দৈত্য (পুরাণ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(দৈত্য (পৌরাণিক) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রিচার্ড ওয়াগনারের ডের রিং ডেস নিবেলুনগেন এ আর্থার রিকম্যানের আকা দৈত্য ফাফনার ও ফ্যাসল্ট সেইজ ফ্রেজা।

দৈত্য বিভিন্ন পৌরানিক কাহিনী ও কিংবদন্তিতে পরিচিত প্রকান্ড আকার ও শক্তির মানবাকৃতীর দানব। ১৯২৭ সালে সৃষ্ট জায়ান্ট শব্দটি গ্রীক পুরানের জিগান্টেস (গ্রীক: γίγαντες[১]) থেকে নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন ইন্দো-ইউরোপিয় পুরানে দানবীয় মানুষদের বিশৃঙ্খল ও বন্য স্বভাবের আদিযুগিয় সৃষ্টি হিসাবে দেখানো হয়েছে এবং তারা ঈশ্বর তা সে অলিম্পিয়ান, সেলটিক, হিন্দু বা নর্সেরই হোক এর সাথে প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। নার্সিয়ান ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত অ-ইন্দো-ইউরোপিয় মানুষের লোকগল্প ও পৌরানিক কাহিনীতেও দৈত্যরা একই ভূমিকা পালন করে।

ওল্ডটেস্টামেনেও দৈত্যের উল্লেখ আছে, যার মধ্যে বিখ্যাত হল গোলিয়াথ, বাসার রাজা ওজ, নেফিলিম, আনাকিম এবং মিশরের দৈত্যের উল্ল্যেখ আছে ১ টি কাহিনীতে ১১ঃ২৩। তাদের অসাধরন শক্তি ও শারিরীক গঠন আছে বলে গন্য করা হয়।

রুপকথার গল্প যেমন "জ্যাক দ্য জায়ান্ট কিলার" বোকা ও নৃশংস্য, মাঝে মাঝে মানুষ বিশেষত বাচ্চাখেকো দৈত্যের আধুনিক ধারণা সৃষ্টি করেছে (যদিও এটা স্পষ্টত স্বগোত্রভোগি অগ্রিদের সাথে একটি বিভ্রান্তী)। "জ্যাক এন্ড দ্যা বেনস্টাক" এ অগরিকে প্রায়ই দৈত্য হিসাবে বর্ণনা করা হয়। জোনাথান সুইফট ও রোনাল্ড ডাল এর মত আধুনিক বর্ণনায় কিছু দৈত্য একই সাথে বুদ্ধিমান ও বন্ধুসুলভ।

ধর্মিয় সাহিত্য ও বিশ্বাস[সম্পাদনা]

ওসমার স্কিন্ডলারের লিথোগ্রাফিতে গোলিয়াথের মূখোমুখি ডেভিড

আব্রাহাম সংক্রান্ত পৌরানিক কাহিনী[সম্পাদনা]

সৃষ্টিতত্ত্ব ৬:৪-৫ প্লাবনের পূর্বে ও পরে নেফিলিমের কথা বলে।সৃষ্টিতত্ত্ব ৭:২৩ অনুযায়ী,নেফিলিম প্লাবনে ধংস হয়েছিল কিন্তু নেফিলিমের কথা নিম্নলিখিত গুলোর সাথে বন্যার পরে উল্লেখ্য করা আছেঃ

বাইবেল গগ এবং ম্যাগগ,যারা পরে ইউরোপিয়ান লোক কাহিনীতে প্রবেশ করে এবং ডেভিড ও ফিলিস্তিনী দৈত্য গোলিয়াথ এর মধ্যের বিখ্যাত যুদ্ধের কথা বলে।প্রথম শতাব্দীর ইতিহাসবিদ ফ্লাভিয়াস জোসেফাস খ্রীষ্টপূর্ব ১ম-২য় শতাব্দীর ডেড সী স্ক্রল মতে গোলিয়াথের উচ্চতা " চার কিঊবিট ও এক স্প্যান" প্রায় ২.০০ মিটার বা প্রায় ছয় ফুট সাত ইঞ্চি [৩] রাজা জেমসের বাইবেলের অনুবাদ গোলিয়াথ এর উচ্চতা "ছয় কিউবিট ও এক স্প্যান "-প্রায় নয় ফুট নয় ইঞ্চি লম্বা বলে উল্ল্যেখ করে(1Samuel 17:4 KJV), কিন্তু গ্রীক বাইবেল সেপ্টুয়াগিন্ট গোলিয়াথের উচ্চতা "চার কিউবিট ও এক স্প্যান "(~২.০০মি) উল্ল্যেখ করে. আরও দেখুন গিব্বরিম।

সেই সময়ে টিকে থাকা জীবাশ্ম নমুনার দিকে  নির্দেশ করে ইহুদী ইতিহাসবিদ ফ্লাভিয়াস জোসেফাস তার এন্টিকিউটিস অব দ্যা জিউস,সিরসা ৯৩ খ্রীষ্টাব্দ এ এমোরাইটদের দৈত্য হিসাবে বর্ণনা করেছিলেনঃ   [৪] "যে কারণে তারা তাদের আস্তানা হেব্রনে সরিয়ে নিয়েছিল এবং যখন তারা এটা দখল করে, তারা সকল বাসিন্দাদের হত্যা করে। তখন থেকে সেখানে দৈত্যের প্রজাতি রয়ে গিয়েছিল, যাদের দেহ এত বড় এবং চেহারা অন্য মানুষদের চেয়ে এত ভিন্ন ছিল যে তারা দেখতে বিস্ময়কর ও শুনতে ভয়ংকর ছিল।এইসব মানুষের হাড় আজকের দিনেও দেখানো হয়,যার সাথে অন্যান্য মানুষের কোন বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক নেই।[৫]

ইসলামে জাবাবিরাট বা জাব্বিরুন নামে পরিচিত দৈত্য যেমন জালুট(গোলিয়াথ) ও "উজ ইবন আনাক" এর ঊল্ল্যেখ আছে।

বুক অব ইনোচ  পতিত ফেরেশতা ও মরনশীল নারীর সন্তান হিসাবে দৈত্যদের বর্ণনা করে।[৬]

জৈন পুরান[সম্পাদনা]

জৈনদের মতে একসময় এই পৃথিবীর উপর দৈত্যরা হেটে বেড়াত।[৭][৮] জৈন বিশ্বতত্ত্ব বিশ্বজনীন সময়ের চক্রকে দুই ভাগে বা অর্ধ চক্রে ভাগ করে,আভাসারপানি(শুদ্ধতা কমার সময়) এবং বাড়ার(উৎসারপানি)  [৭]

জৈনদের বিবেচনা করা সময়ের ভাগ।বলা হয়ে থাকে আভাসপানির প্রথম চার আরা এবং উৎসারপানির শেষ চার আরাতে মানুষ বর্তমানের চেয়ে অনেক লম্বা ছিল।

জৈন গ্রন্থ মতে রিশাভার উচ্চতা, সময়ের বর্তমান অর্ধচক্রের প্রথম তির্থাংকারা ৫০০ ধানুসা (দীর্ঘ ধনু) ছিল।[৭]  চক্র এগোনর সাথে, আভাসারপানিতে সকম মানুষ ও প্রাণীর উচ্চতা কমে যায়। নিচের ছক আভাসারপিনির ছয় আরা বর্ণনা করে-

আরার নাম
সুখের মাত্রা
আরার স্থায়িত্ব
মানুষের গড় উচ্চতা
মানুষের গড় আয়ু
সুখামা-সুখামা
চরম সুখ ও দুঃখহীন
৪০০ ট্রিলিয়ন সাগারোপামা
ছয় মেইল লম্বা
তিন প্যালিয়োপামা বছর
সুখামা
মধ্যম সুখ ও দুঃখহীন
৩০০ ট্রিলিয়ন সাগারোপামা চার মাইল লম্বা
দুই প্যালিয়োপামা বছর
সুখামা-দুখামা
অল্প দুঃখের সাথে সুখ
২০০ ট্রিলিয়ন সাগারোপামা দুই মাইল লম্বা
এক প্যালিয়োপামা বছর
দুখামা-সুখামা
অল্প দুঃখের সাথে সুখ
১০০ ট্রিলিয়ন সাগারোপামা ১৫০০ মিটার
৭০৫.৬ কুইন্টিলিয়ন বছর
দুখামা
খুব অল্প সুখের সাথে দুঃখ
২১,০০০ বছর
৬ ফুট
সর্বোচ্চ ১৩০ বছর
দুখামা-দুখামা
চরম দুঃখ ও কষ্ট
২১,০০০বছর
২ ফুট
১৬-২০ বছর

হিন্দু পুরাণ[সম্পাদনা]

হিন্দু ধর্মে জায়ান্টদের দৈত্য বলে। দৈত্যরা ছিল দিতি  ও পরম জ্ঞানি কাশ্যপের সন্তান যারা তাদের দেব সৎ-ভাইদের প্রতি ইর্ষাপরায়ন হয়ে ভগবান বা দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। যেহেতু দৈত্যরা ক্ষমতা-সন্ধানি,তারা প্রায়ই  দানব ও অসুরের মত একই আদর্শের জাতির সাথে মৈত্রিতা করতো।দানব ও অসুরের সাথে দৈত্যদের মাঝে মাঝে হিন্দু পুরানে শয়তানের গোত্রগত নাম রাক্ষস নামে ডাকা হয়। কিছু পরিচিত দৈত্য হল হিরানায়কাশিপু ও হিরানায়কাশা। মহাকাব্য রামায়নের প্রধান শত্রু রাবন, পিতার দিক থেকে ব্রাক্ষ্মন এবং মায়ের দিক থেকে দৈত্য ছিল। বলা হয়ে থাকে তার ছোট ভাই পাহাড়ের মত লম্বা ছিল এবং ভাল স্বভাবের ছিল।

স্থানীয় আমেরিকান পুরাণ[সম্পাদনা]

পাইউট মৌখিক ইতিহাস মতে, সি-টে-কাহ বা সাই স্বগোত্রভোজী লাল চুলের দৈত্যের কিংবদন্তিতুল্য গোত্র, যাদের অবশিষ্টাংশ ১৯১১ সালে নেভাদার লাভরক কেভের গুয়ানো খনি শ্রমিকরা খুজে পেয়েছিল বলে মনে করা হয়।[৯] তদুপরি পাইউট সৃষ্টি গল্প সিয়ারা নেভাদা ও রকি মাউন্টেন এর মধ্যেে একদা বসবাসরত "সুন্দর দৈত্যের" কথা বলে। বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দৈত্যরা শিশুটির সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করে যে মহৎ আত্মা ভূমিকে গরম ও নির্জন করে দেন এবং শত্রুদের দৈত্যদের বিজয় করার অনুমোদন দেন।শুধু দুজন দৈত্য বেচে ছিলঃপাইউট ও তার স্ত্রী, গরম মরুভূমিতে থাকতে থাকতে যাদের চামড়া বাদামি হয়ে গিয়েছিল।[১০]

এড্রিয়েন্নে মেয়র তার বই, প্রথম আমেরিকানদের কিংবদন্তি তে সি-টে-কাহ সমন্ধে লিখেন[১১] তিনি পরামর্শ দেন যে,লাভরক কেভ ও নেভাদার অন্যান্য শুকনা গুহার কঙ্কাল কে "দৈত্য" ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করেছিল পর্যটন ব্যাবসায়িরা এবং কঙ্কালগুলা স্বাভাবিক আকারের ছিল। যদিও লাভরকের একশত মাইল উত্তরে ম্যামথ এবং গুহা ভালুকের জীবাশ্ম আছে, এবং  তাদের লম্বা অঙ্গকে অদক্ষ দর্শক দৈত্যের বলে ভাবতে পারে। তিনি লালচে চুলের ব্যাপারে যুক্তি দেখান যে মৃত্যুর পরে চুলের রঙ স্থায়ি হয় না এবং বিভিন্ন কারণ যেমন তাপমাত্রা, মাটি ইত্যাদি পুরানো খুব কালো চুলকে জং ধরা লাল বা কমলাতে পরিণত করতে পারে।

গ্রীক পুরাণ[সম্পাদনা]

গ্রীক পুরাণে জায়গান্টেসরা ছিল (কবি হেসোইড এর মতে) ইউরেনাস ও গাইয়ার (আকাশ ও পৃথিবীর আত্মা) সন্তান যেখানে কিছু চিত্রায়ন তাদের সাপের মত পা দিয়েছিল। যখন গাইয়া মাউন্ট অলিম্পাস আক্রমণ করেছিল,তারা অলিম্পিয়ান ইশ্বর জায়গানটোমাচির সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।এই যুদ্ধের আকস্মাৎ নিস্পত্তি হয়েছিল যখন নায়ক হারকিউলিস অলিম্পিয়ানদের সাহায্য করতে রাজী হয় ।গ্রীকরা বিশ্বাস করতো  তাদের কিছু যেমন এন্সেলাডাসকে তখন থেকে মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের পীড়াদায়ক কম্পনের ফলে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়-উৎপাত হতো।

হেরোডোটাস বই ১, অধ্যায় ৬৮ তে,বর্ণনা  করেন কীভাবে স্পার্টানরা তেগিয়া তে অরেস্টেস এর দেহ আবিষ্কার করেছিল যা সাত কিঊবিট -প্রায় ১০ ফুট (৩ মিটার) লম্বা ছিলপ্লুটার্ক তার দ্যা কম্পিরিজম অব রমুলাস উইথ থেসেয়াস বইতে বর্ণনা করেন কীভাবে এথেনাবাসিরা থেসেয়াসের দেহ আবিষ্কার করেছিল, যা সাধারন আকারের চেয়ে বড় ছিল।পাউসানিয়াস লিখেছিলেন, এজাক্স এর মালাইচাকী ছিল ঠিক ছেলেদের পেন্টাথলনের ডিস্কাসের সমান।ছেলেদের ডিস্কাসের ব্যাস প্রায় বারো সেন্টিমিটার ছিল,যদিও সাধারন পূর্নবয়স্ক লোকের প্যাটেলা পাচ সেন্টিমিটার হয়, যা এজাক্সের উচ্চতা প্রায় ১৪ ফুট (~৪.৩ মিটার) বলে নির্দেশ করে।

ইশ্বরের (অলিম্পিয়ান) এবং প্রকৃতীর আত্মা(নেরেইডস,নাইয়াডস এবং ড্রায়াডস) এর সন্তান সাইক্লপসদেরও বিশাল আকারের জন্য দৈত্যদের সাথে তুলনা করা হয় (পসেডিওন ও থোসার পুত্র পলিফেমাস এবং ওডেসিয়াস এর নেমেসিস এর কথা মনে আসে)। জ্যেষ্ঠ  সাইক্লুপসরা ছিল গাইয়া ও ইউরানাসের সন্তান যারা পরে টাইটানোমাচির সময় জিউসের থান্ডারবোল্ট,পসেডিওনের ত্রিশূল এবং হেডের অন্ধকারের শিরস্ত্রাণ বানিয়েছিল।

১০০ বাহু ও ৫০ মাথার হেকাটনখেইরেসো গাইয়া ও ইউরেনাসের সন্তান ছিল। গ্রীক পুরাণের অন্য পরিচিত দৈত্য প্রজাতির মধ্যে ছয় বাহুবিশিষ্ট গেগেইনেস, উত্তরাঞ্চলিয় হাইপারবোরেয়ান, এবং স্বগোত্রভোজি লায়েস্ট্রাইগোনিয়ানরা অন্তর্ভুক্ত।

রোমান পুরাণ[সম্পাদনা]

ক্যালিক্স ক্রেটারের উপর  এন্টাইয়োস এর মুখোমুখি হারকিউলিসের চিত্রন,৫১৫-৫১০ খ্রী.পূ

জার্মানিয়া সুপেরিয়রে কয়েকটি জুপিটার-জায়ান্ট-কলাম পাওয়া গিয়েছে। এগুলোতে সাপরুপি দৈত্যকে,ঘোড়ার পিঠে,জুইটার পদদোলিত করছে এমন ছবি অঙ্কিত ছিল। তারা দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানি,পশ্চিম সুইজারল্যান্ড, ফ্রেঞ্চ জুরা এবং আলসেসে সীমাবদ্ধ।

নর্স পুরাণ[সম্পাদনা]

নর্স পুরানে, জোটুনরা (পুরানো নর্সে জোটনার,এটিনের জ্ঞাতি) প্রায়ই ইশ্বরের বিরোধিতা করে। যদিও প্রায়ই "দৈত্য" হিসাবে অনুবাদ করা হয়,বেশির ভাগই প্রায় মানুষের আকারের বলে বর্ণনা করা হয়। কাউকে কাউকে বিশাল হিসাবে বর্ণনা করা হয়, যেমন তুষার দৈত্য (হ্রিমপারসার), আগুন দৈত্য (এল্ডজটনার), ও পাহাড় দৈত্য (বারগ্রিসার)।

দৈত্যরা নর্স পুরানের বিভিন্ন দানবের উৎস এবং রাগনারকের চরম যুদ্ধে দৈত্যরা আসগার্ডদের দিকে ধাবিত হবে এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। এমনকি দেবতারা নিজেরা বহুবিবাহের দ্বারা দৈত্যদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল, এবং তাদের কাছে  দৈত্য যেমন ইগির, লোকি, মিমির ও স্কাও এর মর্যাদার সামান্য পার্থক্য আছে। প্রধান দেবতা ওডিন ছিল দৈত্য মিরের বড় নাতী।

নর্স পুরানে আছে মহাজাগতিক দৈত্য মিরের মাংস থেকে সমগ্র পুরুষবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল, ইন্দো-ইরানিয়ান পুরানের নাম ইয়ামার সাথে এই নামটি উৎস ভাগ করে বলে  অনেকে মনে করে।

 একটি আইসল্যান্ডের কিংবদন্তি বলে যে দুটি রাত্রে বিচরনশীল দৈত্য,একটি পুরুষ ও একটি নারী তাদের গরু নিয়ে ড্রানগের কাছে জরড অতিক্রম করেছিল, এবং ভোরের উজ্জ্বল আলোতে তারা বিস্মিত হয়েছিল। দিনের আলোর সংস্পর্শে আশার ফলে তারা তিনজনই পাথরে পরিনীত হয়েছিল।ড্রানগে গরুকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং কারলিং (সম্ভবত নারী দৈত্য,নামটির মানে "কুৎসিত বুড়ি") এর দক্ষিণে ছিল। কার্ল (পুরুষ দৈত্যটি) দ্বীপের উত্তরে ছিল, কিন্তু বহু আগেই সে অদৃশ্য হয়েছিল।

কোর্ট অব আর্ম  অব আইসল্যান্ডে সমর্থনকারি হিসাবে একটি বারগ্রিসি  দেখা দেয়।

বাল্ট পুরাণ[সম্পাদনা]

বাল্ট কিংবদন্তি মতে, সমুদ্রতীরে নেরিংগা নামের মেয়ে দৈত্যের খেলা থেকে কুরুনিয়ান স্পিট সৃষ্টি হয়েছিল (নেরিয়া, নেরগে। নেরিনগিয়া অর্থ সাতারুর মতো উপরে নিচে ঝাপ দিচ্ছে এমন জমি)। শিশু দৈত্যটিকে অন্যান্য পুরানেও  দেখা যায় (যার কয়েকটিতে তাকে গ্রীক হেরাক্লিসের নারী সংষ্করনের মত তরুন শক্তিশালী হিসাবে দেখানো হয়)। "নেরিনগা" বর্তমানে একটি আধুনিক শহরের নাম।

বুলগেরিয় পূরাণ[সম্পাদনা]

বুলগেরিয়ান পুরাণে ইসপোলিনি নামের দৈত্য আধুনিক মানুষের পূর্বে পৃথিবী অধিকার করেছিল।তারা পাহাড়ে থাকতো,কাঁচা মাংস খেত এবং প্রায়ই ড্রাগনের বিরুদ্ধে লড়াই করতো।তারা ব্ল্যাকবেরি ভয় পেত যা তাদের মৃত্যুর কারণ ছিল,তাই তারা ওই গাছের উদ্দেশ্য বলি দিতো।[১২]

বাস্ক পুরাণ[সম্পাদনা]

দৈত্যরা বাস্ক দেশে বসবাসকারি দুর্দান্ত শক্তিশালী রুক্ষ কিন্তু ন্যায়পরায়ন চরিত্র। দৈত্যরা খ্রীষ্ট ধর্মে পরিবর্তিত হতে অনিচ্ছুক মানুষ যারা বনের পুরানো রীতি ও প্রথা ধরে রাখতে চেয়েছিল।মাঝে মাঝে তারা সান মার্টিন টিজিকির কিংবদন্তির মতো খ্রীষ্টানদের অজ্ঞাত প্রাচীন গোপন কৌশল ও জ্ঞান ধারণ করতো, যদিও তাদের সবচেয়ে চমৎকার বৈশিষ্ট হল তাদের শক্তি।বাস্ক অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন কিংবদন্তিতে দৈত্যদের অনেক শীলা গঠন, পাহাড় ও বহুবছর  পুরানো কাঠামোর জন্য দায়ি করা হয় এবং বিভিন্ন স্থানে একইরকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

যদিও দৈত্যরা বিভিন্ন রুপ প্রদর্শন করে, তাদেরকে প্রায়ই জেনটিলাক এবং মাইরুয়াক হিসাবে উল্লেখ করা হতো, যদিও স্বতন্ত্রভাবে তাদেরকে বাসাজুয়ান ("বনের প্রভু") সানসন(বাইবেলে বর্নিত সামসস্ন এর উন্নতরুপ), ইরোলান (ফ্রাংকিশ সেনাবাহিনীর জেনারেল রোনাল্ড যিনি রোন্সেভাক্স গিরিপথে মারা গিয়েছিলেন তার উপর ভিত্তি করে) অথবা টারটালো (গ্রীক সাইক্লপসের সদৃশ্য এক চোখা দৈত্য) হিসাবে প্রকাশ করা যেতে পারে।

অন্যান্য ইউরোপিয় পুরাণ[সম্পাদনা]

ওয়াল্টার ক্রেনের খোদাইচিত্রে দৈত্যের মুখোমুখি রাজা আর্থার

ইউরোপজুড়ে লোকগল্পে বিশ্বাস করা হয় যে দৈত্যরা পূর্ববর্তী সভ্যতার অবশিষ্টাংশ নির্মাণ করেছিল। সাক্সোগ্রামাটিকাস, উদাহরণস্বরুপ যুক্তি দেখান যে দৈত্যদের থাকতেই হবে, কারণ অন্য কোনকিছুই দীর্ঘ দেয়াল,পাথরের সৌধ এবং মূর্তি যেগুলোকে আমরা রোমান নির্মাণের অবশিষ্টাংশ বলে জানি তা ব্যাখ্যা করতে পারে না। একইভাবে পুরাতন ইংলিশ কবিতা সীফেরার উচু পাথরের প্রাচীরের কথা বলে যা দৈত্যরা বানিয়েছিল। এমনকি প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য যেমন আয়ারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের জায়ান্ট কসওয়ের বিশাল ব্যাসাল্ট স্তম্ভ দৈত্যরা বানিয়েছিল মনে করা হয়।দৈত্যরা এসব কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট বস্তুর সবচেয়ে কম জটিল ব্যাখ্যার যোগান দেয়।

মধ্যযুগিয় রোমান্স যেমন আমাডীয়াস ডি গাঊলা দৈত্যদের শত্রু বা কদাচিৎ মিত্র হিসাবে উপস্থাপন করে । সারভান্তেসের ডন কুইজোটে এটা ব্যঙ্গ করা হয়েছে, যেখানে শিরোনাম চরিত্র দৈত্য ভেবে একটি বায়ুকল কে আক্রমণ করে। এটা টিল্টিং এট উইন্ডমিল বাক্যাংশের উৎস।

দৈত্যের সাথে যুদ্ধের কাহিনী ওয়েলস,স্কটল্যান্ড ও আয়ারলয়ান্ডের লোকগল্পের  একটি সাধারন বৈশিষ্ট্য। নৌকায় এসে পৌছানো নর্ডিক ও স্লাভিক পুরানের প্রতিচ্ছবি হিসাবে ব্রেটন ও আর্থারিয়ান রোমান্সে সেল্টিক দৈত্যদের পাওয়া যায় এবং এই উৎস থেকে টরকোয়াটো টাসো,লুডোভিকো এরিয়েস্টো ও তাদের অনুসারি এডমান্ড স্পেনসারের বীরত্বের কাহিনীতে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট স্কটিস গ্রাম কিনলক র‍্যান্নচ এ এই ইফেক্ট মাথা,কাঁধ এবং মাথা-হাতবিহীন মানুষের মূর্তির সদৃশ্য একটি ঢিবিকে বিজড়িত করে এবং একে "ঘুমন্ত দৈত্য" নামকরণ করা হয়েছে।স্পষ্টত দৈত্য জাগবে যদি ঢিবির সামনে একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। অন্যান্য দৈত্য সম্ভবত পূর্বের জার্মানিক পুরাণ থেকে এসেছিল, যাদের মধ্যযুগের জার্মান কাহিনীতে ডিয়েত্রিচ ভন বেনের প্রতিদন্দ্বী হিসাবে দেখানো  হয়-পরবর্তী বর্ণনাগুলোতে ডিয়েত্রিচ নিজে ও তার বন্ধু নায়কেরাও দৈত্যে পরিণত হয়েছিল।

ইংলিশ লোকগল্পে অনেক দৈত্য নির্বুদ্ধিতার জন্য নজর কেড়েছিল।[১৩] একটি দৈত্য স্রিউসবারির মেয়রের সাথে ঝগড়া করে শহরটিকে ময়লা চাপা দিতে চেয়েছিল;যদিও মেরামতের জন্য জুতা বহন করা একজন মুচির সাথে সে দেখা করেছিল, এবং জুতা প্রস্তুতকারি দৈত্যটিকে আস্বস্ত করে যে,সে স্রিউসবারি থেকে আসা সব জুতা ক্ষয় করে ফেলেছে, এবং ভ্রমনের জন্য এটা অনেক দূর।[১৪]

অন্য ইংলিশ গল্পগুলোতে বলা আছে কীভাবে দৈত্যরা একে অপরের দিকে পাথর ছুড়ে মেরেছিল।জমির উপর থাকা অনেক বড় পাথর ব্যাখ্যা করতে এটা ব্যবহৃত হয়েছিল।[১৫]

অনেক রুপকথার গল্প ও লোকগল্প যেমন জ্যক দ্যা জায়ান্ট কিলার, দ্য জায়ান্ট হু হ্যাড নো হার্ট ইন হিজ বডি, নিক্স নট নাথিং,রবিনহুড এন্ড পিন্স আরাগন, ইয়োং রোনাল্ড এবং পল বানয়ানে দৈত্য মূর্ত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার ইউরোপিয় লোকগল্পে দৃষ্ট হওয়া অগ্রি ও ট্রলরা মানবাকৃতির ও দৈত্যাকার উচ্চতার প্রাণী। ওয়েন্ডিস লোকগল্প থেকে আসা, আরেকটি স্লেভিক লোকগল্পের দৈত্যের উদাহরণ হল রুবেযাহল,যারা জায়ান্ট মাউন্টেনে থাকতো।এছাড়াও স্বাভাবিক ভাবে দৈত্য বলে বিবেচিত হয় না এমন পৌরানিক জিনিসকে বিশাল শারিরীক আকারের জন্য দৈত্য হিসাবে চরিত্রায়ন করা যেতে পারে, উদাহরণ - জার্মান পাহাড়ের আত্মা বার্গমঙ্ক।[১৬]

কালেভালাতে, এন্টেরিও ভিপুনেন শক্তিশালী মন্ত্রের অধিকারী একজন শামান দৈত্য।মহাকাব্যিক নায়ক ভাইনামোইনেন তার থেকে এই ম্নত্র শেখার জন্য যাত্রা শুরু করে, কিন্তু ভিপুনেন কে মাটির নিচে কবর দেওয়া হয়,এবং যখন ভাইনামোইনেন তাকে মাটি খুরে বের করে,ভিপুনেন তাকে গিলে ফেলেছিল।ভাইনামোইনেন ভিতর থেকে হাতুড়ির আঘাত করে ভিপুনেনকে বশ্যতা স্বীকার করতে ও মন্ত্র উচ্চারন করতে বাধ্য করে।মারট্টি হেভিওর একটি বিশ্লেষন হল যে ভিপুনেন শারিরীক ভাবে দীর্ঘ নয়, কিন্তু তার ঘনিষ্ট প্রাণী (নাক্ষত্রিক রুপ)হল তিমি। বর্ণনাটি বেশিরভাগ ফিনিশিয় আদি গল্পে পাওয়া যায় না, এবং খুব সম্ভব বই সংকলক ইলিয়াস লনরট থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে।[১৭]

অভিযোগে বর্নিত জীবাশ্ম নমুনা[সম্পাদনা]

শতাব্দীজুড়ে কিছু পত্নতত্ত্ববিদ দৈত্য প্রজাতির জীবাষ্ম নমুনা খুজেছে।অভিযুক্ত নমুনা:

  • কাস্টেলনাউ এর দৈত্য: আনুমানিক হিসাবে ১১ ফুট ৬ ইঞ্চি (৩.৫মি) লম্বা। ১৮৯০ এর শীতে ফ্রান্সের কাস্টেলনাউ এর ব্রোঞ্জ যুগের সমাধিতে নৃবিজ্ঞানী জর্জেস ভ্যাচার ডি লাপাঊজ কর্তৃক আবিষ্কৃত।[১৮][১৯][২০]
  • ১৮৯৪ প্রেস একাউন্ট, ফ্রান্সের মন্টপিলিয়ার এ প্রাগৈতিহাসিক সমাধি খুড়ে দৈত্য মানবের হাড় আবিষ্কার উল্লেখ করেছিল।দানবিয় অনুপাতের অন্যান্য হাড়ের সাথে" ২৮, ৩১, এবং ৩২ ইঞ্চি পরিধির" মাথার খুলি উল্লেখ করা হয়েছিল যা নির্দেশ করে সেগুলো "১০ ফুট ঈবং ১৫ ফুট উচ্চতার মধ্যবর্তী" একটি মানব জাতির। হাড়গুলোকে আরও অধিক অধ্যয়নের জন্য প্যারিস একাডেমিতে পাঠানো হয়েছিল।[২১][২২]
  • লালচুলের মানুষখেকো দৈত্যের একটি কিংব্দন্তীর গোত্র সি-তে-কাহ বা সাই এর অবশিষ্টাংশ নেভাদার লাভরক কেভের গুয়ানো খনি শ্রমিকেরা ১৯১১ সালে খুজে পেয়েছিল।যদিও অবশিষ্ট জিবাশ্মের আকার ও প্রকৃতি এড্রিয়েন্নে মেয়রের বই,ফসিল লিজেন্ডস অব দ্যা ফার্স্ট আমেরিকান দ্বারা বিতর্কিত করা হয়েছে।[২৩]

দৈত্যদের নাম ও গোত্রগত উৎস[সম্পাদনা]

  • এমোরাইটস (হিব্রু)
  • ড্রুওন এন্টিগুন (বেলজিয়ান)
  • এনাকিম (হিব্রু)
  • বাসাজাউন (বাস্ক)
  • বেনডিজেইডফ্রান (ওয়েলস)
  • বীউটো (জাভনিজ-ইন্দোনেশিয়া)
  • করমোরান (কর্নওয়াল)
  • সাইক্লপেস/সাইক্লপস (গ্রীক)
  • ডাইডারাবোটচি (জাপান)
  • দৈত্য (সংষ্কৃত)
  • ফোমোরিয়ানস (গেইলিক)
  • জাইগান্টেস (গ্রীক)
  • গোগ (হিব্রু)
  • গোগমাগোগ (ব্রিটিশ)
  • গ্যাথ এর গোলিয়াথ (হিব্রু)
  • ইসপোলিনি (বুলগেরিয়ান)
  • জোটান (নর্স/টেঊটোনিক)
  • কালেভিপোয়েগ (এস্তোনিয়ান)
  • ম্যাগোগ (হিব্রু)
  • নেফিলিম (হিব্রু)
  • নেরিনগা (লিথুয়ানিয়া/বাল্ট)
  • বাসানের ওগ (হিব্রু)
  • পল বানয়ান (ইউএসএ)
  • রাক্সাসা (ইন্দোনেশিয়ান)
  • রাফাইম (হিব্রু)
  • রুবেজাহল (ওয়েন্ডস)
  • টোয়েল দ্যা গ্রেট (সূর টোল) (এস্তোনিয়া)
  • সি-টে-কাহ (পাইউট)
  • টেউটোবোচাস (টেউটোন)
  • টাইটান (গ্রীক)
  • টোয়েল দ্যা গ্রেট (এস্তোনিয়ান)
  • ইয়েসবাড্ডাডেন (ওয়েলস)
  • জামজুম্মিম (হিব্রু)

টীকা[সম্পাদনা]

  1. γίγαντες, Georg Autenrieth, A Homeric Dictionary, on Perseus Digital Library
  2. Nave's Topical Bible: Amorites, Nave, Orville J., Retrieved:2013-03-14
  3. "Variants of Bible Manuscripts"। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  4. Freedman, David Noel, ed., The Anchor Bible Dictionary, (New York: Doubleday, 1997, 1992).
  5. Josephus, Antiquities of the Jews, Book 5, Chapter 2, Number 3, Antiquities of the Jews: Book 5, Retrieved: 15 March 2013
  6. "The Book of Enoch: The Book of Enoch: Chapter VII"sacred-texts.com 
  7. [[#CITEREF|]]।
  8. "Tirthankara"Encyclopedia Britannica 
  9. Loud, Llewellyn L.; M. R. Harrington (15 February 1929).
  10. Greene, Michael S (২০০৫)। Nevada: A Journey of Discovery। Utah: Gibbs Smith। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 1-58685-139-X 
  11. Mayor, Adrienne (২০০৫)। Fossil legends of the first Americans। Princeton, N.J: Princeton University Press। আইএসবিএন 0-691-11345-9 
  12. Стойнев, Анани; Димитър Попов; Маргарита Василева; Рачко Попов (২০০৬)। "Исполини"। Българска митология. Енциклопедичен речник (Bulgarian ভাষায়)। изд. Захари Стоянов। পৃষ্ঠা 147–148। আইএসবিএন 954-739-682-X 
  13. K. M. Briggs, The Fairies in English Tradition and Literature, p 63 University of Chicago Press, London, 1967
  14. K. M. Briggs, The Fairies in English Tradition and Literature, p 64 University of Chicago Press, London, 1967
  15. K. M. Briggs, The Fairies in English Tradition and Literature, p 65 University of Chicago Press, London, 1967
  16. Wilhelm Grimm, Jacob Grimm: Deutsche Sagen.
  17. "Väinämöinen ja Antero Vipunen"parkkinen.org 
  18. de Lapouge, G. (১৮৯০)। "Le Gėant Fossile de Castelnau"La Nature888: 11–12। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১০Le sujet aurait une taille probable de 3m, 50 [11 ft 5.8 in]. 
  19. "A Prehistoric Giant"The Popular Science News and Boston Journal of Chemistry and Pharmacy24 (8): 113। আগস্ট ১৮৯০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-২৭ 
  20. "A Race of Giants in Old Gaul"The New York Times। অক্টোবর ৩, ১৮৯২। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১১ 
  21. "The Princeton Union (Princeton, Minn.) Pg. 2"। অক্টোবর ১১, ১৮৯৪। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১১ 
  22. "Giants of Prehistoric France"The McCook Tribune (McCook Neb.)। মার্চ ৮, ১৮৯৫। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১১ 
  23. Mayor, Adrienne (2005).

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • ডিকশনারি অব হিন্দু  লোর এন্ড লিজেন্ড(আইএসবিএন ০-৫০০-৫১০৮৮-১) লেখক আন্না ঢাল্লাপিক্কোলা
  • লাইম্যান, রবার্ট আর,এস আর(১৯৭১). ফরবিডেন ল্যান্ড: স্ট্রেঞ্জ ইভেন্ট ইন ব্ল্যাক ফরেস্ট। ভলিঊম. ১. কুদারস্পোর্টস,পিএ: প্টার এন্টারপ্রাইজ.
  • চাইল্ড্রেস, ডেভিদ হ্যাটচার (১৯৯২). লস্ট সিটিজ অব নর্থ এন্ড সেন্ট্রাল আমেরিকা. স্টেলে, আইএল: এডভেঞ্চার আনলিমিটেড.
  •   ডাখলুল/ ফাকিহ ডিবেট, এইচএইচইউএমসি (২০১৩). আর জায়ান্টস জাস্ট এ হোক্স?. সাইডা, লেবানন: আর্কাইভ
  • স্কাফকে, ওয়ার্নার (২০১৫). ″ডওয়ারভেস, ট্রলস, ওগ্রিস, এন্ড জায়ান্টস″.ইন আলবার্ট ক্লাসেন (এড.): হ্যান্ডবুক অব মেডাইভাল কালচার. ফান্ডামেন্টাল এস্পেক্ট এন্ড কন্ডিশন  অব দ্যা ইউরোপিয়ান মিডেল এজেস, ভলিউম. ১. বার্লিন:ডি গ্রুয়টার, পিপি. ৩৪৭–৩৮৩.
  • Zimmer, Heinrich (১৯৫৩), Joseph Campbell, সম্পাদক, Philosophies Of India, London, E.C. 4: Routledge & Kegan Paul Ltd, আইএসবিএন 978-8120807396 
  • Jain, Vijay K. (২০১৫), Acarya Samantabhadra’s Svayambhustotra: Adoration of The Twenty-four Tirthankara, Vikalp Printers, আইএসবিএন 9788190363976, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, Non-Copyright