "Big Rental Pictures of 1964"ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। পেন্‌স্ক বিজনেস মিডিয়া। জানুয়ারি ৬, ১৯৬৫। পৃষ্ঠা 39। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১  Please note this figure is rentals accruing to distributors not total gross.
  7. "The Pink Panther (1963)"রটেন টম্যাটোস (ইংরেজি ভাষায়)। ফ্যানড্যাঙ্গো মিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  8. ক্রাউদার, বসলি (এপ্রিল ২৪, ১৯৬৪)। "Screen: Sellers Chases a Jewel Thief; Pink Panther' Opens at Music Hall"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  9. Variety Staff (ডিসেম্বর ৩১, ১৯৬৩)। "The Pink Panther"ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। পেন্‌স্ক বিজনেস মিডিয়া। ফেব্রুয়ারি ২১, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  10. Tobias, Scott (এপ্রিল ৫, ২০০৪)। "The Pink Panther Film Collection"দি এ.ভি. ক্লাব (ইংরেজি ভাষায়)। দি অনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  11. "The 36th Academy Awards (1964) Nominees and Winners"অস্কারএকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  12. "Winners & Nominees 1965"গোল্ডেন গ্লোবহলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 
  13. "Film in 1965 - BAFTA Awards"বাফটাব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]