দেরাদুন জেলা
দেরাদুন জেলা | |
---|---|
জেলা | |
উত্তরাখণ্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩০°২০′ উত্তর ৭৮°০৪′ পূর্ব / ৩০.৩৩° উত্তর ৭৮.০৬° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
বিভাগ | গাড়োয়াল |
সদর দপ্তর | দেরাদুন |
সরকার | |
• জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট | এস. এ. মুরুগেশান, আইএএস |
• এসএসপি | নিবেদিতা কুক্রেতি, আইপিএস |
আয়তন | |
• মোট | ৩,০৮৮ বর্গকিমি (১,১৯২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৬,৯৮,৫৬০ |
• জনঘনত্ব | ৫৫০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | হিন্দি, গাড়োয়ালি, কুমোনি, জওনসারি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে ০৭ |
ওয়েবসাইট | dehradun |
দেরাদুন জেলা উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি জেলা। জেলা সদর দেরাদুন, এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উত্তরাখণ্ডের অন্তর্বর্তীকালীন রাজধানী হিসাবেও কাজ করেছে। জেলায় ৬টি তহসিল, ৬টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ১৭টি শহর ও ৭৬৪টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম এবং ১৮টি জনহীন গ্রাম রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে এটা হরিদ্বার পরে উত্তরাখণ্ডে দ্বিতীয় জনবহুল জেলা (১৩ টির মধ্যে)।[১] দেরাদুন শহর ছাড়াও জেলার বিশিষ্ট শহরগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ঋষিকেশ, মুসুরি এবং চক্রতার। জেলা পূর্ব থেকে গঙ্গা নদী ও পশ্চিম থেকে যমুনা নদী প্রবাহিত হয় এবং জেলার দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্বে তরাই এবং শিবালিক পর্বত রয়েছে, উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে হিমালয়। ব্রিটিশ রাজের আমলে জেলার সরকারী নাম ছিল দেহরা দুন। ১৮৪২ সালে, দুন সাহারানপুর জেলার সাথে সংযুক্ত ছিল এবং জেলা কালেক্টরের অধীনস্থ আধিকারিকের অধীনে থাকলেও ১৮৭১ সাল থেকে এটি পৃথক জেলা হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।
দেরাদুন জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে ২৩০ কিমি দূরে অবস্থিত। জাতীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন, সার্ভে অব ইন্ডিয়া, এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরাখণ্ড প্রযুক্তিগত ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়াম, উত্তরাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভারতের ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট, ভারতের জাতীয় সামরিক কলেজ এবং ভারতীয় সামরিক একাডেমির মতো অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাসমতী চাল, চা এবং বাগানের লিচু এখানকার প্রধান কৃষি ফসল।
১৮১৮-১৬ সালের গুর্খা যুদ্ধের ফলস্বরূপ অঞ্চলটি তেহরি-গড়ওয়ালের মহারাজার কাছ থেকে যুদ্ধের লুণ্ঠন হিসাবে দখল করা হয় এবং তৎকালীন দক্ষিণের সাহারানপুর জেলাতে প্রশাসনিকভাবে সংযুক্ত হয়, যা ইতিমধ্যে ব্রিটিশদের হাতে ছিল।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দেরাদুনে রয়েছে বিভিন্ন পুরাণকথার গল্প এবং সংস্কৃতি। উল্লেখ করা হয় রামায়ণ যে প্রভু রাম, ভাই লক্ষ্মণ এলাকায় এসেছিলেন শ্রীলঙ্কা রাক্ষস রাজা রাবণকে পরাজিত করার পর। এই অঞ্চলটি মহাভারতের কৌরব এবং পাণ্ডবদের গুরু দ্রোণাচার্যের সাথেও যুক্ত। এলাকার ঋষিকেশ শহরকে উল্লেখ করা হয় স্কন্দ পুরাণে। এই জেলাতে রামায়ণ ও মহাভারতে উল্লিখিত অঞ্চল ও আশেপাশের জায়গাগুলিতে প্রাচীন মন্দির, মূর্তি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই ধ্বংসাবশেষগুলি প্রায় ২০০০ বছরের পুরানো বলে জানানো হয়েছে।
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]দেরাদুন জেলার একটি অংশ গাড়োয়াল অঞ্চলের অংশ, অতএব স্থানীয় সংস্কৃতি জেলাতে খুবই প্রভাবশালী। গড়ওয়ালী ছাড়াও এই অঞ্চলের অন্যান্য ভাষা হ'ল - জওনসারি, হিন্দি এবং ইংরেজি। নীল বাসগুলি শহরের যাতায়াতের প্রধান উপায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।